বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এক মাঘে শীত যায় না, গুনে ‍গুনে হিসাব নেওয়া হবে- শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস

ফোনালাপ ফাঁস। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

গণআন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে বিদেশ থেকেই বাংলাদেশে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন রকমের দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কথোপকথনের রেকর্ড ও ফাঁস হয়েছে। যা বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এবার নতুন করে আরেকটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।

নতুন এই ফোনালাপে তিনি গোপালগঞ্জ সদর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন। ৮ মিনিট ২৪ সেকেন্ড এর ফোনালাপে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কথা হয়েছে। ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য পুরো ফোনালাপের কথোপকথন নিচে তুলে ধরা হলো।

শেখ হাসিনা: আমি তো আছি, তোমরা কেমন আছো?

ছাত্রলীগ নেতা: জি আপা আলহামদুলিল্লাহ, আমাকে চিনছেন আমি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোপালগঞ্জ সদরের আপা। হ্যাঁলো...

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা আপনাকে খুব মিস করতেছি আপা। দেশের অবস্থা তো খুবই খারাপ আপা।

শেখ হাসিনা: খুবই খারাপ, সবার উপরেই তো শুরু করছে অ্যারেস্ট আর খুন করা।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা গতকালকে রাতে তো আপনার পার্টি অফিস থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করছে মানে গোপালগঞ্জের পার্টি অফিস থেকে আপা। আপনি নিউজ জানেন কি না। আমরা তো নিয়মিত বাড়িতে ঘুমাইতে পারতেছিনা আপা। প্রশাসন খুব খারাপ করতেছে। যৌথবাহিনী অভিযান করতেছে আপা। হ্যাঁলো...

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ। ওখানে তো এখন একজন শিবির আরেকজন হলো ছাত্রদল তাদেরকে বসাইছে এখন গোপালগঞ্জে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা। আমার আসলে আপনার সাথে অনেকদিন ধরে কথা বলার ইচ্ছা বাট আপনি ধরছেন অনেক ধন্যবাদ আপা। আর আমাদের গোপালগঞ্জে একটা দিক-নির্দেশনা দেবে এরকম একজনকে একটু সেট করলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আর দ্বিতীয়তঃ তাহলে সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা হয়তোবা নামতে পারতো।

শেখ হাসিনা: একজনের নাম বলবা, সাথে সাথে দুই চারটা মামলা দেবে আর গ্রেপ্তার ও করে নেবে।

ছাত্রলীগ নেতা: ওওও, তাহলে আমাদের কোন দিকে যে যাবো আপা আসলে..।

শেখ হাসিনা: নিজেদেরই করতে হবে। যে যেখানে সে অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা আমার ইউনিয়ন হলো বোরাশি ইউনিয়ন। এই যে আপনি যে নৌকায় করে চলতেন, মানে যে রাস্তা দিয়ে যেতেন।

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ আমি চিনি।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: তো যার যার এলাকা নিয়ে সে সে কাজ করতে হবে, আর সবাইকে সাবধান করতে হবে, আর গোপালগঞ্জ, আমাদের গোপালগঞ্জে যেহেতু হাত দিচ্ছে, তো গোপালগঞ্জে যে হাত দেয় তার হাত কিন্তু পোড়ে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা, জ্বি আপা। জ্বি জ্বি।

শেখ হাসিনা: গোপালগঞ্জে হাত দিলে এটা ভালো হবে না।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা আপনি ভালো আছেন তো আপা?

শেখ হাসিনা: আমি ভালো আছি। আমি ঠিক আছি। আমি এই যে কথা বলছি না বাংলাদেশে..। কালকে প্রজ্ঞাপন দিছে এনএসআই, র্যাব, ডিজিএফআই এর রিপোর্ট, আইজিপিকে ডেকে বলে দিছে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি, বর্তমান এমপি ভবিষ্যতে হতে পারে তারা, তাদের আত্মীয় স্বজন, সেই সাথে যারা কাউন্সিলর, মেম্বার তারপরে মেয়র যে যেখানে আছে এবং যে অবস্থায় আছে তাদের আত্মীয়-স্বজন সবাইকে গ্রেপ্তার করতে বলছে। তো আর কতো করবে সেটাই তো কথা।

