এমপি আনারের সর্বশেষ লোকেশন মুজাফফরাবাদ
ছবি: সংগৃহীত
ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ।
নিখোঁজ সংসদ সদস্যের ভারতীয় নম্বরের লোকেশন বিহারের মুজাফফরাবাদের দিকে শনাক্ত করা গেছে। প্রতিনিয়ত ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ডিবি পুলিশ। ভারতীয় পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ।
তিনি বলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ১২ মে দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা যান। কলকাতায় তার পরিচিত গোপাল নামে একজনের বাসায় ওঠেন। পরদিন সকালে নাস্তা করে ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় কলকাতায় গোপালের বাসায় যাওয়ার কথা থাকলেও সেখানে আর যাননি তিনি।
তখন থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার এপিএস ও মেয়ে মোবাইলে যোগাযোগের করে ব্যর্থ হন। সংসদ সদস্যের মোবাইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে যে মেসেজগুলো এসেছে, ‘তিনি দিল্লীতে আছেন, ওমুক-তমুকের সঙ্গে দেখা হবে।’ কিন্তু এই মেসেজগুলো আনারের পরিবার বিশ্বাস করছে না।
হারুন-অর-রশীদ বলেন, আমি বিষয়টি দুইদিন আগেই জানতে পারি। ভারতীয় একজন ভদ্রলোক সংসদ সদস্যেরও পরিচিত তিনি আমাকে টেলিফোন করে সংসদ সদস্যকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি জানান। বিষয়টি জানার পর, ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা এসটিএফের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ভারতীয় থানা পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
ডিবি প্রধান বলেন, সংসদ সদস্যের একটি বাংলাদেশি ও আরেকটি ভারতীয় নম্বর ছিল। ১৬ মে সকাল ৭টার দিকে সংসদ সদস্যের নম্বর থেকে দুটি ফোন আসে। একটি আসে সংসদ সদস্যের এপিএসের নম্বরে, আরেকটি ফোনকল আসে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর নম্বরে। কিন্তু তখন দুজনের কেউই টেলিফোন ধরতে পারেনি।
ভারতীয় পুলিশের সহযোগিতায় জানতে পেরেছি, খুঁজে না পাওয়া সংসদ সদস্যের ভারতীয় নম্বরের লোকেশন মুজাফফরাবাদ, অর্থাৎ বিহারের দিকে। সবকিছু মিলিয়ে আমরাও খোঁজ-খবর রাখছি।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে এসেছে আমাদের কাছে। এমপির নম্বরটি মাঝেমধ্যে খুলছে, আবার বন্ধ হচ্ছে। কারা কাজটি করছেন। তিনি কোনো ব্ল্যাক মেইলের শিকার হয়েছেন কি-না সবকিছুই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ভারতীয় পুলিশ যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।