জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী, সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধান নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতিবেশ আলোচনা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এবার এইবিষয় নিয়েকথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
মঙ্গলবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ডেথ স্কোয়াড ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (ব়্যাব) সদস্যদের বাংলাদেশে থেকে নিয়োগ দেওয়া অব্যাহত রাখা প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
দুর্নীতির সুযোগ করে দেওয়ার মূল হোতা ক্ষমতাসীন সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা জানতে চাইলে বাইডেন প্রশাসনের এই কর্মকর্তা বলেন, দুর্নীতি দমনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশদ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে শীর্ষ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং দুর্নীতি দমনকে রাখা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কোনো আগাম ঘোষণা দেয় না।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ব়্যাবের সদস্যদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ দেওয়া অব্যাহত রাখা প্রসঙ্গে ডয়েচে ভেলে, সাডেচ সায়েতিং এবং নেত্র নিউজের রিপোর্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্টেট ডিপার্টমেন্ট করেসপন্ডেন্ট জানতে চান- জার্মান ও সুইডেনভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে, সাডেচ সায়েতিং এবং নেত্র নিউজের যৌথ অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের ডেথ স্কোয়াড ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (ব়্যাব) বর্তমান এবং সাবেক সদস্যরা নিয়মিতভাবেই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ পাচ্ছেন। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র যেখানে ব়্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, সেই প্রেক্ষাপটে এই বাহিনীর সদস্যদের যেভাবে শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে, সে বিষয়ে আপনারা কতটা উদ্বিগ্ন? কারণ যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের জনগণের ট্যাক্সের আয় থেকে শান্তিরক্ষা বাহিনীর মোট খরচের প্রায় ২৭ শতাংশ জোগান দিচ্ছে। জবাবে মিলার বলেন, এই রিপোর্টগুলো সম্পর্কে আমরা অবগত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে শান্তিরক্ষা মিশন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। জাতিসংঘের যে যথাযথ নীতিমালা রয়েছে, সেটা মেনে শান্তিরক্ষা মিশনে যারা নিয়োগ পাবে, তারা যেন মানবাধিকারের সুরক্ষার পক্ষে থাকে তা নিশ্চিত করাটা জরুরি।