শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ২০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছাত্রদের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা পেছানোর কারণ যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে মতবিরোধ এবং রাজনৈতিক সমঝোতার অভাবে ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেন যে, ঘোষণাপত্র জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে। এ নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যেও বিরোধ দেখা দেয়।

বিরোধের মূলে কী ছিল?

১. রাজনৈতিক সমন্বয়ের অভাব: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মতে, জাতীয় ঐকমত্য ছাড়া কোনো ঘোষণা দেওয়া উচিত নয়। তিনি ছাত্রনেতাদের সতর্ক করে দেন যে, এককভাবে ঘোষণা দিলে তিনি সরকারের সঙ্গে থাকতে পারবেন না।

২. আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পর্যায়ের উদ্বেগ:
- ছাত্রদের একক ঘোষণার ফলে রাজনৈতিক বিভাজন এবং বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা দেখা দেয়।
- লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও ছাত্রনেতাদের আলোচনা হয়।

৩. সরকার ও উপদেষ্টাদের মতবিরোধ:
- আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ঘোষণাপত্রের বিরোধিতা করেন।
- ছাত্রউপদেষ্টাদের মধ্যে পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

গত সোমবার গভীর রাতে দফায় দফায় আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হবে। ছাত্ররা আপাতত ঘোষণাপত্র প্রকাশ থেকে সরে এসে কর্মসূচি স্থগিত সিদ্ধান্ত নেয়।

বিরোধী মতামত এবং প্রতিক্রিয়া

১. ছাত্র আন্দোলনের ভেতর দ্বিধা:
- একটি অংশ মনে করে, কর্মসূচি স্থগিত করা আন্দোলনের দুর্বলতা প্রকাশ করে।
- তাদের দাবি, সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করলে ছাত্র আন্দোলনের স্বাতন্ত্র্য হারাবে।

২. বিএনপির অবস্থান:
- বিএনপি মনে করে, ছাত্রদের এই একক উদ্যোগ রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে।
- দলটির মতে, ছাত্র আন্দোলনের দাবি অরাজকতা তৈরির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে।

৩. অন্যান্য রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
- জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির এই কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে কোনো ভূমিকা নেয়নি।
- সরকার সমন্বিত ঘোষণার উদ্যোগ নিয়ে অস্থিতিশীলতা রোধের চেষ্টা করেছে।

শেষ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন “মার্চ ফর ইউনিটি” নামে কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে জনগণের ঐক্য এবং সংস্কারমূলক দাবির প্রতি জোর দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, ঘোষণাপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ১৯৭২ সালের সংবিধান সংশোধনের দাবি জানানো হবে। তবে রাজনৈতিক দল ও সরকারের অবস্থান বিবেচনা করে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।

ছাত্রদের ঘোষণাপত্র আপাতত স্থগিত থাকলেও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণা তৈরির প্রক্রিয়া তাদের দাবি বাস্তবায়নের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেছে। তবে সরকার ও ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কিভাবে এটি কার্যকর হবে, তা দেখার বিষয়।

Header Ad
Header Ad

প্রশিক্ষণ নিতে ভারত যাচ্ছেন ৫০ বিচারক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ভূপালে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য অধস্তন আদালতের আরও ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অনুমতি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। বিচারকরা আগামী ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি এবং স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।

সম্প্রতি অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি ভূপাল এবং একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠাতব্য প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অনুমতি দেওয়া হলো।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এপ্রিলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

ওই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছিলেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিশিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিশিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫-১৬শ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।

এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে ইতোমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এ চুক্তি আওতায়।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ চা বোর্ডে একাধিক পদে চাকরির সুযোগ

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি বাংলাদেশ চা বোর্ড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) ও প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটে (পিডিইউ) বিভিন্ন গ্রেডে অস্থায়ী ভিত্তিতে একাধিক শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য এ পুনর্বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে কুরিয়ার বা ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ চা বোর্ড
পদের সংখ্যা: ০৯টি
লোকবল নিয়োগ: ৪৮ জন

