মুরাদ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সুমন
ছবি : সংগৃহীত
অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল কথাবার্তা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে পদ হারাতে বসা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কথার অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিচিত মুখ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের (ব্যারিস্টার সুমন) আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিক এই আদেশ দেয়।
আদালতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, 'আমি কারও বিরুদ্ধে আসিনি। আমি এসেছি মুরাদ হাসানের ওই অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তার অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশনা চাইতে। কারণ, তার ওই কথাবার্তা এত অশ্লীল যে, কোনো শিশু যদি তা শুনে তাহলে তাদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে গেলে তা হবে সবার জন্য বিব্রতকর।'
এর প্রেক্ষিতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) বিপুল বাগমারকে বলেন, বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে ওই অডিও-ভিডিওগুলো সরানোর পদক্ষেপ নিতে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে অগ্রগতি আগামীকাল বুধবার (৮ ডিসেম্বর) আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য সম্প্রতি মুরাদ হাসানের পদত্যাগের দাবি তোলে বিএনপি। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই একটি ফোনালাপের অডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেশের একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে মুরাদ হাসানের অশালীন ভাষায় কথা বলতে, এমনকি তাকে শারীরিক নিপীড়নের হুমকি দিতেও শোনা যায়।
সর্বশেষ গত সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।
এমএ/টিটি