চুয়াডাঙ্গা জেলায় টানা পাঁচদিন ধরে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও কৃষকরা। রোদের প্রচণ্ডতা ও গরমের তীব্রতায় একপ্রকার অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন।
সকাল থেকেই সূর্যের তেজ বাড়তে থাকে এবং দুপুর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা চরমে পৌঁছায়। রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে ফাঁকা পরিবেশ, ছায়া বা ঠান্ডা জায়গা ছাড়া কেউই বের হচ্ছেন না প্রয়োজন ছাড়া। কর্মক্ষেত্রে বিশেষত খোলা আকাশের নিচে যাদের কাজ করতে হয়, তাদের কষ্ট যেন দ্বিগুণ হয়ে গেছে। রিকশাচালক, ভ্যানচালক, নির্মাণ শ্রমিকদের দিন কাটছে রোদ আর ঘামের সঙ্গে যুদ্ধ করে।
এদিকে, জেলায় চলছে আউশ ধান কাটার মৌসুম। কিন্তু তীব্র রোদ ও ভ্যাপসা গরমে মাঠে কাজ করতেও হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। দিনের বেলা কৃষিকাজ প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি শুরু হয় ২১ এপ্রিল থেকে। ওই দিন ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২২ এপ্রিল বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬.৩ ডিগ্রি, আর ২৩ এপ্রিল ছুঁয়ে ফেলে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ২৪ এপ্রিল দুপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ ডিগ্রি, যা বিকেলে বেড়ে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৪৬ শতাংশ, যা গরমের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তোলে।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী তিন থেকে চার দিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ২৭ বা ২৮ এপ্রিলের দিকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তখন কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে অঞ্চলটি।
গরমজনিত অসুস্থতা এড়াতে স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্কতা জারি করেছে। প্রচুর পানি পান, হালকা খাবার গ্রহণ এবং সূর্যের প্রখরতা কমার আগে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।