গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিক মুন্নী সাহা পরিবারের জিম্মায় মুক্তি
গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিক মুন্নী সাহা পরিবারের জিম্মায় মুক্তি। ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে উদ্ধার করে পুলিশের তত্ত্বাবধানে নেওয়ার পর জামিনের শর্তে পরিবারের জিম্মায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনা তুঙ্গে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারের অফিস থেকে বের হওয়ার পর কিছু ব্যক্তি মুন্নী সাহাকে ঘিরে ধরেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক জানান, মুন্নী সাহাকে ঘিরে ফেলার পর তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় নেওয়া হয়। তার নামে চারটি মামলা থাকায় গ্রেফতার দেখানো হলেও জামিনের শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন জানান, মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে একটি শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপি, সরকারি দলের নেতা-কর্মী এবং কয়েকজন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুন্নী সাহাকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার পর শতাধিক ব্যক্তি তার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, মুন্নী সাহা 'এক টাকার খবর' নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক। এর আগে তিনি এটিএন নিউজে কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালের মে মাসে মালিকপক্ষের সঙ্গে বিরোধের জেরে তিনি পদত্যাগ করেন। ভোরের কাগজ দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করা মুন্নী সাহা একুশে টেলিভিশন ও এটিএন বাংলায়ও কর্মরত ছিলেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে। এতে তার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, লকারসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য চাওয়া হয়েছে।
মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে মামলাগুলো এবং তার ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য তদন্তাধীন থাকায় বিষয়টি এখন গণমাধ্যম ও জনমনে ব্যাপক আলোচিত।