রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

এক মাঘে শীত যায় না, গুনে ‍গুনে হিসাব নেওয়া হবে- শেখ হাসিনার নতুন ফোনালাপ ফাঁস

ফোনালাপ ফাঁস। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

গণআন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন পর্যন্ত তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে বিদেশ থেকেই বাংলাদেশে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন রকমের দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি কথোপকথনের রেকর্ড ও ফাঁস হয়েছে। যা বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এবার নতুন করে আরেকটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।

নতুন এই ফোনালাপে তিনি গোপালগঞ্জ সদর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন। ৮ মিনিট ২৪ সেকেন্ড এর ফোনালাপে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কথা হয়েছে। ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য পুরো ফোনালাপের কথোপকথন নিচে তুলে ধরা হলো।

শেখ হাসিনা: আমি তো আছি, তোমরা কেমন আছো?

ছাত্রলীগ নেতা: জি আপা আলহামদুলিল্লাহ, আমাকে চিনছেন আমি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গোপালগঞ্জ সদরের আপা। হ্যাঁলো...

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা আপনাকে খুব মিস করতেছি আপা। দেশের অবস্থা তো খুবই খারাপ আপা।

শেখ হাসিনা: খুবই খারাপ, সবার উপরেই তো শুরু করছে অ্যারেস্ট আর খুন করা।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা গতকালকে রাতে তো আপনার পার্টি অফিস থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করছে মানে গোপালগঞ্জের পার্টি অফিস থেকে আপা। আপনি নিউজ জানেন কি না। আমরা তো নিয়মিত বাড়িতে ঘুমাইতে পারতেছিনা আপা। প্রশাসন খুব খারাপ করতেছে। যৌথবাহিনী অভিযান করতেছে আপা। হ্যাঁলো...

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ। ওখানে তো এখন একজন শিবির আরেকজন হলো ছাত্রদল তাদেরকে বসাইছে এখন গোপালগঞ্জে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা। আমার আসলে আপনার সাথে অনেকদিন ধরে কথা বলার ইচ্ছা বাট আপনি ধরছেন অনেক ধন্যবাদ আপা। আর আমাদের গোপালগঞ্জে একটা দিক-নির্দেশনা দেবে এরকম একজনকে একটু সেট করলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আর দ্বিতীয়তঃ তাহলে সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা হয়তোবা নামতে পারতো।

শেখ হাসিনা: একজনের নাম বলবা, সাথে সাথে দুই চারটা মামলা দেবে আর গ্রেপ্তার ও করে নেবে।

ছাত্রলীগ নেতা: ওওও, তাহলে আমাদের কোন দিকে যে যাবো আপা আসলে..।

শেখ হাসিনা: নিজেদেরই করতে হবে। যে যেখানে সে অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা আমার ইউনিয়ন হলো বোরাশি ইউনিয়ন। এই যে আপনি যে নৌকায় করে চলতেন, মানে যে রাস্তা দিয়ে যেতেন।

শেখ হাসিনা: হ্যাঁ আমি চিনি।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: তো যার যার এলাকা নিয়ে সে সে কাজ করতে হবে, আর সবাইকে সাবধান করতে হবে, আর গোপালগঞ্জ, আমাদের গোপালগঞ্জে যেহেতু হাত দিচ্ছে, তো গোপালগঞ্জে যে হাত দেয় তার হাত কিন্তু পোড়ে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা, জ্বি আপা। জ্বি জ্বি।

শেখ হাসিনা: গোপালগঞ্জে হাত দিলে এটা ভালো হবে না।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা আপনি ভালো আছেন তো আপা?

