এমপি নিক্সন চৌধুরীকে শোকজ, ৫ থানার ওসি প্রত্যাহার
ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী)। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরীকে (নিক্সন চৌধুরী) কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পাঁচটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (২৭ মে) এমপি নিক্সনের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান শোকজ নোটিস জারি করেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে এই সংসদ সদস্যকে।
আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার বা বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে ভোটের মাঠে নামতে পারবেন না। ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুরের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন এমপি নিক্সন।
কারণ দর্শানো নোটিসে বলা হয়েছে, সদরপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের শাহিদুল ইসলামের বিপক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন নিক্সন, যার অভিও-ভিডিও এবং বক্তব্য গণমাধ্যমেও এসেছে। ভাঙা উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মোখলেছুর রহমান তার এলাকার এমপি নিক্সনের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে কাগজপত্র সংযুক্ত করে জেলা নির্বাচন অফিসে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন, যা একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।
নোটিসে আরও বলা হয়েছে, এমপি নিক্সন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। কেন তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তার সুনির্দিষ্ট লিখিত ব্যাখ্যা ২৮ মে বিকেল ৪টার মধ্যে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নোটিসের ব্যাখ্যা না দিলে এ সংসদ সদস্যের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
এ দুই উপজেলায় ভোট হবে ২৯ মে। উপজেলা পরিষদ ‘নির্বাচনী আচরণ’ বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী, সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনে আগে নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না এবং নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। সংসদ সদস্যরা এ বিধিমালার আওতায় পড়েন।
পাঁচ থানার ওসি প্রত্যাহারের নির্দেশ:
এদিকে, উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পাঁচটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের জন্য মহাপুলিশ পরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৭ মে) ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা এ নির্দেশনাটি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ, চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ এবং আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জদের সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ ডিআইজি’র কার্যালয়ে অদ্যই সংযুক্ত এবং পটুয়াখালীর দুমকী থানার ওসিকে ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেঞ্জ ডিআইজির সংশ্লিষ্ট থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন।