চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে সীমান্তে আমগাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
একইসাথে থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। এতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছে। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা হঠাৎ করেই তারকাটার বেড়ার পাশে ৫০০ থেকে ৬০০ ভারতীয় সাধারণ মানুষকে জড়ো করে।
এ সময় তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে বাংলাদেশী নাগরিকরা খবর পায়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ভারতীয়দের ধাওয়া করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় ভারতীয় নাগরিকরা একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সীমান্তে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
এদিকে বক্তব্য জানতে মহানন্দা ৫৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য কাজ করছে।
এর আগে, গত ৫ জানুয়ারী থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা চারদিন একই ইউনিয়নের চৌকা সীমান্তে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করে। বিএসএফ স্থানীয়দের সহায়তায় আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে অবৈধস্থানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করলে এ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে বিজিবি ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের বাধার মুখে বিএসএফ কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।
গাজায় হামলা চালিয়ে যেতে ইসরায়েলি সেনাদের অস্বীকৃতি। ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিরস্ত্র এক ফিলিস্তিনি কিশোরের হত্যার দৃশ্যটি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ইয়োতাম ভিল্ক। গাজায় ১৫ মাসের যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ব্যক্তিদের মধ্যে ইসরায়েলি সেনারাও আছেন। তাঁদেরই একজন ভিল্ক।
ভিল্কের তথ্যানুসারে, গাজায় ইসরায়েল–নিয়ন্ত্রিত বাফার জোনে অননুমোদিত ব্যক্তি প্রবেশ করলেই তাঁকে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া আছে। তিনি কমপক্ষে ১২ জনকে এভাবে হত্যার শিকার হতে দেখেছেন। তবে ওই কিশোরকে হত্যার দৃশ্যটি এখনো তাঁর চোখের সামনে ভাসছে।
এসব ইসরায়েলি সেনা ইতিমধ্যে গাজায় লড়াই চালিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে সেনারা বলেন, তাঁরা এমন কিছু দেখেছেন বা করেছেন, যা নৈতিকতার সীমারেখাকে ছাড়িয়ে গেছে।
ইসরায়েল ও হামাস গতকাল বুধবার একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে আগামী রোববার থেকে।
অবশ্য এই অগ্রগতির আগেই কিছুসংখ্যক ইসরায়েলি সেনা যুদ্ধ বন্ধের জন্য তৎপরতা শুরু করেন। যেমন প্রায় ২০০ ইসরায়েলি সেনা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, সরকার যদি যুদ্ধবিরতিতে না পৌঁছায়, তবে তাঁরা লড়াই করা বন্ধ করে দেবেন। একে ‘সূচনাপর্ব’ বলে উল্লেখ করা হয়।
গাজায় লড়াই চালিয়ে যেতে রাজি না হওয়া ইসরায়েলের সাত সেনাসদস্য বার্তা সংস্থা এপির সঙ্গে কথা বলেন। ফিলিস্তিনিদের কীভাবে নির্বিচার হত্যা করা হচ্ছে, তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হচ্ছে, তা বর্ণনা করেছেন তাঁরা।
তবে সময় যত গড়াতে থাকে, তত বেশি মতভেদ দেখা দিতে থাকে। তবে সমালোচনাগুলোর বেশির ভাগই নিহত সেনার সংখ্যা বাড়তে থাকা, জিম্মিদের বাড়িতে ফেরাতে ব্যর্থ হওয়াসংক্রান্ত। গাজার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া–সংক্রান্ত নয়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও জাতিহত্যা (জেনোসাইড) চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা জাতিহত্যার অভিযোগ তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
