মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রত্যাহারের পর দুদক পরিচালক সায়েমুজ্জামানকে দপ্তর থেকেই বদলি!

এবার দুদক পরিচালক সায়েমুজ্জামানকে দপ্তর থেকেই বদলি। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীসহ বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্তকাজ থেকে দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে প্রত্যাহার করার পর দপ্তর থেকেই বদলি করা হয়েছে।

বীমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সরিয়ে তাকে NIS এবং UNCAC Focal Point বিভাগের পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রশাসন বিভাগের উপপরিচালক আজিজুল হক সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কাজের তদারককারীর কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ডেপুটেশনে আসা ওই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও লকার নিয়ে নিয়মিত লেখার কারণে কমিশন থেকে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির কারণে তাকে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্বে ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুসন্ধান সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রকাশ করার কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই কারণে তাকে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান চালানো দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া তার বিভিন্ন মন্তব্যের বিষয়ে আপত্তি জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থি। গত সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে এই চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পরিচালক।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধারণাপ্রসূত বিভিন্ন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থি। চিঠির সঙ্গে কাজী সায়েমুজ্জামানের দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্যও যুক্ত করে দেওয়া হয়।

৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযান চালায় দুদক। যদিও সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার খুঁজে পায়নি দুদক।

অভিযান শেষে কাজী সায়েমুজ্জামান জানান, ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান যে ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের জন্য এসেছিলাম, তাদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি। তবে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার ব্যক্তিগত সব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দেয় দুদক। গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশে গঠিত দুদক টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট তল্লাশি করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। যা তার নিয়মিত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি।

Header Ad
Header Ad

কুড়িগ্রাম সীমান্তে লাগানো সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে রাজি হলো বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের শূন্যরেখায় গাছে লাগানো সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে সম্মতি জানিয়েছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখায় বিএসএফের সিসি ক্যামেরা, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ

বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে, যেখানে আলমগীর হোসেনের বাড়ির আঙিনা ব্যবহার করা হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কুড়িগ্রামের ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান এবং বিএসএফের পক্ষে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট অনিল কুমার মনোজ নেতৃত্ব দেন।

এরপর একই স্থানে বিজিবির দিয়াডাঙ্গা সীমান্ত ফাঁড়ির উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিএসএফ অতি গোপনে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮-এর ৯ এস সাব পিলারের পাশে ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে একটি গাছের ওপর সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিনভর বিজিবি ও বিএসএফের ক্যাম্প ও কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি।

এ অবস্থায় আজ (মঙ্গলবার) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিএসএফ অবশেষে সিসি ক্যামেরাটি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেয়। সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় জনগণ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এতে তাদের উদ্বেগ কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Header Ad
Header Ad

আমাদের এখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আছে, থাকবে: মমতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার তুমুল বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেই দেশে পট পরিবর্তন ঘটে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাংলায় লেখা জয় বাংলা স্লোগান মুছে ফেলা হচ্ছে বলে খবর ছড়িয়েছে। এসব খবরের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, ‘‌আমাদের এখানে জয় বাংলা স্লোগান আছে এবং থাকবে। কারণ এই স্লোগান কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। বাংলা ও বাঙালির গর্ব প্রকাশ করার জন্য ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া হয়। বাংলাদেশে যাই হোক, আমাদের এখানে জয় বাংলা স্লোগান আছে এবং থাকবে।

২০২০ সালের ১০ মার্চ বাংলাদেশ হাইকোর্টের দুই বিচারপতি ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করেছিলেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

Header Ad
Header Ad

টেকনাফে নৌকাসহ ৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া চার জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের গোলারচর মুখ এলাকা থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাছ ধরতে যাওয়া ওই জেলেরা নাফ নদীর সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়েছিলেন, এমন অভিযোগ উঠেছে।

ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন: মো. হাসান (নৌকার মাঝি), আবদু রকিম, মো. জাবের, মো. হাসান (একই নামের আরেক ব্যক্তি)

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, “জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তাদের ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।”

এর আগেও নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশি জেলেদের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুড়িগ্রাম সীমান্তে লাগানো সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে রাজি হলো বিএসএফ
আমাদের এখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আছে, থাকবে: মমতা
টেকনাফে নৌকাসহ ৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ'র ওপর নম্বর কমালো কুবি প্রশাসন
চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
আমির খানের লুকে পলক, নেট দুনিয়ায় ট্রল
৭ বছর পর চুরির মামলায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের দুই সাংবাদিক আসামি
আদানিকে চুক্তির ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পুরোটাই দিতে বলেছে বাংলাদেশ
সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর
অবশেষে সাক্ষাৎ হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস-নরেন্দ্র মোদির
৭ম হোস্টিং সামিট অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি
চাকরি ফিরে পেতে রাজপথে বিডিআর সদস্যরা, সরকারকে আলটিমেটাম দিলেন মাহিন
ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দাঁড়িয়ে আমরা কাজ করছি: আসিফ নজরুল
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ
বাংলা একাডেমির নামে প্রতারণা: হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক টাকা
কোনো ‘শয়তান’ যেন পালাতে না পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিদ্রোহী ১৮ জনকে বাদ দিয়েই ৩৭ নারী ফুটবলারের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি
‘পুলিশ চোরের প্রেমে পড়েছে’ গানে থানায় টিকটক, আ.লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার
দুর্নীতিতে বিশ্বে বাংলাদেশ ১৪তম
প্রত্যাহারের পর দুদক পরিচালক সায়েমুজ্জামানকে দপ্তর থেকেই বদলি!