শেখ হাসিনা: আমি ভালো আছি। আমি ঠিক আছি। আমি এই যে কথা বলছি না বাংলাদেশে..। কালকে প্রজ্ঞাপন দিছে এনএসআই, র্যাব, ডিজিএফআই এর রিপোর্ট, আইজিপিকে ডেকে বলে দিছে আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি, বর্তমান এমপি ভবিষ্যতে হতে পারে তারা, তাদের আত্মীয় স্বজন, সেই সাথে যারা কাউন্সিলর, মেম্বার তারপরে মেয়র যে যেখানে আছে এবং যে অবস্থায় আছে তাদের আত্মীয়-স্বজন সবাইকে গ্রেপ্তার করতে বলছে। তো আর কতো করবে সেটাই তো কথা।

ছাত্রলীগ নেতা: হ্যাঁ আপা, এখন আমি কালকে আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপনি চিনেন কি না জানি না। এমএম ননী আহম্মেদ ননী উনার সঙ্গে একটা মিটিং করলাম। কথা হইছে অনেক্ষণই। তো উনি দিকনির্দেশনা দিল এবং কালকেই যাওয়ার কথা ছিল আমাদের একটা মিছিল নিয়ে বোরাশি ইউনিয়নের যারা ছাত্রলীগ করে, যারা কর্মী আছে এদের নিয়ে। সন্ধ্যায় ৭ টার পরে প্রোগ্রামটা (মিছিল) ছিল। তো এর মধ্যেই সংবাদ আসলো যে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে। তো আমরা গেলাম না। আর আমাদের আমরা আসলে দলকে ভালোবাসি, আপনাকে ভালোবাসি, সংগঠনটাকে সুন্দরভাবে সচল রাখার চেষ্টা করতেছি এদের খুব ডিস্টার্ব করতেছে। আপনার যেদিন জন্মদিন ছিল আমরা আমাদের ছোটভাইদের দিয়ে বঙ্গবন্ধু কলেজের ওদের দিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠানটা ওরা করতেছিল, কেক কাটতেছিল এর ভিতর দিয়েই ওসি নিজে এসে ওদের কলার ধরলো। মানে খুব এক্টিভ চার-পাঁচজন ছিল আর্মি পরবর্তীতে ওদের বাসায় গিয়ে ঝামেলা করলো।

ছাত্রলীগ নেতাকে আরও বলতে শোনা যায়, আমরা একটা মশাল মিছিলও করলাম সেদিন আমি একদম সামনে ছিলাম। আপনাকে ছবিও পাঠাইছি। আপনি দেখছেন হয়তোবা। আর প্রতিটা মিছিল মিটিংয়ে ইন শা আল্লাহ থাকি কিন্তু এলাকায় এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা হলো আপনার ৭৫ পরবর্তী যেভাবে মানুষজন ভয় পাচ্ছিলো সেই জিনিসটা আপা সবাই করতে চাচ্ছে। মানে জোর করে আসো আমাদের দলে যোগ দেও। চায়ের দোকানে বসলে অনেক কিছুই শোনা যায়। অনেক কিছু বোঝা যায়, কিন্তু এখন আমাদের দরকার সারা বাংলাদেশে, মানে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে বলতেছি সারা বাংলাদেশে যে একটা সংগঠনটা চালাবে, আপনি সভাপতি থাকবেন এবং ভারপ্রাপ্ত যদি কাউকে কোনো দেওয়া যায় যাকে ভালো মনে করেন। তাহলে আমাদের সারা ৬৪ জেলায়..

এই পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকে থামিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শোনো, দাঁড়াও দাঁড়াও, এতো পাকা কথা এখন বলার সময় না।

ছাত্রলীগ নেতা: স্যরি আপা।

শেখ হাসিনা: এখন যার নাম দেব তাকে সবার আগে অ্যারেস্ট করবে। আর তার নামেই সবার আগে মামলা দেবে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা। আপা আমাদের মাঝে মাঝে ওই যে প্রেস, মানে কালকে যে প্রেসটা দিছেন এটা অনেক সুন্দর পড়ছি। অনেক ভালো লাগছে এবং আমি আমার ফেসবুকে ছাড়ছি।

শেখ হাসিনা: হ্যাঁঁ, ওটা আমি নিজে দেখে কারেকশন করে দিছি এবং আমাদের মিডিয়া ফেসবুকে দেওয়া হবে। আর আমাদের কয়েকটা নেতা ঠিক করে দিছি তারা বিভিন্ন ইস্যুতে একটা করে স্টেটমেন্ট দিবে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: শেখ সেলিমের নাম দিয়ে দাও সে চালাক (আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছেন)।

ছাত্রলীগ নেতা: না উনি কীভাবে, উনি তো...