পদের নাম: সার্ভেয়ার
পদসংখ্যা: ০২টি
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি পাসসহ সার্ভে ফাইনাল পরীক্ষায় পাস

পদের নাম: ভাণ্ডাররক্ষক (স্টোরকিপার)
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রিসহ বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি প্রকৌশলী দ্রব্যাদি, মনিহারি দ্রব্যাদি ও সাধারণ স্টোর রক্ষণাবেক্ষণে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

পদের নাম: হিসাব সহকারী
পদসংখ্যা: ০৩টি
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি অথবা দ্বিতীয় বিভাগে এইচএসসি পাস

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ২২টি
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি পাস

পদের নাম: গাড়িচালক
পদসংখ্যা: ০৪টি
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ভারী, মধ্যম বা হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্ত হতে হবে। কোনো সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত অথবা প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ড্রাইভিং কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

পদের নাম: প্লাম্বার
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্লাম্বিং কাজে ট্রেড অথবা ভোকেশনাল সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ১১টি
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।

পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদসংখ্যা: ০২টি
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস

পদের নাম: পরিচ্ছন্নতাকর্মী
পদসংখ্যা: ০২টি
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস

বয়সসীমা: ১৯ মে ২০২৪ তারিখে আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।
আবেদন ফি: সচিব, বাংলাদেশ চা বোর্ড, চট্টগ্রামের অনুকূলে ১ থেকে ৬ নং পদের জন্য ১০০ টাকা এবং ৭ থেকে ৯ নং পদের জন্য ৫০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার (অফেরতযোগ্য) করে মূল রসিদ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

আবেদন পাঠানোর ঠিকানা: সচিব, বাংলাদেশ চা বোর্ড, প্রধান কার্যালয়, ১৭১-১৭২, বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক, নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম-৪২১০।

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করুন
আবেদনের শেষ সময়: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

Header Ad
Header Ad

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার (৪ জানুয়ারি) গভীর রাতে জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়ে পৈরতলার দিকে যায়।

এ সময় মিছিলকারীরা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা আবারো ফিরবে এবং সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ও সাবেক সাংসদ র.আ.ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীর মুক্তির পক্ষে স্লোগান দেয়।

পরে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রশিক্ষণ নিতে ভারত যাচ্ছেন ৫০ বিচারক
বাংলাদেশ চা বোর্ডে একাধিক পদে চাকরির সুযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয়ার বিষয়ে সর্বশেষ যা জানালো ভারত
ভিনির লাল কার্ড আর বেলিংহামের পেনাল্টি মিস, তবুও জিতল রিয়াল
অবশেষে ‘চাঁদের আলো’ খুঁজে পেয়েছেন তাহসান, পাত্রী কে?
পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈতপ্রবাহ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
এবার প্রশিক্ষণরত ২২ কনস্টেবলকে অব্যাহতি
বেনাপোল বন্দর থেকে বিপুল পরিমাণ সার্জিক্যাল ও ঔষধ সামগ্রী জব্দ
ঢালিউডের প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা অঞ্জনা আর নেই
গাবতলীতে ২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের টানা তৃতীয় হার
সাকিবকে ফেরাতে শেষ চেষ্টা করবে বিসিবি  
৬টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়াল অন্তর্বর্তী সরকার
বগুড়ায় প্রতি কেজি ফুলকপি ২ টাকা! বিপাকে কৃষক  
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত  
আওয়ামী লীগের কপালে আগামী নির্বাচন নেই: জামায়াতের আমির
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নোট পেয়েছি, এর বেশি তথ্য নেই: জয়সওয়াল  
গুচ্ছতেই থাকছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
ভারতের ভূখণ্ড নিয়ে নতুন দুই প্রশাসনিক অঞ্চল ঘোষণা চীনের!