বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকেই মেক্সিকোর ভিসা পাবেন বাংলাদেশিরা
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা আবেদনের সুবিধা বাড়িয়েছে মেক্সিকো সরকার। এর ফলে মেক্সিকো ভ্রমণের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজতর হয়েছে। বাংলাদেশিদের জন্য নয়া দিল্লি ছাড়াও যেকোনো দেশে ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে মেক্সিকো সরকার।
বাংলাদেশে ভারতের ভিসা প্রাপ্তিতে জটিলতার মধ্যে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল। রোববার (১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদনের সুবিধা বাড়িয়েছে মেক্সিকো সরকার।
“আগে বাংলাদেশিদের নাগরিকদের জন্য কেবল নয়া দিল্লিতে মেক্সিকো দূতাবাসে ভিসা আবেদন করা বাধ্যতামূলক ছিল। নতুন ব্যবস্থায় বাংলাদেশি নাগরিকরা এশিয়া-প্যাসিফিক বা অন্যান্য দেশের মেক্সিকো দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসা আবেদন জমা দিতে পারবেন।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে জুলাই-অগাস্টের অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ‘নিরাপত্তার’ কথা বলে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে ভারত। এখন শুধু মেডিকেলসহ জরুরি কিছু ভিসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
এর মধ্যে ঢাকায় যেসব দেশের দূতাবাস নেই, সেসব দেশের ভিসা আবেদন করতে দিল্লি যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ‘ডাবল এন্ট্রি ভিসা’ চালু থাকার কথাও জানিয়েছে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র থেকে।
তবে চাহিদার তুলনায় সুযোগ কমে আসায় ভারতীয় ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত স্লট প্রাপ্তিতে জটিলতার কথা বলে আসছেন আবেদনকারীরা।
এর আগে ভারতের ভিসা প্রাপ্তিতে জটিলতার কারণে ব্যাংকক, হ্যানয়সহ কয়েকটি দেশে ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল রোমানিয়া সরকার। অন্যান্য দেশে গিয়ে মেক্সিকোর ভিসা আবেদন করার সুযোগের খবর দেওয়ার পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে ভিসা ছাড়াও যে মেক্সিকোতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে, সেই তথ্যও তুলে ধরেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেক্সিকোর অভিবাসন নীতি অনুযায়ী, যে কোনো দেশের নাগরিকরা সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের জন্য ভিসা ছাড়াই মেক্সিকো ভ্রমণ করতে পারেন; যদি ওই ভ্রমণকারীর বৈধ পাসপোর্ট এবং কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, উত্তর আয়ারল্যান্ড কিংবা শেনগেনভুক্ত যে কোনো দেশের বৈধ ভিসা থাকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সব দেশে মেক্সিকোর ভিসা আবদেনর সুযোগ দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াবে।