জাতিহত্যা চালানোর অভিযোগগুলো দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, গাজায় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমাতে তারা বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা কখনোই ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলা চালায়নি। কোনো ভুলত্রুটি হয়েছে বলে সন্দেহ হলে তা তদন্ত করা হয়, শাস্তি দেওয়া হয়।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিজেরাই এসবের তদন্ত করছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এপিকে বলেছে, সেনাদের দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতির নিন্দা জানায় তারা। কেউ দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানালে সেনাবাহিনী বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নেয়। ব্যক্তিপর্যায়ে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা হয়।
দায়িত্ব পালন না করতে চাইলে সেনাদের কারাগারে যেতে হতে পারে। তবে এই স্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচির আয়োজকেরা বলেন, চিঠিতে সই করা কোনো সেনাকে এখন পর্যন্ত আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।
২০২৩ সালের নভেম্বরে ভিল্ক গাজায় ঢোকেন। এই ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা বলেন, তিনি ভেবেছিলেন, প্রাথমিকভাবে বল প্রয়োগ করে দুই পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসানো যাবে। কিন্তু যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হতে থাকল, তিনি ততই দেখতে থাকলেন যে মানুষের জীবন কতটা মূল্যহীন।
ভিল্ক বলেন, গত বছরের আগস্টে ওই ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়। সেদিন ইসরায়েলি সেনারা ওই কিশোরকে থামতে বলেছিলেন। সতর্ক করতে তার পায়ে গুলি করা হয়েছিল। তবু ওই কিশোর থামছিল না। নেতজারিম করিডরের বাফার জোনে দিকে হেঁটে আসা অন্যদেরও গুলি করা হয়।
নেতজারিম করিডর হলো গাজার উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলকে বিভক্তকারী সড়ক। ভিল্ক স্বীকার করেন, লোকজনের কাছে অস্ত্রশস্ত্র আছে কি না, তা নির্ধারণ করা কঠিন। তবে তিনি মনে করেন, ইসরায়েলি সেনারা অনেক বেশি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ফেলেন।
বাফার জোনে কিছু প্রাণহানির জন্য হামাসও দায়ী বলে উল্লেখ করেন ভিল্ক। তিনি বলেন, তাঁর সেনা দলের হাতে আটক হওয়া এক ফিলিস্তিনি নাগরিকের কাছ থেকে শুনেছিলেন, ওই করিডর দিয়ে ঢোকার জন্য হামাস লোকজনকে ২৫ ডলার করে দিত। এর মধ্য দিয়ে হামাস ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়ার মাত্রা বোঝার চেষ্টা করত।
ইসরায়েলি সেনাদের কেউ কেউ এপিকে বলেন, গাজা উপত্যকায় তাঁরা যা দেখেছেন, তা হজম করতে তাঁদের সময় লাগবে। অন্যরা বলেছেন, তাঁরা এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাবেক চিকিৎসাকর্মী ইয়ুভাল গ্রিন বলেন, গাজায় প্রায় দুই মাস কাটানোর পর গত বছরের জানুয়ারিতে তিনি পদত্যাগ করেন। যুদ্ধক্ষেত্রে যা দেখছিলেন, তা মেনে নিতে পারছিলেন না বলে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত উত্তেজনার মাঝেই নতুনভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলেন ভারতের সরকার দল বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। বাংলাদেশের উপহাইকমিশনারকে পাঠিয়েছে আলোচনা করতে এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিজেপির এই নেত্রী বলেন,আমরা ভালোভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।
তারপর কুড়ি তারিখের পরে কোনদিক থেকে কোন দিকে, কোথায় কি ছুটে,কি ছুটবে কি হবে,কে ঢুকবে কিছু বলা যাচ্ছে না।আমরাতো বুঝতে পারছি, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার কীভাবে বাংলাদেশের গরীব, অর্ধশিক্ষিত,মানুষদের কীভাবে ভারতের বিরুদ্ধে, তাতাবার চেষ্টা করছে,উষ্কাবার চেষ্টা করছে, এটা আমরা বুঝতে পারছি।
শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে বিজেপির এই নেত্রী আরো বলেন, আপনারা কী বলছেন এটা মানা হচ্ছে না? কি কি ছিল শেখ হাসিনাঝি সরকারের সময় সেগুলা মানা চলবে না।জিরো লাইন এ করে দিবেন এসব কি গল্প দিচ্ছেন।যা হয়ে আসছে,যা আন্তর্জাতিক আইন সে হিসাবেই করা হচ্ছে।
কোন লাভ হবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এগুলা করে কোন লাভ হবে না মোহাম্মদ ইউনূস।কুড়ি তারিখের জন্য অপেক্ষা করছি, আপনারা কুড়ি তারিখ পর অনেক কিছুই দেখতে পাবেন।তারপর মোহাম্মদ ইউনূস আপনি কোথায় থাকবেন, সেটা একবার দেখে নিন।
নেহেরুর কথা উল্লেখ করে বিজেপির এই নেত্রী আরো বলেন, জওরুল লাল নেহেরু আর মহাত্না গান্ধীর জন্য আজ দেশকে ভাগ হতে হয়েছে।এবং হলো তো হলো, সেখানে যারা হিন্দুরা রয়ে গেল তারা দেখলাম বছরের পর বছর শুধু কমতে থাকল।
ভারতবর্ষের মুসলমান বাড়ছে আর পাকিস্তান বলুন আর বাংলাদেশতো আমরা সবাই জানি কি হচ্ছে?আর মোহাম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তীকালীন সরকার তিনি বুঝেছেন, তাঁকে যদি এই সরকারে থাকতে হয়,তাঁর জন্য নির্বাচন তিনি এখন করবেন না।তিনি তা বলেই দিয়েছেন।আর তাকে যদি বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার হিসাবে থাকতে হয়, তাকে সেই মৌলবাদীদের কথা শুনে চলতে হবে।মৌলবাদীরা চাইছে এখানে হিন্দুরা থাকবে না।হিন্দুরা হয় চলে যাক, নয়তো ধর্ম পরিবর্তন করুক।এজন্যই মৌলবাদীদের কথায় হ্যাঁ মিলানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য বিশ তারিখের পর ভারত বাংলাদেশের সাথে আসলে কি করতে চাইছে তা স্পষ্ট করেন নি বিজেপির এই নেত্রী।
রংপুর লালমনিরহাটে মিজানুর রহমান আজহারী। ছবিঃ সংগৃহীত
আমাদের ধর্ম নিয়ে যারা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিহাদ বলে মন্তব্য করেছেন আলোচিত ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, ইসলাম বড় মন মানসিকতার। যে সমস্ত অমুসলিম আমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়, যারা আমাদের ভূখণ্ডকে দখল করতে চায়, যারা আমাদের ধর্ম নিয়া ঠাট্টা বিদ্রুপ করে তারা আমাদের শত্রু। অমুসলিমরা মানবিক দিক থেকে আমাদের ভাই।
শনিবার (১৮ জানুয়ারী) দুপুরে রংপুর লালমনিরহাটের রেলওয়ে সোহরাওয়ার্দী মাঠে ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাট এর আয়োজিত মাহফিলে এ মন্তব্য করেন আলোচিত এক বক্তা।
তিনি বলেন, ইসলামে অমুসলিমদের জান মালের নিরাপত্তার বিধান আছে। যার যার ধর্ম সে সে পালন করে এই বিধান ইসলামে আছে। তিনি হাদিস-কোরআনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যে সকল মুসলমান অমুসলিমদের সম্পদ দখল করবে তারা জাহান্নামে যাবে। তাই অমুসলিমদের জান মালের নিরাপত্তা দিতে হবে মুসলিম ভাইদের। ইসলাম প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে বলেছেন।
তিনি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের বাণীর পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলেন, নতুন বাংলাদেশ এক রোল মডেলের নজির দেখিয়েছেন। মুসলিমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। মন্দিরে মাদরাসার ছাত্ররা পাহাড়া দিয়েছেন। তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
শান্তিপূর্ণভাবে আলোচিত ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে মাহফিল উপলক্ষে গতকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী মাঠ সহ ৪টি মাঠের আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিশুসহ নারী-পুরুষ ভীর জমায়। সকাল থেকে লাখ লাখ জনতার সমাগমে লালমনিরহাট শহর ও তার আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। জোহরের নামাজের পর শুরু হয় বয়ান। মহাগ্রন্থ আল-কুরআন থেকে তাফসির করেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু। জেলা জামাআতের সেক্রেটারি ফিরোজ হায়দার লাবলুর সঞ্চালনা মাহফিলে জেলা জামায়াতের আমীর এ্যাড. আবু তাহের, জেলা বিএনপির সহসভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, জেলা যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।