মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দলীয় প্রতীক ছাড়া উপজেলা নির্বাচনে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো ইচ্ছা হলে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতেও পারে নাও দিতে পারে। তাতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সোমবার প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। আইন থাকার পরও এটা সম্ভব কিনা বা আইনের সংশোধন করছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আইনটা যেভাবে করা আছে এতে দলীয় প্রতীকেও নির্বাচন হতে পারে, দলীয় প্রতীক ছাড়াও হতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, কোনো দল যদি কাউকে মনোনয়ন দেয়, প্রতীক দেয়, সেখানে তার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে। এছাড়া আরো বিকল্প আছে। কোনো দল যদি মনে করে, তারা মনোনয়ন দেবে না কিংবা কোথাও দেবে, কোথাও দেবে না, সেক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আছে। কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচনও করতে পারে।

আইন সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আইন সংশোধনের কোনো দরকার পড়বে না। আমি আইনটি দেখেছি, আইন ঠিক আছে।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার চিন্তা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ কাউকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে দলের যে কেউ ইচ্ছা করলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতো ভোট করতে পারবেন। দলের নেতাকর্মীরাও যার যার পছন্দ মতো প্রার্থীর পক্ষ নিতে পারবেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে কিনা এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয়ভাবে অংশ নেবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না দেওয়া খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না; বরং একজনকে প্রতীক দিলে দলের অন্যরা তার বিরোধিতায় নামেন তাতে দলে বিভেদ বাড়ে।

Header Ad

মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে অন্ধকারে রেখে কিছু করলে মেনে নেয়া হবে না। আগেও মানুষ ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না। এ সরকারকে বলতে চাই, আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে জাতি আপনাদের ওপর বিশ্বাস হারায়।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সাবুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছি না, জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন করছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকে সংবাদপত্রে এসেছে-কেউ বলছেন নির্বাচনের আগেই সংস্কার করা হবে। আবার আরেকজন বললেন যে, সংস্কার করে নির্বাচন করতে হবে। এই সংস্কার করতে আপনাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) কয়দিন লাগবে। আমরা তো সংস্কারের কোনো লাইন দেখতে পাচ্ছি না।

সরকারের উদ্দেশে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কোনো রকম ছলচাতুরি করার প্রয়োজন নেই। আপনারা কবে নির্বাচন দিতে চান, তা জাতিকে জানান। সংবিধান পুনঃলিখন করতে হলে আমাদের সাথে কথা বলে করতে হবে।

Header Ad

মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় আলেম ও তাবলীগ জামাতের স্বঘোষিত আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে বাংলাদেশে আসার সুযোগ দেওয়া হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে বলে সতর্ক করেছেন কওমি আলেম-ওলামারা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলনে বক্তারা এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সম্মেলনে পীর মধুপুর মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করছে। তবে এই মহাসম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, যদি মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হয়, তবে সরকারকেও পালাতে হবে।

হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, কওমি আলেমরা এ সরকারকে স্থাপন করেছে, আর কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী চোখ রাঙালে তা সহ্য করা হবে না। তাবলীগের নেতৃত্ব শুধুমাত্র আলেমদের হাতেই থাকবে, অন্য কারও হাতে নয়।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী অভিযোগ করেন যে, মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীরা বিশ্ব ইজতেমায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, কোনোভাবেই তাদের এ ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না।

মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী অভিযোগ করেন, মাওলানা সাদ কোরআন-হাদিসের বিরুদ্ধে কুফরি বক্তব্য দিয়েছেন এবং সারা বিশ্বে তাবলীগের মূলধারা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তিনি সাদের অনুসারীদের কাদিয়ানী বলে অভিহিত করে বাংলাদেশে তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবি জানান।

নরসিংদীর জামিয়া কোরআনিয়া বৌয়াকুর মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা ইসমাইল নুরপুরী বলেন, সাদ অনুসারীদের বাতিল ও বিভ্রান্ত বলেই প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা চাই, মাওলানা সাদ বাংলার মাটিতে পা না রাখুন।"

জামেয়া হোসাইনিয়া মিরপুর মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া অভিযোগ করেন, মাওলানা সাদের বক্তব্য ইসলাম প্রচারকের যোগ্য নয়। তার সমালোচনামূলক মন্তব্য নবী ও সাহাবাদের প্রতি অশ্রদ্ধার পরিচায়ক।

সম্মেলনে কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের কার্যক্রম বন্ধ ও কাকরাইল মসজিদসহ বিশ্ব ইজতেমা মাঠ বাতিলপন্থীদের জন্য ছেড়ে না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও নয় দফা দাবি পেশ করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, শাপলা চত্ত্বরের ঘটনার বিচার, কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং মাওলানা সাদের বাংলাদেশে আগমন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা।

সম্মেলনে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন বক্তারা।

Header Ad

সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি কর্মকর্তাদের যে কোনো অনুষ্ঠানে স্লোগান বা জয়ধ্বনি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর লিখিত বক্তব্য প্রস্তুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি নয় দফা নির্দেশনা দেশের সব সচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে যে সকল দিবস বাতিল করা হয়েছে, সেই দিবসগুলো পালন না করার বিষয়ে সরকারি কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হওয়ার আগে আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের পেছনের কারা আছেন, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানকে বিতর্কমুক্ত রাখতে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিদের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। যদি কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি অতিথি হিসেবে থাকেন, তবে সেই অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমন্ত্রণপত্র, ব্যানার, লিফলেট, পতাকা বা অন্যান্য ছাপানো উপকরণে কোনো বিতর্কিত স্লোগান বা লোগো ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, তা সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করার জন্যও বলা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মচারীদের আরও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সম্প্রতি মাঠপর্যায়ের কিছু অফিসের কর্মকাণ্ড মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এসব ঘটনা এড়াতে নয় দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের সব ধরনের অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো ধরনের স্লোগান বা জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকতে হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন
সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা
বেনাপোল স্থলবন্দরে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার
প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, দিতে হবে পরীক্ষা
যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম
টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা