সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বেনজীরের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোর প্রমাণ পেয়েছে দুদক

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার জব্দের আগেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নিয়েছেন- এমন তথ্য পেয়েছে দুদক। আদালত থেকে হিসাব ক্রোকের নির্দেশনার আগেই ওই সব হিসাব থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা উত্তোলনের আলামত পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান টিম।

দুদক সূত্র বলছে, বেনজীর, তার পরিবারের সদস্য এবং তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৩টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা উত্তোলনের আলামত পাওয়া গেছে।

তবে টাকার পরিমাণ বলতে পারেনি তারা।

দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন, ‘আইন ও বিধি অনুসারে যা যা করা দরকার, করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, হিসাব ফ্রিজ করার আগেই টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। কতটুকু নিয়েছে, তা অনুসন্ধান কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখবেন।’

মো. জহুরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শুধু দেশের সম্পদই নয়, আমরা বিদেশে থাকা সম্পদের বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘যদি সম্পদ অবৈধ হয় তাহলে আদালত রাষ্ট্রের অনুকূলে তা বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন। এ জন্য অনুসন্ধান পর্যায়ে তার (বেনজীর) সম্পদ ফ্রিজ (জব্দ) করা হয়েছে। কারণ ফ্রিজ না করলে এসব সম্পদ হস্তান্তর হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’

এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জাসহ তাদের দুই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তলবের এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে আগামী ৬ জুন তাদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাদের দুই মেয়ে হলেন ফারহিন রিসতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর। আরেক মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে তলব করেনি দুদক।

বেনজীর আহমেদ আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নথিপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, চাকরিজীবনের শেষ দুই বছরে অর্থাৎ আইজিপি থাকাকালেই পরিবারের সদস্যদের নামে ৪৬৬ বিঘা জমি কেনেন বেনজীর। ১৯টি প্রতিষ্ঠানে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে তার পরিবার হয়ে যায় পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী পরিবার। আইজিপি পদটি যেন তার কাছে হয়ে ওঠে ‘আলাদীনের চেরাগ’। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Header Ad

ভরিতে হাজার টাকা কমলো সোনার দাম

ছবি: সংগৃহীত

ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৩ টাকা ক‌মিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা।

সোমবার (১ জুলাই) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। আজ প্রতি ভরি ভালো মানের সোনা এক লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

রোববার (৩০ জুন) সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ৮৩৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮০ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বক্তব্য প্রত্যাহার করে লায়লা কানিজকে ক্ষমা চাইতে হবে : ডিইউজে

ছবি: সংগৃহীত

ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজ ‘সাংবাদিকদের কিনেছেন’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি ‘উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। এছাড়া লায়লার ‘এ হীন বক্তব্যের জন্য’ তাকে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডিইউজে।

আজ রবিবার এক বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, “গত বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও হীন উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, ‘বড় বড় সাংবাদিকদের কিনেই তারপর এসেছি। সব থেমে যাবে।’ তার এ হীন বক্তব্য সাংবাদিক সমাজকে মর্মাহত করেছে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক হীন বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং একই সঙ্গে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।”

ডিইউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এ ধরনের বক্তব্যর মাধ্যমে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারবেন না’ লায়লা কানিজ। মতিউর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সাংবাদিকরা প্রকাশ করবেনই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাজে মন্তব্য করে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের বিরত রাখা যাবে না।’

এতে আরও বলা হয়, ‘একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রকাশ্যে ও ঢালাওভাবে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতার ওপর চরম আঘাত করেছে ও সমাজের কাছে সাংবাদিকদের হেয় প্রতিপন্ন করেছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এ ধরনের ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি যে অন্যায় করেছেন তা ক্ষমাহীন। কোনো সাংবাদিক যদি তার কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ বা সুবিধা আদায় করেন তাদের নামও প্রকাশ হওয়া উচিত। যদি প্রকৃতভাবে এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে লায়লা কানিজের উচিত হবে সুনির্দিষ্টভাবে ওই সাংবাদিকদের নাম বলা। ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।’

‘একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিকের কাজ অপরাধের শেকড় খুঁজে বের করা। তার প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য ও সত্যে গরমিল থাকলে যে কেউ প্রমাণ সাপেক্ষে সেটি নিয়ে অভিযোগ তুলতে পারেন। তবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থেকে সাংবাদিকদের সম্পর্কে উদ্দেশ্যমূলক হীন বক্তব্য দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’,- বলা হয় বিবৃতিতে।

লায়লা কানিজ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

এবার পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে এনবিআরের সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ছেলের বিলাসী জীবনযাপনের সূত্র ধরে মতিউরের বিপুল সম্পদ অর্জনের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনার মধ্যে দুদকের পক্ষ থেকে মতিউরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের কথা জানানো হয়। অপর দিকে মতিউরকে এনবিআর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

দুর্নীতিবাজদের চাকরিচ্যুত করে সম্পদ নিলামে তোলা দরকার: ড. মোমেন

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদ খুঁজে বের করে তা নিলামে তোলা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বদলি কোনো শাস্তি হতে পারে না, তাদের চাকরিচ্যুত করা দরকার।

রবিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আব্দুল মোমেন লিখেছেন, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্তদের এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে বদলি কোনো কার্যকরী শাস্তি হতে পারে না। বরং দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পদের সঠিক হিসাব বের করতে হবে এবং তার সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া দরকার এবং অবশ্যই তাকে তড়িৎ বেগে চাকরিচ্যুত করতে হবে। বদলি শাস্তি হতে পারে না। মনে রাখতে হবে, সরকারি চাকরিজীবীর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ও সম্পদ হচ্ছে তার সরকারি চাকুরিটি। দুর্নীতি পরায়ণরা জনগণের শত্রু, দেশের শত্রু।

সর্বশেষ সংবাদ

ভরিতে হাজার টাকা কমলো সোনার দাম
বক্তব্য প্রত্যাহার করে লায়লা কানিজকে ক্ষমা চাইতে হবে : ডিইউজে
দুর্নীতিবাজদের চাকরিচ্যুত করে সম্পদ নিলামে তোলা দরকার: ড. মোমেন
১ জুলাই ব্যাংক হলিডে, সব ধরনের লেনদেন বন্ধ
রোহিত-কোহলির পর এবার অবসরের ঘোষণা জাদেজার
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেফতার
নওগাঁয় বজ্রপাতে যুবক নিহত, আহত দুই
বাড়ি বাড়ি ঢুকে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েল
সব বিভাগে ৩ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, ভূমিধসের শঙ্কা
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা এনবিআরের সচিব ফয়সালকে বদলি
প্রতারণার শিকার হয়ে পরীক্ষা দিতে পারল না ২২ শিক্ষার্থী, কেন্দ্রে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চান মতিউরের স্ত্রী লায়লা
শাকিব খানের নায়িকা হচ্ছেন সাবিলা নূর!
মেরামত কাজ শেষ, শিগগিরই গতি ফিরছে ইন্টারনেটের
এলপিএল খেলতে দেশ ছেড়েছেন তিন বাংলাদেশী ক্রিকেটার
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, এসএসসি পাসেও আবেদন
ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যা চেষ্টা, নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি
বৃষ্টির ময়লা পানি কাপড়ে লাগলে নামাজ পড়া যাবে?
কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক গ্রেপ্তার