বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের কথা রয়েছে। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের বিষয়টি অনিশ্চিত।

জাতিসংঘের আসন্ন ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। তার সঙ্গে আরও ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তারা নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নির্ধারিত বক্তৃতা দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর রাতে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে একাধিক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা আছে ড. ইউনূসের। এছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করার কথা আছে প্রধান উপদেষ্টার।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আলোচনায় আছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারটি। এছাড়া সার্কভুক্ত আরেক দেশ নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে।

অবশ্য, সম্প্রতি ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম দাবি করেছে, নিউইয়র্কে অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক চেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান। শুধু তা-ই নয়, নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক না হওয়ার বার্তাও দিয়েছে ওইসব গণমাধ্যম। তবে, ঢাকা ও ভারতের সংশ্লিষ্টরা এখনও বিষয়টি স্পষ্ট করেনি।

এছাড়া, আয়োজক দেশ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের।

কূটনৈতিক সূত্রমতে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন এবং বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স হামাদ বিন ঈসা আল খালিফার সঙ্গেও ড. ইউনূসের বৈঠক হতে পারে অধিবেশনের ফাঁকে। পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ এ খানের সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। সফরকালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ. হংবোর সঙ্গেও সাক্ষাৎ হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সাধারণ পরিষদে কনফারেন্স ডিপ্লোমেসির সুযোগ থাকে এবং সাইডলাইনে সবসময় বৈঠক হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বৈঠকগুলো শেষ মুহূর্তে ঠিক হয়। আবার অনেক সময় দুইপক্ষের আগ্রহ থাকলেও সময় সংক্ষিপ্ততা বা শিডিউল অমিলের কারণে বৈঠক করা সম্ভব হয়না।

Header Ad
Header Ad

আঁতাতের মাধ্যমে আ.লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত

যারা আগে আন্দোলনের ডাক দিয়ে মাঠ থেকে সরে যেতো, তারাই এখন আঁতাতের রাজনীতি, ভারতনির্ভর কূটনীতির মাধ্যমে আওয়ামী পুনর্বাসন চাচ্ছে। বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এই মন্তব্য করেন।

হাসনাত আরও লিখেন, ‘দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় কার সঙ্গে কে ব্যবসা করেছে, আর গ্রেফতারের পর কে কার জন্য তদবির করেছে এই খবর আমাদের কাছে আছে।’

এই পোস্টটি দেয়ার আগে হাসনাত আব্দুল্লাহ তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের করা একটি পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছেন।

নাহিদ তার পোস্টে লিখেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। এক-এগারোর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে।’

ছাত্র এবং অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ অগাস্ট থেকেই শুরু হয়েছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা লিখেন, ‘৫ অগাস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, পুলিশের গুলি অব্যাহত ছিল। তখন আমাদের আপসকামী অনেক জাতীয় নেতৃবৃন্দ ক্যান্টনমেন্টে জনগণকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)। ৩ অগাস্ট থেকে বলে আসছি আমরা কোনো প্রকারের সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেব না। আমাদের বারবার ক্যান্টেন্টমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিংয়ের মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।’

আওয়ামী লীগের বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সম্ভব হয়েছে অথচ এত হত্যা ও অপরাধের পরও বাংলাদেশে দলটির বিরুদ্ধে ঐক্য করা যায়নি বলে মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি লিখেন, ‘হায় এই জাতীয় ঐক্য লইয়া আমরা কি রাষ্ট্র বানাবো! বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ। কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়। এ দেশের বড় বড় লোকেরা অল্পমূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে।’

Header Ad
Header Ad

দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি হাল ধরেছে: সেলিমা রহমান

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি হাল ধরেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আজকে বিএনপির ৩১ দফা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে বুঝাতে হবে। বিএনপি সবসময় মানুষের কল্যাণে সংস্কার করে গেছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, সেটি হলো- বাংলাদেশে যতগুলো ক্রান্তিলগ্নে এসেছে, বিএনপি প্রতিটি সময় হাল ধরেছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘কলমকলি’র উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান এ কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টে আমাদের যে আন্দোলন হয়েছে, বুকের রক্ত দিয়ে যারা এদেশকে মুক্ত করেছে তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন রয়েছে। কিন্তু, সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে তাদের বুকের রক্ত কিন্তু এখনো শুকায়নি। রাজপথ এখনো তাদের রক্তে লাল হয়ে আছে। কিন্তু, শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত সরকার এই দেশে আন্তর্জাতিক চক্র হিসেবে নানারকম মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশকে নানাভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। আমরা মুক্তভাবে নিশ্বাস নিতে পারছি। এটা কিন্তু দীর্ঘ আন্দোলনের ফল ছিল। বিগত ১৫ বছর বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্যাতিত, গুম-খুনের শিকার হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারতো না।

সেলিমা রহমান আরও বলেন, আজকে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। একটা দানবীয় সরকার দুটি প্রজন্মকে জিয়াউর রহমানের নাম জানতে দেয়নি। এত বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করেছে কিন্তু, তার মেয়ে (শেখ হাসিনা) শেখ মুজিবের নাম একবারে তলানিতে নিয়ে গেছে।

