শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক’ হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি ভারতীয় সাংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেয়া একটি সাক্ষাতকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এতে বাংলাদেশের একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।

ওমানের রাজধানী মাসকাটে অষ্টম ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের (ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স) ফাঁকে রোববার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে আলোচনায় দুই দেশের সম্পর্কে যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, সেগুলোর সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সাক্ষাতের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, আগামী এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ হতে পারে। এর পরদিন দ্য হিন্দুকে এই সাক্ষাৎকার দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

সাক্ষাতকারে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তজনাকর সম্পর্কে মধ্যে এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে সম্পর্কের একটি ধরনে অভ্যস্ত ছিল। হঠাৎ করেই দ্রুত তা ভেঙে পড়ে। হয়তো নতুন বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগেছে, সে কারণে সম্পর্কে অনেক বৈরী মনোভাব এবং অস্বস্তি অবশ্যই ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় ছয় মাসের মাথায় সেটা আসলেই শেষ হয়ে যাওয়া উচিত।

তৌহিদ হোসেন বলেন, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া উচিত, যা ইতিমধ্যে কিছু ক্ষেত্রে ঘটছে। যেমন বাণিজ্যে অল্প সময়ের জন্য মন্দা দেখা দিয়েছিল, কিন্তু আবার তা চাঙা হয়ে উঠেছে। সুতরাং এগুলো ইঙ্গিত দেয় যে দুই দেশ, অন্তত বেসরকারি খাতে মানুষ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায় এবং এতে প্রতীয়মান হয় যে আমাদের আগ্রহ আছে। উভয় দেশেরই একে অপরের কাছে স্বার্থ রয়েছে এবং আমাদের তার প্রতি যত্ন নেয়া দরকার।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারতের উদ্বেগের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু বা অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিম বা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মতোই সমান নাগরিক। তারা সম–অধিকার এবং একই রকম সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারসম্পন্ন নাগরিক। এবং এটা বাংলাদেশ সরকারের কাজ, তারা এটা করছে, দেশের অন্য যেকোনো নাগরিকের মতোই তাদের (সংখ্যালঘুদের) সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ভারতীয় মিডিয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে প্রায় ব্যাখ্যাতীত উন্মাদনা সৃষ্টি করা হয়, যার বেশির ভাগই মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের পদক্ষেপ নিয়ে জানতে চাওয়া প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং বিচারের মুখোমুখি করতে তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য আমরা ভারতকে বলেছি। যতক্ষণ না ভারত সরকার সেটা না করছে, আমরা আশা করব, তারা অন্তত তার ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, যাতে তিনি এমন কোনো উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ও মিথ্যা বক্তব্য না দেন।

শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একটি মব (বিশৃঙ্খল জনতা) কিছু করতে পারে, কিন্তু তাতে সরকারের সমর্থন নেই।

সীমান্তে বিএসএফএর বাড়াবাড়ি সম্পর্কে তৌহিদ হোসেন বলেন, ২০২৪ সালে সীমান্তে ২৪ জনকে গুলি করা হয়েছে, যার অর্ধেক বিগত সরকারের আমলে। বিশ্বের আর কোথাও এটা হয়নি। আমি মনে করি, আপনি আমার সঙ্গে এই বিষয়ে একমত হবেন। কারণ, ভারতীয় পক্ষ থেকে প্রায়ই বলা হয়, যেহেতু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হয়, সে কারণে এটা ঘটছে। বিশ্বের প্রতিটি সীমান্তেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হয়, কিন্তু কোথাও মানুষকে এভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় না। যদি অপরাধ ঘটে, আপনি তাদেরকে গ্রেপ্তার করুন এবং আদালতে নিয়ে যান। কারাদণ্ড হোক বা আদালত যেকোনো রায় দিতে পারেন। কিন্তু আপনি তাকে হত্যা করতে পারেন না।

