‘‘বেতনে না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান’’ সংবাদের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায়। ছবি: সংগৃহীত
গত ২৬ জানুয়ারি ‘‘বেতন-ভাতায় না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান ঢাকাপ্রকাশ’এর অফিসিয়াল ইমেইলে এই ব্যাখ্যা পাঠান।
ই-মেইলে জানানো হয়, “আপনার বহুল প্রচারিত ঢাকাপ্রকাশ-এ ২৬ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে প্রকাশিত ‘বেতন-ভাতায় না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা’ শীর্ষক নিউজটির প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।”
“প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এর বক্তব্যের খন্ডিত অংশ প্রকাশ করায় তা জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বিধায় মাননীয় উপদেষ্টা নিম্নোক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
‘‘আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা বাদ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্যাদি উপস্থাপন না করে বিকৃত অর্ধসত্য বক্তব্য উপস্থাপিত হয়েছে। মূলবক্তব্যে কতিপয় প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদান ও নিয়মিত উপস্থিতির ক্ষেত্রে তাদের উদাসীনতার বিষয়কে উল্লেখ করা হয়েছে। যেসকল শিক্ষক নিয়মিতভাবেই বিদ্যালয়ে শিক্ষাদান কর্মকান্ডে অনুপস্থিত থাকছেন এবং প্রকারান্তরে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সাথে ও তাদের অভিভাবকদের সাথে প্রতারণা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের কঠোর অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বক্তব্যের উল্লিখিত অংশটুকু প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষকদের বেতনভাতার বিষয়ে কোনরূপ বক্তব্য প্রদান করা হয়নি। প্রাথমিকে শিক্ষকদের বেতনভাতার বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনভাতার বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে অত্যন্ত আন্তরিক এবং ইতোপূর্বে আমার বিভিন্ন বক্তব্যে ও গণমাধ্যমে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে সেটা স্পষ্ট করেই বলেছি। তাই প্রকাশিত সংবাদে বেতনভাতার বিষয়টি জড়িয়ে যে বিকৃত, অর্ধসত্য শিরোনামসহ সংবাদ যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। এ ধরনের বক্তব্য আমি প্রদান করিনি।’’ মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়ের উপরোক্ত ব্যাখ্যাটি ঢাকাপ্রকাশ-এ প্রকাশের অনুরোধ জানাচ্ছি।”
প্রতিবেদকের বক্তব্য: রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্যের ভিত্তিতেই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে ঢাকাপ্রকাশ এর কোনো নিজস্ব মতামত প্রকাশ করা হয়নি।