তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডে ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে এবং ১৫ জন পলাতক রয়েছেন।
গত ১ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান অভিযোগপত্রটি জমা দেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথি কক্ষে তোফাজ্জল হোসেনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তোফাজ্জলের পরিবারের কাছে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা ক্রিকেট স্টাম্প ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তার কাঁধ, পিঠ, পা এবং উরুতে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কারাগারে থাকা ছয় আসামির মধ্যে রয়েছেন: ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল মিয়া, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ এবং ওয়াজিবুল আলম। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পলাতক ১৫ আসামির মধ্যে রয়েছেন: ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, সাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী গাইন, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন এবং আব্দুল্লাহিল কাফি।
অভিযোগপত্রে আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, তোফাজ্জলের ওপর চালানো নির্যাতনের প্রধান কারণ ছিল মোবাইল চুরির মিথ্যা অভিযোগ। মামলাটি প্রথমে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হলেও তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।