মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ | ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

আজ ২৭ এপ্রিল, ‘অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার কৃষক ও মেহনতী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা এ কে (আবুল কাশেম) ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে তারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

মহান এ নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য এ কে ফজলুল হকের অসীম মমত্ববোধ, ভালবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। এ কে ফজলুল হক এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃষকদের অধিকার আদায়ে এ কে ফজলুল হক সবসময় সোচ্চার ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তিনি দরিদ্র কৃষক এবং প্রজাদের স্বার্থরক্ষায় কৃষি ঋণ আইন এবং প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেন। জমিদাররা রায়তদের ওপর যে আবওয়াব ও সেলামি ধার্য করতেন, তিনি তা বিলোপ সাধন করেন। তাঁর সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাঁকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিলো। শোষণ, বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে তিনি বাঙালি জাতিকে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ করে দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।

Header Ad
Header Ad

মধ্যরাতে পল্লবী থানায় ঢুকে যুবকের অতর্কিত হামলা, ওসিসহ আহত ৩

পল্লবী থানা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্লবী থানায় ঢুকে আব্দুর রাজ্জাক ফাহিম নামে এক যুবকের হামলায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামসহ পুলিশের তিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হামলাকারী যুবকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে পল্লবী থানা ডিউটি অফিসারের রুমে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার শরিফুল ইসলাম ও এএসআই (সশস্ত্র) মো. নাসির।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রাত ২টার কিছু আগে আব্দুর রাজ্জাক ফাহিম নামে এক যুবক থানায় আসে। এরপর সে বলে এই এলাকায় একটি মার্ডার হয়েছে। উত্তরে আমি বলি, বিষয়টি আমার জানা নেই। এরপর ওই যুবক বলে আপনারা এটা নিয়ে লুকোচুরি করছেন কেন? আপনার ডিউটি অফিসার জানে।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ওই যুবককে নিয়ে আমি ডিউটি অফিসারের রুমে যাই। সেখানে অন্য সেবা প্রত্যাশীরাও ছিল। তারাও বলেন এরকম ঘটনা তাদের জানা নেই।

ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, এরপর ওই যুবকের পরিচয় জানতে চাইলে সে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। পরে আমি তাকে হাত ধরে নিয়ে যেতে চাইলে সে অতর্কিতভাবে আমাকে কিলঘুষি মারতে থাকে। তখন এএসআই নাসির ঠেকাতে এলে ওই যুবক তার একটি আঙুল ভেঙে দেয়। বাদ যাননি সেকেন্ড অফিসার শরিফুল ইসলামও। তার কপালেও ওই যুবক ঘুষি মারে।

তিনি বলেন, এমন অবস্থায় আমরা ওই যুবককে আটক করি। আটকের পর ওই যুবক জানায় বাইরে একটি গাড়িতে আরও তিনজন রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায়, তারা গাজীপুর থেকে ঘুরতে এসেছে। পরে আমরা ওই তিনজনকেও থানায় নিয়ে আসি।

ওসি বলেন, হামলাকারী ফাহিমের বাড়ি গাজীপুরে বলে জানতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর আমরা তিনজন কুর্মিটোলা হাসপাতালে যাই। সেখানে এএসআই মো. নাসিরের হাত এক্সরে করে দেখা যায় তার আঙুলটি ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad
Header Ad

সাভারের পাওয়ার গ্রিডের আগুন ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

সাভারের পাওয়ার গ্রিডের আগুন ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সাভারের আমিন বাজার পাওয়ার গ্রিডে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় ২ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা স্টেশন অফিসার মো. তালহা বিন জসিম।

জানা যায়, সকাল সোয়া ৭টার দিকে লাগা ওই আগুন সকাল সোয়া ৯টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, আনসার ও র‍্যাবের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা স্টেশন অফিসার মো. তালহা বিন জসিম বলেন, সকাল সোয়া ৭টার দিকে ওই পাওয়ার গ্রিডে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ৭টা ২০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। সকাল সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে সাভার ও ট্যানারি ফায়ার স্টেশন থেকে মোট ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় আশপাশের স্টেশন থেকে আরও ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।

Header Ad
Header Ad

সীমান্তে দশ বছরে ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ: এইচআরএসএস

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এইচআরএসএস’র তথ্য মতে, ২০১৫ সালে ৪৩ জন, ২০১৬ সালে ২৮, ২০১৭ সালে ৩০, ২০১৮ সালে ১৫, ২০১৯ সালে ৪২, ২০২০ সালে ৫১, ২০২১ সালে ১৭, ২০২২ সালে ২৩, ২০২৩ সালে ৩০ ও ২০২৪ সালে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয়েছে। এছাড়া এই দশ বছরে সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮২ বাংলাদেশি আহত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক শুধু ২০২৪ সালে ৫৭টি হামলার ঘটনায় ঘটে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত বিএসএফ কর্তৃক ১৫টি হামলার ঘটনায় ৪ জন বাংলাদেশি নিহত, ১০ জন আহত, ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক ও খাসিয়াদের হামলায় ৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভারত সিদ্ধান্ত নিলেও এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। আমরা উভয় দেশের কর্তৃপক্ষকে এই সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে গঠনমূলক সংলাপ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে শূন্যে নিয়ে আসার বিষয়ে আহ্বান জানাই।

এছাড়া সীমান্তে পূর্ববর্তী সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মধ্যরাতে পল্লবী থানায় ঢুকে যুবকের অতর্কিত হামলা, ওসিসহ আহত ৩
সাভারের পাওয়ার গ্রিডের আগুন ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
সীমান্তে দশ বছরে ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ: এইচআরএসএস
হাসিনার সময়ে মানুষের নামাজ পড়ারও অধিকার ছিল না: আব্দুস সালাম পিন্টু
বিএনপির সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন মারা গেছেন
এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া ডাক্তার পদবি নয়: এনডিএফ
সাভারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
সালমান এফ রহমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দ, দুটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ
পাগল বেশে নারীদের উত্ত্যক্ত করা সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর খালিদ গ্রেপ্তার
একাকিত্বের কষ্টে ভুগছেন পরীমণি, জানালেন আবেগঘন অনুভূতির কথা
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা: কে কত বেতন পাবেন
ভারতকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার প্রচারণা চালানো বিপজ্জনক: গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস
বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলে গাড়ি চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা মানে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের সহযোগিতা করা: টুকু
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার রিয়াদের
আগামী ৮ বছর বিশ্বকে শাসন করতে প্রস্তুত ভারত: কোহলি
এনআইডিতে ডাকনাম-একাধিক স্ত্রীর নাম যুক্তের নীতিগত সিদ্ধান্ত
হাতের ইশারায় পলকের সালাম, বললেন মুখ খুললেই বাড়ে মামলা
দলীয় নেতাকে খুনের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির তিন নেতা বহিষ্কার
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী