বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রমজান উপলক্ষে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনা

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশেষ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দফতরে সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।

সভায় ঢাকা মহানগর এলাকার ব্যাংক, বিপনী বিতান, শপিংমল সমূহের নিরাপত্তা, সড়ক, রেল ও নৌ-যান চলাচল, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

জনসাধারণের নিরাপত্তা প্রদানপূর্বক তারা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে এবং পরিবারের সাথে ইফতার করতে পারে সে লক্ষ্যে ডিএমপি কমিশনার বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।

এর মধ্যে রয়েছে-

* মহানগরীর সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পবিত্র রমজান উপলক্ষে তিন ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা, পুলিশী টহল জোরদার করা, শপিং মল, স্বর্ণ মার্কেট এবং বাজারসমূহের পৃথক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ইফতারীর পর হতে তারাবী নামাজ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি সংক্রান্তে পিক আওয়ার বিবেচনায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পিক আওয়ারে সন্ধ্যা ছয়টা হতে রাত এগারটা পর্যন্ত) সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম স্ট্যান্ডবাই রাখা, মাদকের স্পটসমূহে টহল এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টির অপতৎপরতা এবং স্পট চিহ্নিত পূর্বক তা রোধকল্পে পোশাকে ও সাদা পোশাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মার্কেটকেন্দ্রিক এপিবিএন ফোর্স মোতায়েন, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের প্রতি বিশেষ নজরদারি রাখা।

* সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং ও সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধ এবং অপরাধী সনাক্তকরণ, গুজব প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং অব্যাহত রাখা, কাদিয়ানি ও শিয়া মসজিদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

* ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও যানজট নিরসনে ইফতারীর পূর্বে পিক আওয়ারে বিকাল তিনটা হতে রাত সাতটা অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা। ট্রাফিক পিক আওয়ার বিবেচনায় বিশেষ ট্রাফিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। ট্রাফিক পুলিশ এবং থানা পুলিশ যৌথভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনে দায়িত্ব পালন করা।

সায়েদাবাদ, গাবতলী, মহাখালী, ফুলবাড়িয়া ভিত্তিক বিভিন্ন টার্মিনালের পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকদের সাথে সভার আয়োজন করা। ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত বিভিন্ন ইন্টারসেকশনের মোড়ে মোড়ে যেন রিক্সা, মোটরসাইকেল, সিএনজি যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যানবাহনের গতি ব্যহত না করে সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা।

যেসব বাণিজ্যিক ভবনে পার্কিংয়ের সুবিধা আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পাশে সড়কে এক লেনের অতিরিক্ত কোন যানবাহন দাঁড়িয়ে থেকে সড়কের প্রশস্ততা যেন কমে না যায় সে বিষয়ে নজরদারি করা। প্রধান সড়কে হকাররা যেন কোন অবস্থাতেই তাদের পসরা সাজিয়ে না বসে সে দিকে খেয়াল রাখা। বিভিন্ন টার্মিনাল, মার্কেট, বিপনী বিতানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল করার জন্য ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা এবং প্রয়োজনীয় ওয়াচ টাওয়ার রাখা।

* অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট/ দোকান মালিক সমিতির সাথে সমন্বয় সভা করে মার্কেটের নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে নজরদারী বৃদ্ধি করাসহ প্রশিক্ষণ এবং তদারকির ব্যবস্থা করা। প্রতিটি মার্কেট/ দোকানে বহনযোগ্য অগ্নিনির্বাপনী যন্ত্র বা ফায়ার বল ইত্যাদি রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিড়িঁতে মালামাল রাখা বা দোকান বসানো থেকে বিরত থাকা এবং প্রয়োজনে সংস্কার করা। জরুরি বহির্গমনের রাস্তা ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত নির্দেশক চিহ্ন ব্যবহার করা। অগ্নি নির্বাপণ মহড়ায় মালিক/ কর্মচারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে রমজানের পূর্বেই বৈদ্যুতিক সংযোগ ও তার পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।
দোকানে গাদাগাদি করে মালামাল না রেখে একাধিক গোডাউনে মালামাল রাখার ব্যবস্থা করা। গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট/ দোকান মালিক সমিতির মাধ্যমে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও দিন রাত ২৪ ঘন্টা মনিটরিং নিশ্চিতকরণ করা। গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট/ দোকানসমূহে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কিনা এবং সচল আছে কিনা তা যাচাই করা। সিসি ক্যামেরার ডিভিআর সচল আছে কিনা তা যাচাই করা।

* সকল ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং খাদ্যদ্রব্যে ভেজালের বিরুদ্ধে ডিএমপি'র তত্ত্বাবধানে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা।

ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ, ডাচবাংলা মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি) কর্তৃপক্ষ/এজেন্ট/ডিস্ট্রিবিউটরদের সাথে টাকা পরিবহন সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিভাগের সমন্বয় সভা করা। শপিং মল ও মার্কেট সমূহে জালনোট সনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করা।