আদানির বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি যে, আমরা দুটি পর্যায়ে আলোচনা করি, একটি চুক্তি স্বাক্ষরের আগে, এবং দ্বিতীয়ত চুক্তি স্বাক্ষরের পরে । আমাদের চুক্তি অনুসারে এগোতে হবে। কিন্তু যদি আমরা মনে করি, এটা সঠিকভাবে করা হয়নি তাহলে আমরা সর্বদা পারস্পরিকভাবে এটা আবার খতিয়ে দেখার জন্য সম্মত হতে পারি। আমার মতে, আমরা আদানি গ্রুপের সঙ্গে এটা দেখব এবং এটাকে আরও যৌক্তিক করার চেষ্টা করব। আমি কোনও টেকনিশিয়ান, টেকনিক্যাল ব্যক্তি নই। তাই আমি সঠিকভাবে বিশদ বলতে পারছি না। তবে অন্যান্য চুক্তির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বিদ্যুতের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেশি। তাই আমরা বিশ্বাস করি যে, এটি নিয়ে আবারও সমঝোতা আলোচনা করা উচিত, বিশেষ করে কয়লা কেনার প্রশ্নে। যেকোনো যৌক্তিক ব্যক্তিই বলবেন যে, বিশ্ববাজারে সম্ভাব্য সর্বোত্তম দামে এই প্রকল্পের জন্য কয়লা কেনা উচিত। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। তাই এই জায়গাগুলোতে আমরা সম্ভবত ভালো মন নিয়ে আদানির সঙ্গে আলোচনা করতে পারি এবং আমরা তা করতে চাই। আপাতত আমরা বিদ্যুৎ দিতে অনুরোধ করেছি, কারণ আমাদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন এবং তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের ভিত্তিতে আমাদের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই আমরা চাই, তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করুক এবং তারপর আমরা এর জন্য অর্থ প্রদান করব।

বাংলাদেশ ও ভারত কয়েক বছর আগে সমুদ্র চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কিন্তু এখনও এক অন্য দেশের জেলেদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে যাইনি। তবে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি যে, জেলেরা মাছের দলকে অনুসরণ করেন। স্থলভাগে আপনার একটি নির্দিষ্ট সীমানা থাকে, যে এটাই সীমা। কিন্তু সমুদ্রে, এটা এত সহজ নয়। প্রায়ই উভয় দেশের জেলেরা পরস্পরের সামুদ্রিক অঞ্চলে প্রবেশ করে। আমাদের কিছু জেলে ভারতের হেফাজতে রয়েছে। আবার ভারতের কিছু জেলে আমাদের হেফাজতে রয়েছে। আমরা উভয় দেশই নির্দিষ্ট সময় পর তাদের মুক্ত করে দিই। খারাপ আচরণ করার বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যেই তদন্ত করতে বলেছি। যদি আমরা দেখতে পাই যে, আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কেউ কেউ আসলেই জড়িত ছিলেন, অথবা তাঁরা যদি আইন ভঙ্গ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমরা তা আমলে নেব। কিন্তু এটা সাধারণত করা হয় না। আমি চার বছরেরও বেশি সময় কলকাতায় কূটনীতিকের দায়িত্ব পালন করেছি। জেলে বিনিময় নিয়ে কাজ করেছি। তাঁদের সঙ্গে কখনো খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। যদি কোনো ব্যতিক্রম হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আমরা খতিয়ে দেখব।

এপ্রিলে থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত দুই নেতা একই দিনে কোনো একটি জায়গায় ছিলেন না, তাই তাদের সাক্ষাতের কোনো সুযোগ হয়নি। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে, উভয়পক্ষেরই সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা এবং মুক্ত মনে ও খোলামেলাভাবে আলোচনা করার আগ্রহ আছে। এটা সহায়ক হয়। আমাদের এই অঞ্চলের সংস্কৃতিতে, যখন ‘শীর্ষ কর্তারা’ একসঙ্গে বসেন, তখন তারা বছরের পর বছর ধরে আমাদের মতো লোকদের ওপর আলোচনার জন্য ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে, কেবল এক কথায় সমস্যার সমাধান করতে পারেন। আমি মনে করি, এই অর্থে দুজনের মধ্যে একটি বৈঠক হওয়া ভালো হবে। এই সরকারের শুরুতে তারা একবার টেলিফোনে কথা বলেছেন। বিমসটেকে তারা একই অনুষ্ঠানস্থলে থাকবেন। আমার জানা মতে, অন্যান্য দেশের সরকারপ্রধানেরাও থাকবেন। যদি তারা সেখানে থাকেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই পরস্পরের সঙ্গে কথা বলবেন। কারণ এটা একটি ছোট গ্রুপ। উদাহরণস্বরূপ, সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) শীর্ষ সম্মেলনে, সাত দেশের প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন। তাই আমার মনে হয়, এরকম কিছু ঘটতে পারে।

ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ক আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা শুধু গত ১৫ বছর কেন দেখব? এমনকি বিএনপির আমলেও (১৯৯৬-২০০১) দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছিল। আমার মনে হয় না, সম্পর্ক নির্দিষ্ট সরকারকেন্দ্রিক হতে হবে। ১৯৯৬-১৯৯৭ এ আমাদের গঙ্গা চুক্তি হয়েছিল। তাই আমি মনে করি, আমাদের দুই দেশের রাজধানীতে যে সরকারই হোক, যে দলই ক্ষমতায় থাক না কেন, তা আমাদের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলা উচিত নয়। কারণ সম্পর্ক পারস্পরিক স্বার্থ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর নির্ভরশীল। আমি বিশ্বাস করি, উভয় পক্ষই বুঝতে পারছে তাদের স্বার্থ কী এবং আমরা ভারতের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে পারি।

