সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধান ইস্যুতে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধান ইস্যুতে জেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত
দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এই দুজনের বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে তাদের নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তাদের নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়েও উঠেছে। এই দুজনকে নিয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করার পর আবারও নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করল ওয়াশিংটন।
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের ব্যাপক দুর্নীতি ও ক্ষমতার মারাত্মক অপব্যবহার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা অবগত। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, দুর্নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দেয়, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে, সরকারকে অস্থিতিশীল করে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (২৮ মে) এসব বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র।
ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনি যেসব অভিযোগ এবং সংবাদমাধ্যমের যে রিপোর্টগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন, সে সম্পর্কে আমি অবগত। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, দুর্নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দেয়, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে, সরকারকে অস্থিতিশীল করে এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করে।
ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, আমরা শুরু থেকেই দুর্নীতিবিরোধকে একটি মূল জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থে পরিণত করেছি। এই কৌশলটির জন্য আমাদের বিশদ বাস্তবায়ন পরিকল্পনা বেশ কয়েকটি ঊর্ধ্বতন স্তরে প্রকাশ করা হয়েছে। আমার কাছে নতুন করে বলার মতো কিছু নেই। আপনি যেমন জানেন, আমরা কখনোই নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য পদক্ষেপের বিষয়ে আগে থেকে কিছু বলি না।
র্যাবের কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের মিশনগুলোতে মোতায়েন করা প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা এসব প্রতিবেদন সম্পর্কে অবগত। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার রক্ষা করা অপরিহার্য। জাতিসংঘের ডিউ ডিলিজেন্স পলিসি অনুসারে, জাতিসংঘ এমন দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন বা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত সেনা বা পুলিশ পাঠাচ্ছে না।