চালু হলো দেশের দীর্ঘতম রেলপথ
ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ১৩ বছর প্রতীক্ষার পর অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো আন্তনগর ট্রেন বুড়িমারী এক্সপ্রেস। তবে এটি আপাতত লালমনিরহাট-ঢাকা রেলপথে চলাচল করব। ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে ঢাকার পথে ১১টি স্টেশনে থামবে আর ঢাকা থেকে বুড়িমারীতে ফেরার পথে ১২টি স্টেশনে থামবে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে বুড়িমারী-ঢাকা রুটে ফিতা কেটে ট্রেনটির উদ্বোধন করা হয়।
বুড়িমারী রেল স্টেশন থেকে ট্রেনটি চালু হওয়ায় নতুন করে ভারত, ভুটান, নেপালের পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন হলো। ট্রেনটি যাত্রা শুরু করায় লালমনিরহাটের আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা এবং পাটগ্রাম উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হল।
পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন গণমাধ্যমে বলেন, আমাদের দাবি অতি দ্রুত বুড়িমারী রেলস্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ করে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে যেন চলাচল করে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিম ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, বুড়িমারী রেলস্টেশনে ওয়াস পিড ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত লালমনিরহাট রেলস্টেশন থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে চলাচলা করবে।
প্রসঙ্গত, উদ্বোধন ঘোষণা করেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মতিয়ার রহমান, রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল ও পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পূর্ণ চন্দ্র রায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম।