শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এমপি আনার খুনে ‘হানিট্র্যাপ’, কে এই সিলিস্তি রহমান?

হত্যাকাণ্ডের শিকার আনোয়ারুল আজীম আনার এবং সিলিস্তি রহমান। ছবি : সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় গিয়ে পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। রহস্যে ঘেরা তার এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামনে এসেছে সিলিস্তি রহমান নামে এক নারীর নাম। এরই মধ্যে ওই তরুণীকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আটক করে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমপিকে হত্যার জন্য কলকাতার নিউটাউনে অভিজাত ‘সঞ্জীবা গার্ডেন্সে’ যে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়, সেখানে অবস্থান করেছিলেন সিলিস্তি। সে খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী। হত্যাকাণ্ড শেষে মূল ঘাতক আমানউল্লাহ আমান দেশে ফেরার সময় তার সঙ্গে সিলিস্তিও গত ১৫ মে দেশে ফেরেন।

সিলিস্তি রহমান। ছবি : সংগৃহীত

কলকাতা পুলিশও ফ্ল্যাট কম্পাউন্ডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছে, ১৩ মে ওই ফ্ল্যাটে তিনজন একসঙ্গে ঢোকেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। একদিন ফ্ল্যাটে অবস্থানের পর বের হয়ে আসেন এক পুরুষ ও এক নারী। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীই সিলিস্তি। ১৩ মে তিনি আমানউল্লাহ ও এমপি আনারের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢুকে থাকতে পারেন।

এই ভবনেরই একটি ফ্ল্যাটে খুন করা হয়েছে এমপি আনারকে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র বলছে, তাদেরও ধারণা ওই নারীই সিলিস্তি। কারণ তিনি ১৫ মে বিমানযোগে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে দেশে ফেরেন মূল ঘাতক আমানউল্লাহ। সূত্রটি আরও জানায়, ধারণা করা হচ্ছে এমপি আনারকে কলকাতা নিতে সিলিস্তিকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন। কারণ সব পরিকল্পনা করে শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও সিলিস্তি থেকে যান কলকাতায়।

হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের সময়ে সিলিস্তি তিনতলা ফ্ল্যাটের একটি তলায় অবস্থান করছিলেন। তবে সামনে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তিনি নিচে নেমে আসেন। ওই নারী সিলিস্তি কি না, তদন্ত চলছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ মে নিউটাউনের আবাসনেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় আনারকে। খুনের পর টুকরো টুকরো করে কাটা হয় মরদেহ। ১৬ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত তিনদিন ধরে খণ্ডিত অংশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। কিছু অংশ ওই ফ্ল্যাটের ফ্রিজে রাখা হয়। এমনকি ফ্ল্যাট থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, প্লাস্টিক ব্যাগে ভরেই খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়েছে। তবে কারা ফেলেছে, কোথায় ফেলা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত এমপি আনারের মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মরদেহের পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড কে? আরও কারা জড়িত? এসবের প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছে কলকাতা পুলিশ।

সঞ্জীবা গার্ডেন্স। ছবি: সংগৃহীত

তবে হত্যায় সংশ্লিষ্টতার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত একটি নাম এসেছে জোরালোভাবে। তিনি বাংলাদেশি আমেরিকান আখতারুজ্জামান শাহিন। আখতারুজ্জামান শাহীন আনারের বাল্যবন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার। শাহীন কলকাতায় এসেছিলেন আমেরিকার পাসপোর্ট ব্যবহার করে। শাহীন কলকাতায় এক লাখ রুপিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন এক বছর আগে। হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে শাহীনের নিখুঁত ছকে। ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে হত্যা মিশনে অংশ নেন ভাড়াটে কিলাররা। পরিকল্পিতভাবে খুন করে কলকাতা ছেড়ে বাংলাদেশ হয়ে ইতোমধ্যে তিনি আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের একাংশ।

এদিকে, হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাংলাদেশের তিনজন ও কলকাতায় একজনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ ও কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তারা।

আমানউল্লাহ আমান, ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। তারা হলেন- এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমানউল্লাহ আমান, ফয়সাল ও মোস্তাফিজ।

এদিকে আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর-৪২। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আহাদ আলী।

আনোয়ারুল আজীম আনার এবং তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। ছবি: সংগৃহীত

তিনি জানান, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি। সবাই অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এখন তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Header Ad
Header Ad

আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ সিরিয়ার লাতাকিয়া শহরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সিরিয়ার প্রাক্তন সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী তাদের অস্ত্র হস্তান্তর করছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের শুরুতে শুট করা ফুটেজে দেখা যায়, সাদা পোশাকে পুরুষদের লম্বা লাইন। মূলত, তারা তাদের ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র সিরীয় সরকারের নতুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

কর্মকর্তাদের অনানুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর পুরুষ সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিতে দেখা যায়। এছাড়াও অস্ত্র জমা দেয়ার সময় তাদের মুখের ছবি নিতে দেখা যায়। সরকারী অফিসের এক কোণায় শত শত হ্যান্ডগান ও গোলাবারুদ পড়ে থাকতে দেখা যায় ভিডিওতে ।

হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) গ্রুপের নেতৃত্বে সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং আন্তর্জাতিক বৈধতা অর্জনের জন্য কাজ করছে। এজন্যই আসাদের শাসনের সময় দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের অস্ত্র হস্তান্তরে উদ্বুদ্ধ হয়।

Header Ad
Header Ad

দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন,৯ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আর আমাদের নেতা অভিভাবক তারেক রহমান ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছেন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বিন্যাফৈর স্কুল মাঠে দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বারের চেয়ারম্যান নিহত রফিকুল ইসলাম ফারুকের ১১তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাবেক মন্ত্রী রাজ্জাক সাহেব বলে ছিলেন- বিএনপিকে বলা হয়েছিল যদি তারা নির্বাচনে আসে তাহলে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হবে না। কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান জনগণের অধিকারের কথা চিন্তা করে ওই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে কোন আপোষ করে নাই। বিএনপি গণ মানুষের দল, মানুষের কথা চিন্তা করেই পদক্ষে নেয়। জনগণও সবসময় বিএনপির সাথে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

বিএনপি গণতান্ত্রিক ও গণতন্ত্রের পক্ষের দল। আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমরা কখনই জনগণের গণতন্ত্র হরণ করেনি।জনগণ আর বিএনপি পরিপূরক, বাংলাদেশ আর বিএনপি পরিপূরক। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বিএনপি থাকবে।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নিহত রফিকুল ইসলাম ফারুক হত্যার বিচার সম্পন্ন করা আশ্বাস দিয়ে আরও বলেন, যারা দলের দূর্দিনে দলের কাজ করেছেন তারা দলের নেতৃত্ব দিবে। যারা এখন আসবেন তারা দয়া করে দূর্দিনের কর্মীদের পিছনে থাকবেন। দলের মধ্যে কখনওই বিভেদ সৃষ্টি করার কাজে লিপ্ত হবেন না। লিপ্ত হলে দল করা কিন্তু আপনাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক আরও বলেছেন, ৯ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আর আমাদের নেতা অভিভাবক তারেক রহমান ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছেন। নেতা কি আপোষ করেছেন, করেনি। ২৪ সালের অনেকেই ক্ষমতার লোভে ভাগাভাগির নির্বাচনে গিয়েছেন। জনগণ ভোট দেয় নাই। দেশ নায়ক তারেক রহমানকে অনেকভাবেই অফার করা হয়েছিল।

শহীদ রফিকুল ইসলাম ফারুক স্মৃতি সংসদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোটেক ফরহাদ ইকবাল, জেলা যুবদলের আহবায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, শহর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিহতের ছোট ভাই লাবলু মিয়া প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ

জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সম্পত্তি গত ১৫ বছরে ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ। এটি শুধু সরকারি হিসাব। এর বাইরেও আরো বিপুল অবৈধ সম্পত্তি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, নানক ও তার স্ত্রীর যৌথ সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫১ টাকার।

২০২৪ সালের হলফনামায় ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৫১ টাকার সম্পদ দেখানো হয়। এই হিসাবেই তার সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আওয়ামী সরকারের দুর্নীতির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিলেন না। আয়কর তথ্যের হিসাবে ২০০৮ সালের পর থেকে ১৫ বছরে নানকের সম্পদ বেড়েছে ৩০ গুণ।