ছাত্রলীগ নেতা: হ্যাঁ আপা, এখন আমি কালকে আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপনি চিনেন কি না জানি না। এমএম ননী আহম্মেদ ননী উনার সঙ্গে একটা মিটিং করলাম। কথা হইছে অনেক্ষণই। তো উনি দিকনির্দেশনা দিল এবং কালকেই যাওয়ার কথা ছিল আমাদের একটা মিছিল নিয়ে বোরাশি ইউনিয়নের যারা ছাত্রলীগ করে, যারা কর্মী আছে এদের নিয়ে। সন্ধ্যায় ৭ টার পরে প্রোগ্রামটা (মিছিল) ছিল। তো এর মধ্যেই সংবাদ আসলো যে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে। তো আমরা গেলাম না। আর আমাদের আমরা আসলে দলকে ভালোবাসি, আপনাকে ভালোবাসি, সংগঠনটাকে সুন্দরভাবে সচল রাখার চেষ্টা করতেছি এদের খুব ডিস্টার্ব করতেছে। আপনার যেদিন জন্মদিন ছিল আমরা আমাদের ছোটভাইদের দিয়ে বঙ্গবন্ধু কলেজের ওদের দিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠানটা ওরা করতেছিল, কেক কাটতেছিল এর ভিতর দিয়েই ওসি নিজে এসে ওদের কলার ধরলো। মানে খুব এক্টিভ চার-পাঁচজন ছিল আর্মি পরবর্তীতে ওদের বাসায় গিয়ে ঝামেলা করলো।

ছাত্রলীগ নেতাকে আরও বলতে শোনা যায়, আমরা একটা মশাল মিছিলও করলাম সেদিন আমি একদম সামনে ছিলাম। আপনাকে ছবিও পাঠাইছি। আপনি দেখছেন হয়তোবা। আর প্রতিটা মিছিল মিটিংয়ে ইন শা আল্লাহ থাকি কিন্তু এলাকায় এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা হলো আপনার ৭৫ পরবর্তী যেভাবে মানুষজন ভয় পাচ্ছিলো সেই জিনিসটা আপা সবাই করতে চাচ্ছে। মানে জোর করে আসো আমাদের দলে যোগ দেও। চায়ের দোকানে বসলে অনেক কিছুই শোনা যায়। অনেক কিছু বোঝা যায়, কিন্তু এখন আমাদের দরকার সারা বাংলাদেশে, মানে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে বলতেছি সারা বাংলাদেশে যে একটা সংগঠনটা চালাবে, আপনি সভাপতি থাকবেন এবং ভারপ্রাপ্ত যদি কাউকে কোনো দেওয়া যায় যাকে ভালো মনে করেন। তাহলে আমাদের সারা ৬৪ জেলায়..

এই পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকে থামিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শোনো, দাঁড়াও দাঁড়াও, এতো পাকা কথা এখন বলার সময় না।

ছাত্রলীগ নেতা: স্যরি আপা।

শেখ হাসিনা: এখন যার নাম দেব তাকে সবার আগে অ্যারেস্ট করবে। আর তার নামেই সবার আগে মামলা দেবে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা। আপা আমাদের মাঝে মাঝে ওই যে প্রেস, মানে কালকে যে প্রেসটা দিছেন এটা অনেক সুন্দর পড়ছি। অনেক ভালো লাগছে এবং আমি আমার ফেসবুকে ছাড়ছি।

শেখ হাসিনা: হ্যাঁঁ, ওটা আমি নিজে দেখে কারেকশন করে দিছি এবং আমাদের মিডিয়া ফেসবুকে দেওয়া হবে। আর আমাদের কয়েকটা নেতা ঠিক করে দিছি তারা বিভিন্ন ইস্যুতে একটা করে স্টেটমেন্ট দিবে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: শেখ সেলিমের নাম দিয়ে দাও সে চালাক (আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছেন)।

ছাত্রলীগ নেতা: না উনি কীভাবে, উনি তো...

শেখ হাসিনা: তাহলে কে চালাবে...

ছাত্রলীগ নেতা: আপনি যারে বলবেন।

শেখ হাসিনা: আমি যাবে বললে তো হবে না। তোমাদের বাস্তবতাটা বুঝতে চাও না কেন?

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: এখনই যার নাম দেব তখনই সে অ্যারেস্ট হবে।

ছাত্রলীগ নেতা: তাহলে আপনি...

