এ সরকারকে হটানো ছাড়া জনগণ ভোট দিতে পারবে না: খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এ সরকার ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করেছে। ভবিষ্যতে চিন্তা করছে, ভোট ইভিএমে নিয়ে যাবে। কিন্তু দেশে এ ধরনের নির্বাচন আর হতে দেওয়া যাবে না। কারণ, এ সরকারকে হটানো ছাড়া জনগণ ভোট দিতে পারবে না।
বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির প্রয়াত নেতা মওদুদ আহমদের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে যারা সরকার, তারা গায়ের জোরে সরকার। ২০০৮ সালে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের অবৈধ সরকার তাদের গায়ের জোরে বসিয়ে দিয়েছে। ২০১৪ সালে জনগণ বয়কট করেছে। আজকে যারা আছে, তারা বয়কটের সরকার।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। যদি সরকার দ্রব্যমূল্য কমাতে না পারে, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে না পারে, অনতিবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। আর তা না হলে এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সরকারকে হটিয়ে দেওয়ার জন্য আগামী দিন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, কোনো স্বৈরাচার নিজে থেকে যায় না। তাদের বিদায় করে দিতে হয়। আমেরিকাতে একটি গণতান্ত্রিক কনভেনশন হয়েছে। ১৪১টি দেশ সেখানে আমন্ত্রিত হয়েছে। বাংলাদেশ সেখানে আমন্ত্রণ পায়নি। কেন পায় নাই? তারা মনে করে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। তারা বরং আন্তর্জাতিকভাবে বলেছে, বাংলাদেশ পরিচালনা করছে একটি হাইব্রিড সরকার, গণতান্ত্রিক সরকার নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গুম, খুন, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আজকে কিন্তু বিশ্ব এ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। যে এরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। যার জন্য বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানকে আমেরিকা থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বাংলাদেশের কয়েকজন বড় বড় আর্মি, পুলিশের কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এটা বাংলাদেশের বিদেশে ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এটার জন্য দায়ি- আজকে যারা গায়ের জোরে সরকার। শুধু গায়ের জোরে সরকারে টিকে থাকার জন্য এ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে শেষ করে দিয়েছে। বিচার বিভাগকে শেষ করে দিয়েছে। আজকে দেশের মানুষ শান্তিতে নেই।
খন্দকার মোশারেফ বলেন, মওদুদ আহমদ ১৫টি বই লিখেছেন। আরও দুটি বই প্রকাশিত হওয়ার বাকি আছে। তিনি বাস্তবভিত্তিতে দেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র নিয়ে তিনি এসব বইপত্র লিখেছেন। তাকে এ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তার বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করেছে। এ সরকার তাকে একটার পর একটা মামলা দিয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নোয়াখালী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাছনা জসীম উদ্দীন মওদুদ, সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- চর হাজারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বসুরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জামাল উদ্দিন টিপু।
এমএসপি