আওয়ামী লীগের এই নেতার জমিজমা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে; যার কিছু আছে ঢাকায়, কিছু নিজ জেলা বরিশালে আবার কিছু আছে কক্সবাজারেও।

২০০৮ সালের নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে জায়গা করে নেন নানক। এরপর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ছত্রছায়ায় স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পান তিনি। মন্ত্রণালয়ে থাকাকালেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির, যেখানে টেন্ডার সিন্ডিকেটে পার্সেন্টেজ নেওয়ার জন্য বেশ কঠোর ছিলেন এই নেতা।

২০০৮ সালের নির্বাচনে তাঁর দাখিল করা হলফনামায় দেখা যায়, নানক ও তাঁর স্ত্রীর যৌথ সম্পদের পরিমাণ হিসাবে ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫১ টাকা। এ ছাড়া ব্যবসা ও কৃষিকাজ থেকে তাদের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকা বলেও হলফনামায় উল্লেখ করেন নানক। পরের পাঁচ বছরের ক্ষমতায় যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যান নানক। ২০১৪ সালের নির্বাচনের হলফনামায় দাখিল করা তথ্যে নানক পরিবারের সম্পদ ১০ গুণ বেড়ে যায়। ২০১৪ সালে এসে ছয় কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা হয়ে যায়।

সম্পদ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে স্ত্রীর চাকরি, কৃষি, মৎস্য ব্যবসাসহ আরো অনেক কিছু উল্লেখ করেন নানক। অলৌকিকভাবে ২০১৪ সালে এসে আওয়ামী এই নেতার বার্ষিক আয়ও দুই লাখ থেকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়।

এরপর দ্বাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন চাইলে দল থেকে গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ায় সেবার সংসদের বাইরেই রয়ে যান নানক। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে দূরে থাকেননি এই নেতা। ছলে-বলে-কৌশলে অবৈধ আয় করেই গেছেন তিনি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও দলীয় মনোনয়ন পান। এবার নানক ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তি ১৫ বছরে প্রায় ৩০ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৫১ টাকায়।

২০০৮ সালে নানক কৃষি-অকৃষি মিলিয়ে মাত্র দুই একর ৬৫ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন। ২০২৪ সালে এসে নানকের রাজধানীর উত্তরায় ছয়তলা বাড়ি, মোহাম্মদপুরে আটতলা বাড়ি, কক্সবাজারে জমি, জন্মস্থান বরিশালে দুটি বাড়ি, বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় ভূ-সম্পত্তি এবং মাছের খামারের মালিক হয়ে যান। এসব কিছুর বেশির ভাগই পৈতৃক সম্পত্তি বলে দাবি করেন তিনি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু
গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ
দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে বঙ্গবন্ধুর নাম বাতিল হচ্ছে
গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
ঢাকাসহ তিন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
নিয়ন্ত্রণে বনানী বস্তির আগুন
জোলানীর মাথার বিনিময়ে ১ কোটি ডলার পুরস্কার বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটের ভিড়ে গাড়িচাপায় দু’জন নিহত, আহত ৬৮  
‘আলো আসবেই’ গ্রুপে সক্রিয় থাকা জ্যোতির কোথাও ঠাই হচ্ছেনা
সাগরে নিম্নচাপ, সমূদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত
আজ রাহাত ফাতেহ আলী খানের কনসার্ট, বিনা পারিশ্রমিকে উপস্থাপনা করবেন দীপ্তিও
গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, গত ২৪ ঘন্টায় নিহত আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি
৬১ কোটি টাকা লোকসান; আবারও মাড়াই মওসুম শুরু হচ্ছে কেরুর  
নোয়াখালী বিভাগ চাই; দাবিতে মানববন্ধন
নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা মাহফুজের ফেইসবুক পোস্টে ভারতের ‘তীব্র প্রতিবাদ’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
টাঙ্গাইলে হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় আ’লীগ নেতা
যমুনা রেল সেতু জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথমে উদ্বোধন: রেল সচিব