তাকে থামিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন: বসে বসে কারও পাকা পাকা কথা শুনে তো লাভ নাই। এরা তো আমাদের নরমাল রাজনীতি করতে দেবে না।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: সেদিন ওসি যে কলার ধরছে ওই ওসির নাম কি? ওসির বাড়ি কোথায়? সেটা খোঁজ করে বের করো। আমারে পাঠাও।

ছাত্রলীগ নেতা: ঠিক আছে আপা আমার... আপা যদি সুযোগ থাকে আমি আজকেই আপনাকে ওই বিস্তারিত পাঠাচ্ছি উনি কত সালে ঢুকছে (চাকরিতে যোগদানের সময়কাল), সবকিছু পাঠাচ্ছি আমি।

শেখ হাসিনা: হ্যাঁঁ সবকিছু দেও। বলো যে এক মাঘে শীত যায় না।

ছাত্রলীগ নেতা: ঠিক আছে আপা।

শেখ হাসিনা: ১৫ বছর দেশ চালাইছি, বেতন ভাতা বাড়াইছি, রেশন বাড়াইছি, এই পুলিশের সবকিছু করে দিছি। আর্মিদের করে দিছি। এই পর্যন্ত সব কজন আমার জন্য পাওয়া। আর এখন সুদখোর ইউনূসের কথা শুনে লাফাচ্ছে। আর ওইটা জামায়াতের ওরা কয়দিন আছে। সামনে আর একমাস টেকে কি না দেখো।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা, জ্বি আপা, দোয়া করেন আপা।

শেখ হাসিনা: একমাস টেকে কি না দেখো। আর তখনই আপনারা যারা বেশি বাড়াবাড়ি করেন তারা কোথায় যাবেন সেইটা বুঝে নিয়েন (ওসিকে উদ্দেশ্য করে বলা)। আর এই তালিকা সব করে রাখো। আর যারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর, পোড়ানো তাদেরকে ও হিসাবটা, নাম রাখো। এবার যেন ভুল না হয়। পরের বার এর চাচা, ওর মামা, ওর শশুর, ওর শাশুড়ি এই ভুল যেন না হয়।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা...।

শেখ হাসিনা: এবার গুনে ‍গুনে হিসাব নেওয়া হবে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা, জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: আমি গত ২০০৯ এ সরকারে এসেও আমি ওই সময় কাউকে কিছু বলিনি। আমি দেশের উন্নয়ন করছি। আল্লাহ এরপরে যদি সুযোগ দেয় তার আগে যারা আমার নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দিছে, কোপায়ে কোপায়ে ছাত্রলীগরে মারতেছে, প্রত্যেকের এক একটা শিক্ষা আমি দিয়ে ছাড়বো। আর আমি যা বলি, আমি তা করি।

Header Ad
Header Ad

ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার

বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান হৃদয় (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)। ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত থেকে চিনি ও জিরা এনে মজুত করার অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলপুরে বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে পৌর শহরের আমুয়াকান্দা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মালামালসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফুলপুর উপজেলার সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান হৃদয় (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)।

ফুলপুর থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল হাদি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মেজর ইব্রাহীমের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। এসময় ভারতীয় পণ্য গুদামজাত করার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে ১২০ বস্তা চিনি এবং ১৫ বস্তা জিরা জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় মালামাল চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ফুলপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  

ছবিঃ সংগৃহীত

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার, দিনের ভোট রাতে করা, জালিয়াতি ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচনের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ জমা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যালট জালিয়াতি, ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানো ইত্যাদি অভিযোগ এসেছে।

সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি মহানগর, জেলা, বিভাগ, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারের সে সময়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারের এসব অভিযুক্ত কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাভেদ পাটোয়ারী, শহিদুল হক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক র‍্যাবপ্রধান ড. বেনজির আহমেদ, সাবেক প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকি, তৎকালীন জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা রিটানিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিইজি, পুলিশ সুপার, থানার ওসি, জেলা/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং অফিসার।

ইতোমধ্যেই এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে দুদক।

Header Ad
Header Ad

বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, আসন্ন অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেলার ভেতরে ও বাইরে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, ওয়াচটাওয়ার নির্মাণ এবং ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুধবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে বইমেলা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এসব তথ্য জানান তিনি। সভায় বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মেলার ভেতরে ও বাইরে পুলিশের সাদা পোশাক এবং ইউনিফর্ম পরিহিত সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং সোয়াট টিম প্রস্তুত থাকবে। দর্শনার্থীদের আর্চওয়ের মাধ্যমে প্রবেশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং বড় ব্যাগ ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে মেলায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মেলায় লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, হেল্প ডেস্ক এবং শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রও থাকবে। ফায়ার টেন্ডার ও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য মেলা প্রাঙ্গণ আলোকিত রাখা হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ চালানো হবে এবং দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য মাইকিং ও বিলবোর্ড ব্যবহার করা হবে। সব পক্ষের সহযোগিতায় বইমেলা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সমন্বয় সভায় বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, প্রকাশক সমিতি, এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম এবং হাসান মো. শওকত আলী।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু