শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি তা এখানেই সীমাবদ্ধ না: নৌপ্রতিমন্ত্রী

সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, উন্নত বাংলাদেশ হচ্ছে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্বের সুখ সুবিধা আমাদের মধ্যে থাকবে। সেই ধরনের উন্নত বাংলাদেশ চাই, যেখানে সমগ্র পৃথিবী এই বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ববোধ করবে, অহংকার করবে। আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি সে রোল মডেল এখানেই সীমাবদ্ধ না। আমরা তাবত দুনিয়াকে দেখাতে চাই, আমরা ৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে দেশ তৈরি করেছি- সে বাংলাদেশ সমগ্র পৃথিবীর জন্য তৈরি করেছি, শুধু আমাদের জন্য নয়।

রবিবার (১২ মে) রাজধানীর হোটেল সোনারগাওয়ে ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মেরিটাইম এন্টি-করাপশন নেটওয়ার্ক (এমএসিএন) বাংলাদেশ রিপোর্ট লঞ্চ ইভেন্ট এবং মেরিটাইম ব্যবসা-বাণিজ্যে জালিয়াতি প্রতিরোধ’ শীর্ষক যৌথ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ। উন্নত বাংলাদেশ মানে শুধু অর্থবিত্তের মধ্য দিয়ে উন্নত হওয়া নয়, উন্নত বাংলাদেশ হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা। উন্নত বাংলাদেশ হচ্ছে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্বের সুখ সুবিধা আমাদের মধ্যে থাকবে। সেই ধরনের উন্নত বাংলাদেশ চাই, যেখানে সমগ্র পৃথিবী এই বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ববোধ করবে, অহংকার করবে। আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি সে রোল মডেল এখানেই সীমাবদ্ধ না। আমরা তাবত দুনিয়াকে দেখাতে চাই, আমরা ৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে দেশ তৈরি করেছি- সে বাংলাদেশ সমগ্র পৃথিবীর জন্য তৈরি করেছি, শুধু আমাদের জন্য নয়।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আমাদের গৌরব, আমাদের অহংকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে সবকিছু ম্লান হয়ে গিয়েছিল। এ হত্যাকান্ডকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করার মধ্য দিয়ে মূলত দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এ হত্যাকাণ্ডকে এবং হত্যাকারীদেরকে যেভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে; সমাজ, রাষ্ট্র সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। সেই জায়গা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ ছিল। সে জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল-যারা ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে, লক্ষ লক্ষ মা বোনকে নির্যাতন করেছে সেসব হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা‌।

‘মেরিটাইম এন্টি-করাপশন নেটওয়ার্ক (এমএসিএন) বাংলাদেশ রিপোর্ট লঞ্চ ইভেন্ট এবং মেরিটাইম ব্যবসা-বাণিজ্যে জালিয়াতি প্রতিরোধ’ শীর্ষক যৌথ সেমিনার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, আমরা গর্ব করে বলতে পারি, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে, বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে, বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক চর্চা শুরু হয়েছে। গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনার ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র তৈরি করার যে মহাপরিকল্পনা ছিল-সেই জায়গা থেকে রক্ষা করতে পেরেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেরিটাইম সেক্টরে দুর্নীতিকে "না" বলার জন্য সম্মিলিত আওয়াজ তোলার লক্ষ্যে মেরিটাইম এন্টি-করাপশন নেটওয়ার্ক (এমএসিএন) গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি উদ্বেগজনক অবস্থায় নেই, তবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এবং ব্যবসায়িকদের বৈশ্বিক মান অনুসরণ করার জন্য এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এমএসিএন সামুদ্রিক সেক্টরে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করেছে এবং মূল স্টেকহোল্ডারদের একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে যাতে অখন্ডতার একটি জোট গড়ে তোলা যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের ৯০% এর বেশি সমুদ্র পথে হয়ে থাকে। যার পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, প্রতিবছর চার হাজারের বেশি বাণিজ্য জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে আসছে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই জাতীয় পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়ছে। এগুলো সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ব্যবসাবান্ধব সরকারের কারণে। এ সরকারের আমলে বন্দরের গতিশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাশেকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প দিয়েছেন। এই রূপকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে আমরা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নের লক্ষ্যে পায়রা বন্দর স্থাপন করা হয়েছে। মোংলা বন্দরের আউটার বার ও ইনার বারে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হয়েছে। চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন, গ্যান্ট্রি ক্রেন এবং অন্যান্য হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে। পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। বে-টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ চলমান। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর বাংলাদেশের জন্য বড় অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ও সুযোগ তৈরি করবে এবং এটিকে একটি আঞ্চলিক সামুদ্রিক কেন্দ্রে পরিণত করবে। বৈশ্বিক সামুদ্রিক ব্যবসায় অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, এই বছর আমরা বাল্ক কার্গো পরিবহনে ০.৪৭% বৃদ্ধি বজায় রাখতে পেরেছি। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৩.০৫ মিলিয়ন টিইউইজ (২০ ফুট দৈর্ঘ্যে) কন্টেইনার হ্যান্ডেল করেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা তিনগুণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০৪০ সাল নাগাদ এটি ৪৮.২ মিলিয়ন টিইউইজ-এ পৌঁছাবে। এই ধরনের বাণিজ্য পরিস্থিতিতে বন্দর এবং বাংলাদেশের অন্যান্য সকল মেরিটাইম স্টেকহোল্ডারদের সুবিধার উন্নতি করতে হবে এবং নিয়ন্ত্রক সম্মতি নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসার পরিবেশকে বৈশ্বিক মানদন্ডে উন্নীত করার জন্য নিরলসভাবে চেষ্টা করছে। বন্দর ও নৌপরিবহন পরিচালনায় ডিজিটালাইজেশনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কনটেইনারগুলির স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাকিং, বন্দর, এজেন্ট এবং কাস্টমসের মধ্যে শিপিং তথ্যের ডিজিটাল আদান-প্রদান আজকাল নতুন কিছু নয়। এগুলি পোর্ট অপারেশনে বাল ভূমিকা রাখছে। বিশ্বব্যাপী র‌্যাঙ্কিংয়ে উচ্চ অবস্থানে পৌঁছাতে কাজ করছে। সামুদ্রিক শিপিং একটি বিশ্বব্যাপী খাত যেখানে স্বচ্ছতা এবং সম্মতির বিষয়গুলি বিশ্বব্যাপী দেখা উচিত। স্বচ্ছতা এবং সম্মতি নিশ্চিত করার জন্য একটি সুরক্ষিত রিপোর্টিং চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাতে জাতীয় কর্তৃপক্ষ ভুলগুলি লক্ষ্য করতে পারে এবং যখনই প্রয়োজন হয় তখন হস্তক্ষেপ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী, এমএসিএন-এর দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র নেতা জোনাস সোবার্গ আরল্যান্ডসেন (Jonas soberg erlandsen), এমএসিএন বাংলাদেশ প্রকল্পের নেতা কমডোর (অবঃ) সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির, ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক শাহামিন জামান।