সেলিমা রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিশুদের জন্য শিশু একাডেমি করেছেন। শিশু পার্ক করেছেন। এমন কিছু নেই, যা তিনি শিশুদের জন্য করেননি। নারী ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় সংস্কারক ছিলেন জিয়াউর রহমান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আজকে শিশু পার্ক নেই। শিশু একাডেমি নেই। আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা অন্যের কালচার নিয়ে কাজ করেছি। একটি দানবীয় সরকার শুধু তার নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের হাত ধরে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, মৌলিক অধিকারসহ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের কড়া জবাব দিলেন নাহিদ ইসলাম

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ জবাব দেন তিনি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, বিএনপি মহাসচিবের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে। ১/১১ এর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে।

তিনি লেখেন, ছাত্র এবং অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে মাইনাস করার পরিকল্পনা ৫ আগস্ট থেকেই শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট যখন ছাত্র-জনতা রাজপথে লড়াই করছে, পুলিশের গুলি অব্যাহত রয়েছ, তখন আমাদের আপোষকামী অনেক জাতীয় নেতৃবৃন্দ ক্যান্টনমেন্টে জনগণকে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)।

নাহিদ লিখেছেন, আমরা ৩ অগাস্ট থেকে বলে আসছি আমরা কোনো প্রকারের সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নেবো না। আমাদেরকে বারবার ক্যান্টেন্টমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিং এর মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। আমরা চেয়েছিলাম ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেকদিন স্থায়ী হবে এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয় নাই। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেই দেশে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল। অথচ বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলতেছে সামনের নির্বাচনের পরে।

তিনি লেখেন, ছাত্ররাই এই সরকারের এবং বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর যেটা ১/১১ এর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে। বিএনপি কয়েকদিন আগে মাইনাস টু এর আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটা মেনে নেবে না। আমি মনে করি এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।

উপদেষ্টা লেখেন, আর এই সরকার জাতীয় সরকার না হলেও সরকারে আন্দোলনের সব পক্ষেরই অংশীদারত্ব রয়েছে এবং সব পক্ষই নানান সুবিধা ভোগ করছে। সরকার গঠনের আগেই ৬ অগাস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পুলিশের আগের আইজির নিয়োগ হয়েছিল যারা মূলত বিএনপির লোক। এরকমভাবে সরকারের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থি লোকজন রয়েছে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতার কথা বললে এই বাস্তবতায়ও মাথায় রাখতে হবে।

তিনি লেখেন, রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন, সংস্কার, নতুন সংবিধান, জুলাই ঘোষণা সব ইস্যুতেই বিএনপি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অথচ এগুলা কোনোটাই ছাত্রদের দলীয় কোনো দাবি ছিল না। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতা, বৃহত্তর স্বার্থ এবং জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ছাত্ররা বারবার তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কিন্তু এর মানে এই না যে গণতন্ত্রবিরোধী ও অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বিরোধী কোনো পরিকল্পনা হলে সেখানে আমরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেবো। আওয়ামী লীগ বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সম্ভব হয়েছে অথচ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিষয়ে আমরা ঐক্য করতে পারি নাই এত হত্যা ও অপরাধের পরেও। হায় এই ‘জাতীয় ঐক্য’ লইয়া আমরা কী রাষ্ট্র বানাব!

তিনি আরও লিখেছেন, বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়। এ দেশের বড় বড় লোকেরা অল্পমূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। আমি মনে করি না সমগ্র বিএনপি এই অবস্থান গ্রহণ করে। বরং বিএনপির কর্মী সমর্থকদের বড় অংশই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন চায়। বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বকে আহ্বান করব, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির পথ বেছে নিন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক স্বাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক গঠন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, সরকারে নিজেদের প্রতিনিধি রেখে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি মেনে নেবে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আঁতাতের মাধ্যমে আ.লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি হাল ধরেছে: সেলিমা রহমান
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের কড়া জবাব দিলেন নাহিদ ইসলাম
দেশের বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত ৩৬৭ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
দুর্বার রাজশাহীর কাছে অপ্রতিরোধ্য রংপুরের প্রথম হারের স্বাদ
যে ৭ ভুলে দ্রুত নষ্ট হবে আপনার শখের স্মার্টফোন
অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার খরচ যোগাতে সড়কে পিঠা বিক্রি করছেন নূর ছবি বেগম
‘অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে কারাবন্দি হয়েছিলাম, এখন মেয়ের বয়স ১৫ বছর’
আবারও শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা, জানা গেল কবে-কোথায় বাড়বে শীত
ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে
টাঙ্গাইলে মাদক কারবারি আনোয়ারের স্ত্রীকে গ্রেফতার, স্বামী পলাতক
টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা, লেবু বাগানে মিলল মরদেহ
শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিতরণের বই পাওয়া যাচ্ছে খোলাবাজারে!
ফেব্রুয়ারিতে বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক  
ইবিতে বাস ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমন্বয়কদের হাতাহাতি
হলিউডে অভিনয় করার বিষয়ে যা বললেন জায়েদ খান
১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মশিউর গ্রেপ্তার
এবার ইলিয়াসের লাইভে আসছেন কর্নেল রাশেদ চৌধুরী, জানাবেন অজানা তথ্য
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ১০ বছরেও শেষ হবেনা: মির্জা ফখরুল