Header Ad
Header Ad

ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের সন্তান অনন্যা বাঙ্গার নিজের লিঙ্গ রূপান্তরের অভিজ্ঞতা এবং ক্রিকেটজীবনে মুখোমুখি হওয়া নানা হয়রানিমূলক ঘটনার বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন। একসময় ‘আরিয়ান’ নামে পরিচিত অনন্যা বর্তমানে নারী পরিচয়ে পরিচিত এবং একাধিক স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ক্লাবে ক্রিকেট খেলেছেন।

সম্প্রতি লল্লনটপ পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনন্যা বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই জানতাম আমি একজন মেয়ে। আট-নয় বছর বয়সে মায়ের পোশাক পরতাম এবং আয়নার সামনে নিজেকে মেয়ের মতো কল্পনা করতাম।”

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

অনন্যা জানান, ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কিছু খেলোয়াড় তার পাশে দাঁড়ালেও অনেকের কাছ থেকে পেয়েছেন অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “আমাকে একাধিক ক্রিকেটার নগ্ন ছবি পাঠিয়েছে। কেউ কেউ সামনে অপমান করলেও পরে আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছে, এমনকি যৌন প্রস্তাবও দিয়েছে।”

একজন প্রবীণ ক্রিকেটারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমি তাকে আমার পরিস্থিতি বোঝাতে গেলে সে বলে, ‘চলো গাড়িতে যাই, আমি তোমার সঙ্গে ঘুমাতে চাই।’”

ভারতের ইসলাম জিমখানা এবং যুক্তরাজ্যের হিংকলি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলা বাঁহাতি ব্যাটার অনন্যার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বপ্নে বাধা আসে ২০২৩ সালের নভেম্বরে। তখন আইসিসি ঘোষণা করে, ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদদের নারী ক্রিকেটে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না।

অনন্যা বাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত

এ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে অনন্যা লেখেন, “আমি কেবল খেলতে চেয়েছিলাম, নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম। পরিচয়ের কারণে আজ আমি নিষিদ্ধ।”

বর্তমানে অনন্যা যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে বসবাস করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।

Header Ad
Header Ad

১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের শূন্য পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। অধিদপ্তরের ১০ ধরনের শূন্য পদে মোট ১৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: স্টোর অফিসার।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত যেকোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমান।
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

পদের নাম: হিসাবরক্ষক।
পদসংখ্যা: ২৫টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ২৭টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ এবং ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।

পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ৪টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান। সাঁটলিপি পরীক্ষায় ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৭০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ৪৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।

পদের নাম: উচ্চমান সহকারী।
পদসংখ্যা: ৯টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৩০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ২৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর।
পদসংখ্যা: ৩টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান। সাঁটলিপি পরীক্ষায় ইংরেজিতে সর্বনিম্ন গতি ৭০ শব্দ ও বাংলায় সর্বনিম্ন গতি ৪৫ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম: হিসাব সহকারী/হিসাব সহকারী কাম ক্যাশিয়ার অফিস সহকারী কাম ক্যাশিয়ার।
পদসংখ্যা: ৩৯টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক।
পদসংখ্যা: ২০টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: স্টোরকিপার।
পদসংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান।
পদসংখ্যা: ২টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ট্রেডে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেটসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অন্যূন ৬ মাসের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৯ এপ্রিল ২০২৫।

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মাঠেরপাড় বাজারে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাঠেরপাড় বাজারে এসেছে প্রথমেই মালেক স্টোরে আগুন দেখতে পান তারা। মুহূর্তের মধ্যেই মার্কেটের ৫টি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। সেইসাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে ৫টি দোকানের ফ্রিজ, টিভি, মালামাল ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এ ঘটনায় প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এসময় সব হারিয়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ীদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো মালেকের মুদি দোকান, সাইদুলের মালামাল রাখার গোডাউন, মজনু স্টোর, জাহিদ ফার্মেসি, শহীদ স্টোর এবং মনজুর চা দোকানের আংশিক ভস্মীভূত হয়েছে।

মালেক স্টোরের দোকানি আব্দুল মালেক বলেন, প্রতিরাতের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়িতে গিয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘুমে থাকা অবস্থায় শুনতে পাই আমার দোকান আগুনে পুড়ে গেছে।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডর আবু মোত্তালেব বলেন, সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে এসে দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহমুদ আল হাসান ভোরের আকাশকে বলেন, বল্লমঝাড় মাঠেরপাড় বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, এটি খুবই দুঃখজনক। উপজেলা পরিষদের পক্ষে থেকে ক্ষতি গ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরকে টিন বিতরণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?