সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫ | ৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায় সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। এর ফলে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেক মানুষ এখানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। তবে এর একটি নেতিবাচক দিক হচ্ছে, কিছু অপেশাদার সাংবাদিক তৈরি হওয়ায় পেশাদার সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার চায় হঠাৎ করে কোনো নোটিশ ছাড়াই যাতে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা না হয়, একইভাবে কোনো নোটিশ দেওয়া ছাড়াই কোনো সাংবাদিক যেন চাকরি ছেড়ে না দেন। গণমাধ্যমে সরকার ন্যায্যতার জায়গা নিশ্চিত করতে চায়।

সাংবাদিক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের উদ্দেশ্য নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য থাকলে সরকার গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি করতো না। তবে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়া, যাতে যে কেউ মন চাইলেই সাংবাদিকতায় আসতে না পারে। যাতে অপেশাদার সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতার দায় পেশাদার সাংবাদিকদের নিতে না হয়।

তিনি আরো বলেন, সরকার চায় পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতার অনুশীলন সুরক্ষিত হোক। এই লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে সকল অংশীজনদের সাথে নিয়ে সরকার কাজ করবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম কর্মী আইনে ইলেকট্রনিক প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সব গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এটি সর্বজনীন একটি আইন হবে। এ আইনে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবাই চাকরি করার সময় সুরক্ষা পাবেন। এ আইনের আওতায় শ্রম আইনের সব সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, সরকার সত্যিকার অর্থেই চায়, গণমাধ্যম একটা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াক, যে গণমাধ্যম সরকারের ভুল ও ব্যর্থতাকেও তুলে ধরবে। প্রকৃত সমালোচনা সরকারকে তার ভুল সংশোধন করতে সাহায্য করে। আমরা গঠনমূলক সমালোচনাকে ভয় করি না, কিন্তু মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা অপছন্দ করি।

Header Ad
Header Ad

সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল ব্যবহারের অনুমতি পেল বিজিবি

ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাট সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কয়েকদিনের উত্তেজনার পর, বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সোমবার (২০ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের জানান, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার শুরু করেছে, তাই বাংলাদেশের বিজিবিকেও একইভাবে এগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিজিবি এই অস্ত্রগুলো কেনার পর তা ব্যবহার করতে পারবে।

গত কিছুদিন ধরে লালমনিরহাট সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশসহ নানা ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার ফলে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। এর ফলে বিজিবিকে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়, যাতে তারা সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ব্যবহার করে উত্তেজনা প্রশমিত করতে পারে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যদের নতুন পোশাক চূড়ান্ত

নতুন পোশাকে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাকে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বৈঠকে আয়রন, রয়েল ব্লু, ডিপখাকি, ডিপব্লু, জলপাইসহ কয়েকটি রংয়ের পোশাকের মডেল উপস্থাপন করা হয়। সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা রংয়ের পোশাক চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশের পোশাকের রং হচ্ছে ‘আয়রন’। র‌্যাবের পোশাক হচ্ছে জলপাই বা অলিভ রংয়ের এবং আনসারের পোশাকের রং হচ্ছে ‘গোল্ডেন হুইট’।

আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যদের পরিবর্তিত পোশাক চূড়ান্ত করা হয়েছে। ধীরে ধীরে তা কার্যকর হবে।

পোশাক পরিবর্তনের কারণ হিসেবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব সদস্যদের মানসিকতার পরিবর্তন করতেই পোশাকের পরিবর্তন করা হচ্ছে। মনোবল বৃদ্ধি ও দুর্নীতিরোধসহ নানান বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’

নতুন পোশাকে বড় ধরনের অর্থ সংকুলান হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কিছু হবে না। নিয়মিত এসব বাহিনীর সদস্যদের নতুন পোশাক তৈরি হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে পরিবর্তিত পোশাক তৈরি হবে। এটার জন্য বাড়তি অর্থের খুব একটা দরকার হবে না।’

এ সময় অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন বিদেশি অবৈধভাবে বসবাসরত আছেন। ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে বৈধ হতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সীমান্ত ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন সীমান্ত পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক আছে। তবে ভারতের বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করছে। তাই এখন থেকে বিজিবিও ব্যবহার করতে পারবে। বিজিবিকে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড কেনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কেনার পর তারা এগুলো ব্যবহার করতে পারবে।’

Header Ad
Header Ad

বিয়ের আগেই বাধ্যতামূলক হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বছরব্যাপী প্রচারণা

বিয়ের আগেই বাধ্যতামূলক হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। ছবি: সংগৃহীত

বংশগত ​রোগ মোকাবিলায় বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে আইন করতে যাচ্ছে ওমান সরকার। ২০২৬ সাল থেকে বিষয়টি বাধ্যতামূলক হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মাস্কাট ডেইলির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বংশগত রোগ মোকাবিলায় ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগামী মাস থেকে বিয়ের আগে মেডিকেল পরীক্ষা করানোর বিষয়ে জাতীয়ভাবে প্রচারণা শুরু করবে। বছরব্যাপী এ প্রচারণা চলবে।

এই উদ্যোগটি মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার অংশ। যদিও ১৯৯৯ সাল থেকেই বিয়ের আগে পরীক্ষা করানো ওমানের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কৌশলের অন্তর্ভুক্ত। তবে এই প্রোগ্রামে মানুষের আগ্রহ বেশ কম।

পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রায় ৭ শতাংশ শিশু বংশগত ​রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও ওমানে এই হার ৯-১০ শতাংশ। এজন্য ওমানে রক্তসম্পর্কিত বিবাহ প্রচলনের বিষয়টিকে কারণ বলে মনে করা হয়।

অন্যান্য দেশের মত ওমানেও বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন, এ রকম স্বামী-স্ত্রীর সংখ্যা কম। এ সম্পর্কে প্রচলিত মেডিকেল প্রোগ্রাম নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। আবার এ প্রজন্মের অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন, তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে তাদের অনেকের মধ্যেই কিছুটা লজ্জা ও ভয় কাজ করে, তাই জেনেও এড়িয়ে যান।

বিষয়টি নিয়ে ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, এই প্রোগ্রামটি বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে, তবে খুব কম সংখ্যক মানুষই এতে অংশ নিচ্ছেন। অথচ বিশ্বের গড়ের চেয়ে ওমানে বংশগত রোগের উচ্চ প্রাদুর্ভাব রয়েছে। তিনি জানান, বছরব্যাপী এবারের প্রচারণার লক্ষ্য হলো বিয়ের আগে চিকিৎসা পরীক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং ব্যাপক অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল ব্যবহারের অনুমতি পেল বিজিবি
পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যদের নতুন পোশাক চূড়ান্ত
বিয়ের আগেই বাধ্যতামূলক হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বছরব্যাপী প্রচারণা
মিঠাপুকুর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাধন, সম্পাদক সাজ্জাদ
মেডিকেল ভর্তিতে কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল শহীদ মিনার
ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন গ্রেফতার
শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
মেডিকেলে ৭৩ পেয়েও চান্স হয়নি, কোটায় ৪১ পেয়েই ভর্তি!
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরে আসবেই: মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান  
পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারাল ৯ বছরের বাংলাদেশি মুগ্ধ  
ইউনূস সরকারের সমালোচনা করা সেই প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের  
গাজায় ইসরাইলের হামলা সফল; বললেন বাইডেন
মাহফিলের নামে মানুষকে কষ্ট না দেয়ার পরামর্শ আজহারীর  
হাসপাতালে ভর্তি আছেন লুৎফুজ্জামান বাবর
উৎপাদনে পটুয়াখালীর ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র  
আজ শপথ নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
তিন বন্দির বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল
অনুপ্রবেশকারীরা যেন বিএনপিতে ঢুকতে না পারে : তারেক রহমান
গাজীপুরে কভার্ড ভ্যানের চাপায় সাবেক পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক নিহত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সরানোর বিষয়ে দুদকের চিঠি