Header Ad

নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের কথা রয়েছে। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের বিষয়টি অনিশ্চিত।

জাতিসংঘের আসন্ন ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। তার সঙ্গে আরও ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তারা নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নির্ধারিত বক্তৃতা দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর রাতে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে একাধিক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা আছে ড. ইউনূসের। এছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করার কথা আছে প্রধান উপদেষ্টার।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আলোচনায় আছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারটি। এছাড়া সার্কভুক্ত আরেক দেশ নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে।

অবশ্য, সম্প্রতি ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম দাবি করেছে, নিউইয়র্কে অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক চেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান। শুধু তা-ই নয়, নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক না হওয়ার বার্তাও দিয়েছে ওইসব গণমাধ্যম। তবে, ঢাকা ও ভারতের সংশ্লিষ্টরা এখনও বিষয়টি স্পষ্ট করেনি।

এছাড়া, আয়োজক দেশ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের।

কূটনৈতিক সূত্রমতে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন এবং বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স হামাদ বিন ঈসা আল খালিফার সঙ্গেও ড. ইউনূসের বৈঠক হতে পারে অধিবেশনের ফাঁকে। পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) প্রসিকিউটর করিম এ এ খানের সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। সফরকালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ. হংবোর সঙ্গেও সাক্ষাৎ হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সাধারণ পরিষদে কনফারেন্স ডিপ্লোমেসির সুযোগ থাকে এবং সাইডলাইনে সবসময় বৈঠক হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বৈঠকগুলো শেষ মুহূর্তে ঠিক হয়। আবার অনেক সময় দুইপক্ষের আগ্রহ থাকলেও সময় সংক্ষিপ্ততা বা শিডিউল অমিলের কারণে বৈঠক করা সম্ভব হয়না।

ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যায় জাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন

ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যায় জাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার। ছবি: ‍সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহম্মেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন বিভাগের ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে এ ঘটনার অধিকতর তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজন মিয়া, একই বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজু আহাম্মদ, ইংরেজি বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মাহমুদুল হাসান রাইয়ান, একই বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ সালমান, ইতিহাস বিভাগের ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আতিকুজ্জামান আতিক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া এবং বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আহসান লাবীব।

অফিস আদেশে বলা হয়, ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের ৩৯ ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণাদির (ভিডিও ফুটেজ ও ফটোগ্রাফ) ওপর ভিত্তি করে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের অপরাধ বিবেচনা করে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮-এর ৩(২) (গ) ধারা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অপরাহ্ণ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হতে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

এদিকে ঘটনার অধিকতর তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেনকে সভাপতি ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তি) মো. লুৎফর রহমান আরিফকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এমরান জাহান, অধ্যাপক ড. আনিছা পারভীন, জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশেদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি সঠিক। দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা গেটে (প্রান্তিক গেট) চুল কাটাতে সেলুনে গেলে শামীম আহম্মেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন একদল শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে উদ্ধার করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে গেলে সেখানেও কয়েক দফা শামীমকে মারধর করা হয়। পরে রাতে তাকে উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত শামীম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই রাতে ভিসির বাসভবনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নান। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত তার নিজ বাড়ি হিজল করচ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক এ মন্ত্রীকে। গ্রেপ্তারের পরে এম এ মান্নানকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এম এ মান্নানকে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ শহরে গত ৪ আগস্ট বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর হাফিজ আহমদ নামে এক ব্যক্তি দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। বাদীর ভাই শিক্ষার্থী জহুর আহমদ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মিলিয়ে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

সর্বশেষ সংবাদ

নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার
ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যায় জাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা
সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন
ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: আসিফ নজরুল
সালমান শাহ এক অকৃত্রিম ভালোবাসার নাম: শাবনূর
সাবেক মন্ত্রী রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মানুষটার শরীর দেখে বারবার আবরারের কথা মনে পড়েছে: সারজিস
দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরে বেড়াচ্ছেন পার্কে
ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেই আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ২ শিক্ষার্থী আটক
সৌদি আরবে হতে পারে আইপিএলের নিলাম
নিউইয়র্কে ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না
শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি
আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের মৃত্যু