বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের ১১ দফা দাবি
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের মধ্যে কয়েকজন। ছবি: সংগৃহীত
সরকারি চাকরি দিয়ে পুনর্বাসনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবার। প্রস্তাবিত ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবার বিষয়ক কমিটি’র আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবির কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহত শিক্ষার্থী, শিশু, যুবক, বৃদ্ধ, পুরুষ ও নারীর পরিবারের সঠিক তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তাদের ১১ দফা দাবিগুলো হলো-
১. প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সকল ছাত্রছাত্রীদের ফুডকার্ড বয়সভিত্তিক আনুমানিক কমবেশি ২,০০০-৩,০০০/- (দুই/-তিন হাজার) টাকা মাসিক অনুদান।
২. চাকরিপ্রত্যাশীদের কমবেশি বেকারভাতা ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা প্রদান।
৩. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সেনা তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা ও নিহতদের সঠিক তথ্য অনুসন্ধানে সশস্ত্রবাহিনী ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দ্রুত পুনর্বাসন করা।
৪. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরাসরি সরকারি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান।
৫. পিলখানা শহীদ সেনাকর্মকর্তাসহ অদ্যবধি বিভিন্ন আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদের স্মরণে শেখ হাসিনা পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তির নামে স্থাপিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ওই শহীদদের নামে নামকরণ।
৬. জাতিসঙ্ঘে শান্তিরক্ষা মিশন সমাপনকারী দল নিরপেক্ষ সাবেক সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ও নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের জরুরি ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের সহযোগী হিসেবে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটসকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৭. বিগত দিনে আন্দোলনে ব্যবহৃত সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া।
৮. গ্রামীণ সামাজিক অর্থনীতি দ্রুত বিকাশে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্থানীয় সামাজিক সংগঠনগুলোকে সক্রিয় হতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উৎসাহিত করা।
৯. বিগত সরকারের আমলে সৎ ও দক্ষ সব শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, যারা জুলুম ও বৈষম্যের শিকার হয়ে প্রমোশন বঞ্চিত/বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণকারীদের পুনরায় পদায়ন বিবেচনা।
১০. বৃহৎ ঋণ খেলাপিদের অর্থ ও বিদেশে পাচারকৃত সকল অর্থ দ্রুত ফিরিয়ে আনা এবং বৃহৎ ঋণ খেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের সামরিক আদালতে দ্রুত বিচার করা।
১১. কোটা বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় শিক্ষার্থী পরিবার, আহত পরিবার ও নিহত পরিবার হতে সমন্বিতভাবে অন্তত একজনকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা।