মন্ত্রীরা হেসে হেসে বলেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে: মির্জা ফখরুল

'দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। আর সরকার এসব অস্বীকার করছে এবং তাদের মন্ত্রীরা হেসে হেসে বলেন দাম যেমন বেড়েছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও তো বেড়েছে। অবলীলায় তারা দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছেন, ধোঁকা দিচ্ছেন, বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৪ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় মওদুদ আহমেদ সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, আপদমস্তক একজন গণতন্ত্রমনা মানুষ ছিলেন। অনেকেই বলবেন তিনি তো এরশাদের মন্ত্রিসভায় গিয়েছিলেন, কিন্তু সেটাও তিনি গিয়ে ছিলেন গণতন্ত্রের স্বার্থেই।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই তিনি মানুষের কল্যাণে দাবি আদায়ে আন্দোলন করেছেন। ভাষা আন্দোলনের সময় অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় তিনি জেলে গিয়েছেন। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অবদান রেখেছেন নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণতন্ত্রের জন্য তাকে বাসভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ একজনই থাকেন এরা ক্ষণজন্মা।
মির্জা ফখরুল বলেন, মওদুদ আহমেদকে শুধু বিএনপির নয়, এই বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একজন গুণী জ্ঞানী প্রকৃত অর্থে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে হারিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, 'অতীতের মতো আরেকটা নির্বাচন কিভাবে করা যায় সে জন্য তারা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। এইবার মানুষ আর সেটা শুনবে না, মানবে না। মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে, দাঁড়াবে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ কখনো পরাজিত হয়নি, দেশের মানুষের বুকে দাঁড়াবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।'
আজকে মানবাধিকার এমন পর্যায়ে গেছে যেখানে মানুষের কথা বলার কোন স্বাধীনতা নেই মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এরমধ্যে আবার নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে, এই নীতিমালা হলে আমরা মোবাইলে যে কথা বলি সে কথাও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। আমাদের প্রাইভেসি বলতে কিছু থাকবে না।
গণতন্ত্র ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানবীয় সরকার কে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'
বিরোধী দলীয় সাবেক চিফ হুইপ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক এর সঞ্চালনায় এবং আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শামীমুর রহমান শামীম, নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তৃতা রাখেন।
এমএইচ/কেএফ/