শেখ হাসিনা: তাহলে কে চালাবে...

ছাত্রলীগ নেতা: আপনি যারে বলবেন।

শেখ হাসিনা: আমি যাবে বললে তো হবে না। তোমাদের বাস্তবতাটা বুঝতে চাও না কেন?

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: এখনই যার নাম দেব তখনই সে অ্যারেস্ট হবে।

ছাত্রলীগ নেতা: তাহলে আপনি...

তাকে থামিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন: বসে বসে কারও পাকা পাকা কথা শুনে তো লাভ নাই। এরা তো আমাদের নরমাল রাজনীতি করতে দেবে না।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: সেদিন ওসি যে কলার ধরছে ওই ওসির নাম কি? ওসির বাড়ি কোথায়? সেটা খোঁজ করে বের করো। আমারে পাঠাও।

ছাত্রলীগ নেতা: ঠিক আছে আপা আমার... আপা যদি সুযোগ থাকে আমি আজকেই আপনাকে ওই বিস্তারিত পাঠাচ্ছি উনি কত সালে ঢুকছে (চাকরিতে যোগদানের সময়কাল), সবকিছু পাঠাচ্ছি আমি।

শেখ হাসিনা: হ্যাঁঁ সবকিছু দেও। বলো যে এক মাঘে শীত যায় না।

ছাত্রলীগ নেতা: ঠিক আছে আপা।

শেখ হাসিনা: ১৫ বছর দেশ চালাইছি, বেতন ভাতা বাড়াইছি, রেশন বাড়াইছি, এই পুলিশের সবকিছু করে দিছি। আর্মিদের করে দিছি। এই পর্যন্ত সব কজন আমার জন্য পাওয়া। আর এখন সুদখোর ইউনূসের কথা শুনে লাফাচ্ছে। আর ওইটা জামায়াতের ওরা কয়দিন আছে। সামনে আর একমাস টেকে কি না দেখো।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা, জ্বি আপা, দোয়া করেন আপা।

শেখ হাসিনা: একমাস টেকে কি না দেখো। আর তখনই আপনারা যারা বেশি বাড়াবাড়ি করেন তারা কোথায় যাবেন সেইটা বুঝে নিয়েন (ওসিকে উদ্দেশ্য করে বলা)। আর এই তালিকা সব করে রাখো। আর যারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর, পোড়ানো তাদেরকে ও হিসাবটা, নাম রাখো। এবার যেন ভুল না হয়। পরের বার এর চাচা, ওর মামা, ওর শশুর, ওর শাশুড়ি এই ভুল যেন না হয়।

ছাত্রলীগ নেতা: আপা...।

শেখ হাসিনা: এবার গুনে ‍গুনে হিসাব নেওয়া হবে।

ছাত্রলীগ নেতা: জ্বি আপা, জ্বি আপা।

শেখ হাসিনা: আমি গত ২০০৯ এ সরকারে এসেও আমি ওই সময় কাউকে কিছু বলিনি। আমি দেশের উন্নয়ন করছি। আল্লাহ এরপরে যদি সুযোগ দেয় তার আগে যারা আমার নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দিছে, কোপায়ে কোপায়ে ছাত্রলীগরে মারতেছে, প্রত্যেকের এক একটা শিক্ষা আমি দিয়ে ছাড়বো। আর আমি যা বলি, আমি তা করি।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া