অজানা গন্তব্যে নেয়া হচ্ছে জিম্মি হওয়া সেই ‘এমভি আবদুল্লাহ’

ছবি: সংগৃহীত
সোমালিয়ার উপকূলে একদিন বিরতির পর আবার অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে চলতে শুরু করেছে জিম্মি হওয়া ‘এমভি আবদুল্লাহ’। সোমালিয়ান জলদস্যুদের নির্দেশে নোঙর তুলে নিয়ে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা ৩টায় জাহাজটি সরিয়ে নেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। সন্ধ্যায় একটি মেইল এসেছে। সেই মেইলে জাহাজ সরিয়ে নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে নাবিকরা সুস্থ আছে।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১টার দিকে প্রথমে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে জিম্মি জাহাজটি নোঙর করেছিল দস্যুরা। এরপর সন্ধ্যার দিকে উপকূল থেকে ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখে। শুক্রবার আবারও নোঙর তুলে জাহাজটিকে কাছাকাছি আরেক এলাকায় নিয়ে যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষ জলদস্যু গ্রুপ হামলা চালিয়ে জিম্মিদের নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সোমালিয়ান জলদস্যুরা জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করছে।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বেলা দেড়টায় মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি করার তৃতীয় দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে আসে দস্যুরা।
তবে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে মুক্তির বিনিময়ে দস্যুরা এখনও কোনো দাবি জানায়নি। দস্যুরা মুক্তিপণের দাবি জানাতে কিছুটা সময় নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘দস্যুরা এখনও যোগাযোগ করেনি। তবে আমরা বসে নেই। আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী সংগঠনগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ হচ্ছে।’
