শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মতো মানুষের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং তাঁর অবস্থান কোথায় হওয়া উচিত তা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ পুনরায় নির্ধারণ করবে। তিনি এ মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে দেওয়া মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়। সাহাবুদ্দিন দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজিত রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে এক গোলটেবিল আলোচনায় সারজিস আলম বলেন, "৫ আগস্টের পর আমরা হয়তো ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছি। বিপ্লবী সরকার বা জাতীয় সরকার গঠন করতে পারিনি, যার ফলে সাহাবুদ্দিনের মতো মানুষ এখনও রাষ্ট্রপতির পদে আছেন। আজ তিনি দাবি করছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র দেখেননি। কোন সাহসে তিনি এমন কথা বলতে পারেন?"
সারজিস আরও বলেন, "যদি সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র না দেখে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সেটি বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ পুনরায় নির্ধারণ করবে।"
গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, যারা গণতান্ত্রিক রাজনীতির কথা বলেন, কিন্তু বিগত ১৬ বছর ধরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ হওয়ার সময় নীরব ছিলেন, তাদেরও জবাবদিহি করতে হবে। সারজিস আলম বলেন, "বিগত তিনটি নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন অনিয়মের সময়ে গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে কেউ কথা বলেনি। আওয়ামী লীগের ভূমিমন্ত্রী কানাডায় ৩৬০টি বাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগ আছে, অথচ এর কোনো জবাবদিহি হয়নি।"
সারজিস আলম আরও দাবি করেন, গত তিনটি নির্বাচন বাতিল করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, "বিগত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচনগুলো বাতিল করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত, এবং তাদের নেয়া সকল সুবিধা জনগণকে ফেরত দিতে হবে।"
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন, "ফ্যাসিস্ট সরকারকে পুনর্বাসনের যেকোনো প্রচেষ্টা রুখে দেওয়ার জন্য ছাত্রসমাজ আবারও রাজপথে নামবে।"