দলীয় প্রতীক ছাড়া উপজেলা নির্বাচনে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না
ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো ইচ্ছা হলে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতেও পারে নাও দিতে পারে। তাতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সোমবার প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। আইন থাকার পরও এটা সম্ভব কিনা বা আইনের সংশোধন করছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আইনটা যেভাবে করা আছে এতে দলীয় প্রতীকেও নির্বাচন হতে পারে, দলীয় প্রতীক ছাড়াও হতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, কোনো দল যদি কাউকে মনোনয়ন দেয়, প্রতীক দেয়, সেখানে তার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হবে। এছাড়া আরো বিকল্প আছে। কোনো দল যদি মনে করে, তারা মনোনয়ন দেবে না কিংবা কোথাও দেবে, কোথাও দেবে না, সেক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আছে। কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচনও করতে পারে।
আইন সংশোধনের কোনো প্রয়োজন নেই জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আইন সংশোধনের কোনো দরকার পড়বে না। আমি আইনটি দেখেছি, আইন ঠিক আছে।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার চিন্তা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ কাউকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে দলের যে কেউ ইচ্ছা করলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতো ভোট করতে পারবেন। দলের নেতাকর্মীরাও যার যার পছন্দ মতো প্রার্থীর পক্ষ নিতে পারবেন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে কিনা এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয়ভাবে অংশ নেবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া না দেওয়া খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে না; বরং একজনকে প্রতীক দিলে দলের অন্যরা তার বিরোধিতায় নামেন তাতে দলে বিভেদ বাড়ে।