ব্যাংক ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানসমূহে বড় ধরনের লেনদেনের জন্য মানি এস্কর্ট সহায়তা নেয়া। শপিং মল, জুয়েলারী মার্কেট এবং বাজার কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। শপিং মল, জুয়েলারী মার্কেট ও বাজার কমিটির সাথে বিভাগভিত্তিক সমন্বয় সভা করা। শপিং মল সমূহে অপরাধ প্রতিরোধে গোয়েন্দা বিভাগ কর্তৃক সাদা পোষাকে পুলিশ মোতায়েন করা ও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা।

প্রতিটি শপিং মলের সামনে ও আশেপাশে কমিউনিটি পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েনের ব্যবস্থা করা। প্রতিটি জুয়েলারী দোকানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করাসহ এ্যালার্ম সিষ্টেম চালু করা। শপিং মল/মার্কেটসমূহে কর্মরত নারী বিক্রয় কর্মীদের বাড়ী ফেরার পথে রাত্রীকালীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা।

অন্যান্য সেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রতি ডিএমপির সুপারিশ-

* দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং বাড়ানো এবং ব্যবসায়ীদের সাথে সভা করা। রাস্তায় স্ট্রিট লাইট নতুন করে সংযোজন এবং মেরামতের ব্যবস্থা করা। রাস্তায় বা ফুটপাতে ইফতার সামগ্রী বিক্রয়ের সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। রমজানে রাস্তা খনন বন্ধ রাখা, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত রাখা। পাওয়ার স্টেশন ও গ্যাস স্টেশন এর নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা এবং ঢাকা মহানগরী এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।

সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্পেশাল ব্রাঞ্চ , র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), ডিজিএফআই, এনএসআই, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, সিটি-এসবি, পুলিশ সদরদপ্তর, এমআরটি পুলিশ, তিতাস গ্যাস, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি, ইসলামপুর কাপড় ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ ডাল ও ছোলার ডাল ব্যবসায়ী সমিতি, পিঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতি, কাওরান বাজার কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দিনভর সিলেটে বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালা শেষে বিকালে সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব বিএনপি নেতাকর্মীদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে বাংলাদেশকে কোনো হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হবে।

সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল থেকে শুরু হওয়া রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নেন সিলেট বিভাগের পাঁচ ইউনিটের নেতারা।

কর্মশালায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহবায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আলি, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবান ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।

নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমান বলেন, মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। জনগণের এ আস্থাকে ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার।

তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সব দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরও যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তিসংগত হলে যুক্ত করা হবে। আজকে বিভাগ পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে আলোচনার পর জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লিখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। তাই ভালো নিয়ত নিয়ে ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে। এজন্য যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব।

Header Ad

সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয়ের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েই ছিল। দেখার ছিল টেস্টের শেষ দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঠিক কতটা অপেক্ষায় রাখতে পারে বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ক্যারিবীয়দের। দ্রুতই সফরকারীদের গুটিয়ে বড় রনের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অ্যান্টিগা টেস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল হারের ব্যবধান কতোটা কমাতে পারে সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু ৩ উইকেট নিয়ে লড়তেই পারলেন না ব্যাটাররা। দিনের খেলা শুরুর ৪০ মিনিটের মধ্যেই জয় নিশ্চিত করে ফেলে উইন্ডিজ।

অ্যান্টিগা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ২০১ রানে। একইসঙ্গে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। জ্যামাইকায় ৩০ নভেম্বর সিরিজের ২য় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।

আগের দিন জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আর আজ ২ উইকেট হারাতেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। শরিফুল ইসলাম চোটে থাকায় ব্যাট করতে করতে পারেন নি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তিনি ড্রেসিংরুমে।

কাঁধে আঘাত পাওয়ার ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি শরিফুল। তাতেই ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ হার মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আগের দিন ১ উইকেট হাতে থাকলেও ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আজ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেটে আসা-যাওয়ার দায়টুকু সারতেই যেন মাঠে নামল বাংলাদেশ ব্যাটাররা। ৪০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে শেষ ইনিংস। খেলতে পারল মাত্র ৭ ওভার। আগের দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পারল মাত্র ২৩ রান।

জাকের আলি ফিরে গেলেন ৩১ রানে। আগের দিন মিরাজ করেন ৪৫ রান। এ নিয়ে টানা তিন সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে হারল বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা পঞ্চম হার দেখল দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৫০/৯ ডিক্লে.
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬৯/৯ ডিক্লে.
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১৫২/১০
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৩২/১০ (জাকের ৩১, হাসান ০, তাসকিন ৪*, শরিফুল ১ আহত আউট; রোচ ৮-১-২০-৩, সিলস ১৩-৩-৪৫-৩, শামার জোসেফ ৬-১-২২-১, আলজারি জোসেফ ৮-১-৩২-২, গ্রেভস ৩-১-১২-০)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
পরবর্তী টেস্ট: ৩০ নভেম্বর, জ্যামাইকায়

Header Ad

আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেকোনো মূল্যে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সৃষ্ট সংঘর্ষে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। নিহত আলিফ (৩৫) সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)। সাইফুল লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন
শাপলা চত্বর গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
এখনও দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে : উপদেষ্টা নাহিদ
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়