শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫ | ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঈদুল আজহায় কোরবানির সংখ্যায় শীর্ষে রাজশাহী, সবচেয়ে কম সিলেটে

ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহায় এবারও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কোরবানি পালিত হয়েছে। ২০২৫ সালে ঈদুল আজহার কোরবানিতে মোট পশুর সংখ্যা ছিল ৯১ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারি সংস্থা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে, ২০২৫ সালে দেশে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে গরু/মহিষ ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি, ছাগল/ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি। এছাড়া অন্যান্য পশু কোরবানি হয়েছে ৯৬০টি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মূলত পশু কোরবানির হিসাব করে থাকে। অধিদপ্তর বলছে, স্তরায়িত দৈব নমুনায়নের (স্ট্র্যাটিফায়েড র‍্যান্ডম স্যাম্পলিং) ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে এবারের হিসাব করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার ৩টি গ্রাম (ছোট, মাঝারি এবং বড়) থেকে অন্তত এক শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করে হিসাবটি করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানির পশু অবিক্রীত ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি। কারণ হিসেবে অধিদপ্তর বলছে, এবার কোরবানির পশুর উৎপাদন বেশি ছিল। তাই পশু অবিক্রীত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তা ছাড়া অবিক্রীত এই পশু সামনে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে দরকার পড়বে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে। এই সংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩ টি। এরপর কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এই সংখ্যা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২টি। আর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এই সংখ্যা ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১। এর পর বেশি কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই সংখ্যা ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি। চট্টগ্রাম বিভাগে কোরবানি হয়েছে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি গবাদিপশু। খুলনা বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪ টি গবাদিপশু।

বরিশাল বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৪ লাখ ৭৮৩টি গবাদিপশু। রংপুর বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯টি গবাদিপশু।

Header Ad
Header Ad

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রতেক্যের পরিবারকে ১ কোটি রুপি দেওয়ার ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে এক কোটি রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী টাটা গ্রুপ। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার এই ফ্লাইটটি ভারতের আহমেদাবাদ থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পড়ে ঘন কালো ধোঁয়া। দুর্ঘটনায় শুধু বিমানের যাত্রী-ক্রুরাই নয়, বিমানটি যে স্থানে বিধ্বস্ত হয়, সেই আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজের অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থীও মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ছাত্রাবাসসহ আশপাশের ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন. চন্দ্রশেখরণ বলেন, “এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা অত্যন্ত শোকাহত। যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। আমরা তাদের পাশে আছি এবং সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”

তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি রুপি করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা ব্যয় এবং বিজে মেডিকেল কলেজের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পুনর্গঠনে সহযোগিতা করবে টাটা গ্রুপ।

এদিকে দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে যাত্রীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। জানা যায়, বিধ্বস্ত হওয়া ফ্লাইট AI-171-তে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান যাত্রী ছিলেন।

বিমানটি উড্ডয়নের পর ৮২৫ ফুট পর্যন্ত উপরে উঠেছিল। তারপরই এটি হঠাৎ করে নিচে নামতে শুরু করে। সহ-পাইলট জরুরি সংকেত ‘মে ডে’ কল পাঠালেও এরপর আর কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়।

এই দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা শোক প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে তৎপর হতে বলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ড. ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরে হাইক‌মিশনা‌রের সন্তোষ প্রকাশ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমা‌নে যুক্তরাজ্য সফ‌রে র‌য়ে‌ছেন। প্রধান উপ‌দেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে সারাহ কুক লিখেছেন, ‘এই সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যুক্তরাজ্যে স্বাগত জানাতে পেরে দারুণ ভালো লাগছে।’

সারাহ কুক বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসের কর্মসূচির পরিধি দুই দেশের গণতন্ত্র, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পদক্ষেপ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থনের ক্ষেত্রে যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন।’

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ১০ জুন থেকে লন্ডনে চারদিনের সফরে রয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

দেশে এক দিনে ১৩৪টি পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত ১৫ জন

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিবেশী ভারতসহ অনেক দেশে শনাক্ত হচ্ছে ভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট, বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। সেই প্রভাব বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যদিও মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ তথ্য হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৮ জন। ফলে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৯৮ জনে।

সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৫ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫০০ জনেই স্থির রয়েছে।

এর আগের দিন, ১১ জুন ১০৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। অর্থাৎ সংক্রমণের হার বাড়তির দিকে রয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা এখনো পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। বরং এটি নতুন রূপে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জনসাধারণকে আবারও সচেতন হওয়ার এবং মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং মাত্র ১০ দিন পর, ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর ২০২১ সালের আগস্টে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু ঘটে—যা এখনো ভয়াবহতম দিন হিসেবে স্মরণীয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রতেক্যের পরিবারকে ১ কোটি রুপি দেওয়ার ঘোষণা
ড. ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরে হাইক‌মিশনা‌রের সন্তোষ প্রকাশ
দেশে এক দিনে ১৩৪টি পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত ১৫ জন
ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় তারেক রহমানের শোক
ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন এক যাত্রী (ভিডিও)
আল্লাহ আছেন, সবাইকে একদিন জবাব দিতে হবে: আসিফ নজরুল
ভারতে বিমান দুর্ঘটনা, ২৪২ আরোহীর কেউ বেঁচে নেই
রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সাক্ষাৎ
ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ
ভারতে বিমান দুর্ঘটনা: পাশে থাকার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
বিমানের ধ্বংসস্তূপে মিলছে একের পর এক লাশ, নিহত অন্তত ১৩৩
অচেতন অবস্থায় অভিনেতা সমু চৌধুরীকে ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার
ফিফা র‍্যাংকিংয়ে বড় লাফ বাংলাদেশের
ভারতে বিধ্বস্ত সেই বিমানে ছিলেন গুজরাতের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী
মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪, মোটরসাইকেল আরোহীই ২৫৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
ভারতে যেভাবে ২৪২ যাত্রীকে নিয়ে বিধ্বস্ত হলো বিমান (ভিডিও)
ঈদে দাওয়াতে না যাওয়ায় জামাইকে বেধড়ক মারধর, শ্বশুরবাড়ির হামলায় আহত মা ও ভগ্নিপতি
শ্রীলঙ্কা সিরিজে ভালো কিছু করতে মুখিয়ে আছেন শান্তরা
কানাডায় নয়, স্টারমার যুক্তরাজ্যেই আছেন: ভুল স্বীকার করলেন প্রেসসচিব