বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির গ্রেফতার হয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোরে বরগুনা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান। তিনি জানান, ঢাকা থেকে পুলিশের একটি টিম এসে তাকে গ্রেফতার করে। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর বিশৃঙ্খলা এবং প্রতিবিপ্লবের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারের কারণটি তিনি পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি।
এর আগে, সোমবার (১২ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ফোনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিন মিনিটের ফোনালাপে শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীর কবীরকে বলেন, আপনারা শৃঙ্খলা মেনে দলীয় কার্যক্রম চালাবেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে যথাযথভাবে পালন করবেন। মো. জাহাঙ্গীর কবীর শেখ হাসিনাকে বলেন, আপা আপনি ঘাবড়াবেন না (মনোবল হারাবেন না)। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই। আমরা শক্ত আছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘাবড়াবো কেন। আমি ভয় পাইনি। আপনারা দেখছেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে মেরে কিভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমাদের কর্মীদের মেরেছে। বোরকা পরে মেরেছে। এ দেশটা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আপনারা যেভাবে আছেন থাকেন।
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ৪ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
কুড়িগ্রামে আলোচিত অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, বিচার না পেয়ে লজ্জায় স্বামী-স্ত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা এবং স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় চার আসামির মধ্যে ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা গেলেও মামলা ৩ মাস ১৫ দিন পার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে শুকুর আলী (৫০)।
এর আগে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে রাজিবপুর পুলিশ। গত শনিবার (১ জুন) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রধান আসামি মো. জয়নাল আবেদীন (৪৮) ও আরেক আসামি মো. আলম হোসেন (৪০)।
পরে এ ঘটনায় অন্যতম প্রধান পলাতক আসামি মো. সোলায়মান (২৯) কে যৌথ অভিযানে ১৫ জুন শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুর এবং র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর।
সোলায়মানকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, আমরা বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বসহকারে দেখেছি। র্যাবের যৌথ অভিযানে পলাতক আসামি মো. সোলায়মান (২৯) গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়াও পলাতক আসামি শুক্কুর আলীকে (৫০) ধরতে তৎপর রয়েছে র্যাব।
পলাতক আসামী শুকুর আলীর বিষয়ে রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিমুর রহমান বলেন, আমি যেহেতু তৎকালীন সময়ে রাজিবপুর থানার দায়িত্বে ছিলাম না। থানার আয়ুর কাছে তথ্য নিয়ে জানাতে পারবো।
গার্মেন্টস শ্রমিকের ধর্ষণ চেষ্টাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মোমবাতি প্রজ্জালন ও মানববন্ধন করেছে শ্রমিক বৃন্দ, কুড়িগ্রাম। এছাড়াও গ্রেফতার না হলে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছিল তারা। পরে গত ১২ জুন ২০২৪ মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
একটি সূত্রে জানা যায়, একটি অডিও কল রেকর্ড নিয়ে আলোচনায় আসার পর কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম নির্দেশেই রাজিবপুর থানা মামলাটি গ্রহণ করে।
ভুক্তভোগী কোহিনুর আক্তার বলেন, মামলা নিতেও সময় ক্ষেপন করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের বিষয়ে রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিমুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
এদিকে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি আব্দুল্লাহ ও কেসমত এর বিরুদ্ধে মিয়াপাড়া ওসিমন নেসা মাদরাসার সেক্রেটারী আজিজুর রহমান ক্বারীকে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও হুমকি দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর আসরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় আব্দুল্লাহ ও কেসমত আলী আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের হাতে থাকা রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মেরে জখম করে। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। পরে আমি রাজিবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে জামালপুরে একটি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করলে সেখান থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করি। ঘটনার পরে থানায় অবহিত করি এবং একটি অভিযোগ প্রদান করি।
আজিজুর রহমান ক্বারীকে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও হুমকি বিষয়ে রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিমুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আনতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
ভারত বধের লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছাড়ল বাংলাদেশ দল। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট জয়ের পর বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন ক্রিকেটাররা। ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তরফে ক্রিকেটারদের বোনাসও দেওয়া হয়েছে। অবশ্য পাকিস্তান সিরিজের পর আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ এবং তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশ ছাড়লেন ক্রিকেটাররা।
দুপুর ১টা ৫ মিনিটের ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন ক্রিকেটাররা। দলের সঙ্গে এদিন ১৫ ক্রিকেটার গিয়েছেন। এ ছাড়া ইংল্যান্ড থেকে ভারতে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের।
দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন শান্ত। এ সময় নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো দল হিসেবে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করবো, যাতে ভালো ক্রিকেট খেলা যায়। বাংলাদেশ দল জিতুক এটাই পরিকল্পনা। সেই লক্ষ্যেই আমরা মাঠে নামব। আর আমি নিজেও ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো দলের হয়ে অবদান রাখার।
ভারত সিরিজ চ্যালেঞ্জিং হবে মন্তব্য করে টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন, এই সিরিজটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ তারা আমাদের থেকে র্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচদিন ভালো ক্রিকেট খেলা। কারণ বেশিরভাগ ম্যাচে শেষ দিনে গিয়ে ফলাফল হয়। তাই শেষদিন পর্যন্ত খেলা নিতে পারলে আমাদের হয়তো একটা সুযোগ থাকবে। কী ধরনের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন, সেটাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেখানে আমাদের যেহেতু অনুশীলন সেশন রয়েছে, তাই আশা করছি ভালো কিছুই হবে।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বারম স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ১৯ সেপ্টেম্বরে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ২৬ সেপ্টেম্বরে কানপুরে। দুটি টেস্ট ম্যাচই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। টেস্ট শেষে মাঠে গড়াবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবিতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসসড়ক অবরোধ। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বিটেক) অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার বাগুটিয়া বিটেক কলেজের সামনে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুই ঘণ্টা যানজট সৃষ্টি হয়।
এ সময় বিক্ষোভের খবর পেয়ে পাশ্ববর্তী ঘাটাইল সেনানিবাস থেকে আসা সেনাবাহিনীর গাড়িও আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের সাথে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা কথা বলে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলে বেলা ১ টার দিকে অবরোধ থেকে সরে যায় এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন তারা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, পূর্বের অধ্যক্ষ পদত্যাগের এক মাস হয়ে গেলেও কলেজে এখনো অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ঢাকা থেকে এই কলেজের যারা নিয়ন্ত্রক তারা আমাদের অনেক আশার বাণী শুনান, কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাইনি এবং দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
তারা আরও বলেন- এতে করে প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের নানা ধরণের শিক্ষা কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই আমরা অতি দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি এবং সড়ক অবরোধ করেছি। দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগ না দেওয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
কালিহাতীর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া বলেন, কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে প্রশাসন ও পুলিশ পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে তাদের দাবির বিষয়টির ব্যাপারে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস প্রদান করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয় এবং সড়কে অবস্থান থেকে সরে যায়। এখন পরিবেশ ভালো রয়েছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সিফাত বিন সাদেক জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বিটেকের কনফারেন্স রুমে আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।