নারী সহিংসতা প্রতিরোধে একযোগে কাজ করতে হবে: স্পিকার
নারী সহিংসতা প্রতিরোধে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় তিনি সকল ক্ষেত্রে নারী সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশস্থ সুইজারল্যান্ড দূতাবাস আয়োজিত সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় 'নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ পক্ষ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, 'নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ পক্ষ' অনুষ্ঠানটি ২৫ নভেম্বর শুরু হয়ে ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে শেষ হয়।
এর আগে উপস্থিত সকলকে সঙ্গে নিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে মানববন্ধন করেন। এ সময় তিনি বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘সহিংসতা প্রতিরোধে সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করতে হবে।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান সরকার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম তৃতীয় লিঙ্গের লোকজনের জন্য দিনাজপুরে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্প নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ উপলক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ নিয়ে মেহের আফরোজ চুমকি বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি করে সমাজে পরিবর্তন আনতে হবে। আইনী ব্যবস্থা সহজ করে সহজে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কর্ম পরিবেশ, যাতায়াতের সুব্যবস্থা ও নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে সহিংসতা প্রতিরোধ সম্ভব।’ এসময় তিনি নারীর জন্য নিরাপদ ও সমতার বিশ্ব নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
চিফ হুইপ নূর-ই- আলম চৌধুরী নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিজ নাথালি চুয়ার্ড বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক প্রতিবাদী এবং সাহসী নারী রয়েছেন যারা সমাজের রোল মডেল। নারীর প্রতি সহিংসতা মোকাবিলায় নারী ও পুরুষ একসঙ্গে কাজ করার বিকল্প নাই।’
ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী বলেন, ‘বাল্যবিবাহ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সময়ের সঙ্গে বিশ্বের জনগণ অধিকতর সচেতন হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
এ সময় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং সহিংসতার শিকার নারী ও তাদের অভিভাবকগণ অনুষ্ঠান অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
পরে স্পিকার ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে সৈয়দা রুবিনা আক্তার, শবনম জাহান, কানিজ ফাতেমা আহমেদ ও জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই আবৃত্তি করেন।
জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি ও নাহিদ ইজাহার খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাবেক কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, রওশন আরা মান্নান, খোদেজা নাসরিন আক্তার, বাসন্তী চাকমা, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমসহ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদের কর্তাবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/এএন