টেকনাফ সীমান্তে ফের মর্টার শেল ও গুলির শব্দ
ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত থেকে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে আবারও মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলার শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে এপারের স্থানীয়দের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে শোনা গেছে গোলার শব্দ।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় নাফ নদের ওপার থেকে আসা মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্কে সীমান্ত এলাকার লোকজন। এর আগে, বুধবার গভীর রাতে এসব সীমান্তে মর্টার শেলের শব্দ শুনতে পায় সীমান্তের লোকজন।
সীমান্তে গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে স্বীকার করেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর নাফ নদের ওপারে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্ত এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
জানা যায়, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মিদের সংঘর্ষ চলছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমারের কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামগুলোতে চলছে সংঘর্ষ। সংঘর্ষে গোলার শব্দ সীমান্ত এলাকা টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম থেকে শোনা যাচ্ছে।
হ্নীলা সীমান্তে বসবাসকারী মো.ইলিয়াছ বলেন, ‘বুধবার রাত থেকে আবারও ভারী গোলার শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে। অনেকক্ষণ টানা গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালেও নাফ নদের ওপারে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। যার কারণে সীমান্তে অযথা লোকজনকে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।’
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘সীমান্তে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।’
হোয়াইক্যং সীমান্তে বসবাসকারী দিন আলম বলেন, ‘বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে মিয়ানমারে মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। গত তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবারও সীমান্তে গোলার শব্দ। এতে সীমান্তবর্তী লোকজন ভয়ে আছেন।’
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, ‘মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের কারণে সীমান্তের নাফ নদে আমাদের টহল চলমান রয়েছে। নতুন করে বাংলাদেশে কোনও অনুপ্রবেশকারীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকালে আমরা দুই শতাধিক অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে প্রতিহত করেছি।’