১ দফা ঘোষণার পর অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে যেসব পরামর্শ দিলেন সমন্বয়করা
ছবি: সংগৃহীত
দ্রোহযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আগামীকাল রোববার (৪ আগস্ট) থেকে এ দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কর্মসূচিতে এক দফা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এই সরকার ও তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে।
এ সময় আরও কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হলো-
- ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করা হবে। যেখানে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। এমন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করা হবে যাতে বাংলাদেশে আর কখনই স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে।
- অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন চলবে
- রোববার সকল জেলা, উপজেলা, পাড়ায়, মহল্লায় বিক্ষোভ ও গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে
- সকল খুনের বিচার এবং সকল রাজবন্দিকে মুক্ত করা হবে
- সকল ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেয়ার সময়সীমা ২৪ ঘণ্টা। রোববারের মধ্যে হল খোলা না হলে শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্ব হল খুলে প্রবেশ করবে।
- সর্বস্তরের নাগরিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে শিগগির ক্ষমতা হস্তান্তরের জাতীয় রুপরেখা হাজির করা হবে।
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে জাতীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এক দফার বিষয়ে সারাদেশের মানুষের সমর্থন রয়েছে। শহীদ মিনারে আজ মানুষের গণবিস্ফোরণ ঘটেছে। যতদিন না পর্যন্ত এক দফা বাস্তবায়ন না হচ্ছে, ততদিন অসহযোগ আন্দোলন পালন করার আহ্বান জানান তিনি।