শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাতীয় পার্টিই হচ্ছে বিরোধী দল

ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। এদের কারও কারও বিরোধী দলের নেতা হওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তা হচ্ছে না। একাদশ সংসদের বিরোধী দল হচ্ছে জাতীয় পার্টি। ১১টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও সে দলটিই বসতে যাচ্ছেন দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দলের আসনে।

তবে স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের অধিকাংশই বিরোধী দলে বসতে রাজি নন। তারা সরকারি দলের সঙ্গেই থাকতে চান। তাই জাতীয় পার্টিই ফের বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে। বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা কে হবেন সে বিষয়ে সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত জাপা এখনও স্পিকারকে জানায়নি। দলটি তাদের সিদ্ধান্ত স্পিকারকে জানালে ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা ও হুইপদের বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পাওয়ায় বিরোধী দলগুলোর মোট আসন ১৪টি। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে দুজন এমপি পাবে জাপা। তখন বিরোধীদের আসন হবে ১৬টি। স্বতন্ত্রদের চেয়ে জাতীয় পার্টি কম আসনে জয়ী হওয়ায় স্বতন্ত্র এমপিদের গ্রুপ গঠন করে বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার সুযোগ ছিল।

তবে একাধিক স্বতন্ত্র এমপি জানান, তারা বিরোধী দলের এমপি হওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নেননি। দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় দলীয় প্রধানের পরামর্শেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র এমপি হলেও তারা এখনও আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিভিন্ন পদে রয়েছেন। তাই তারা বিরোধী দলের আসনে বসতে আগ্রহী নন। কারণ বিরোধী দলে গেলে স্থানীয় রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হতে পারে। এতে আগামী দিনে দলীয় মনোনয়ন পেতে সমস্যা হবে। স্বতন্ত্র ৬২ জন এমপির মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুই স্বতন্ত্র এমপি জোট গঠন করে বিরোধী দল হওয়ার আভাস দিলেও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তারাও জোট গঠনের বিষয়ে আর সামনে অগ্রসর হননি।

এ বিষয়ে বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি পঙ্কজ নাথ জানান, বিরোধী দলে নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চান তিনি। তার মতে স্বতন্ত্র এমপিরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও দলের অনুমোদিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তাই সরকারের সঙ্গে থেকেই সংসদে ভূমিকা রাখতে চান। শেরপুর-১ আসনে টানা পাঁচবারের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদে দুবারের হুইপ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতিউর রহমান আতিককে হারিয়ে স্বতন্ত্র এমপি হয়েছেন শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করলেও বিরোধী দলে বসার জন্য এমপি হইনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সংসদে দায়িত্ব পালন করতে চাই। ময়মনসিংহ-৮ আসনের স্বতন্ত্র এমপি মাহমুদ হাসান সুমন জানান তিনিও বিরোধী দলে বসতে আগ্রহী নন।

সরকারের সঙ্গে থাকতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল জাপার প্রার্থী। তাই বিরোধী দলের সঙ্গে থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকেই উন্নয়নকাজ করতে চাই।

হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া বলেন, স্বতন্ত্র জোটের বিষয়ে আগ্রহী নই। কারণ স্বতন্ত্র এমপি হলেও আমি আওয়ামী লীগের বাইরের কেউ নই। তাই সংসদে বিরোধী দলের জোটে আমি থাকতে চাই না।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকার গঠনে ন্যূনতম ১৫১ আসনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে কয়টি আসন থাকতে হবে সংবিধান ও সংসদ কার্যপ্রণালি বিধিতে তার কোনো উল্লেখ নেই। তবে কার্যপ্রণালি বিধিতে বিরোধী দলের স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি স্পিকারের একক এখতিয়ারের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ২ (১) (ট) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘বিরোধী দলের নেতা’ অর্থ স্পিকারের বিবেচনা মতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসংঘের নেতা।’

সে হিসেবে বিরোধী দলের স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি স্পিকারের একক এখতিয়ারের বিষয়। তাই স্বতন্ত্র এমপিরা যেহেতু জোট গঠন করে বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি এবং তাদের আগ্রহ না থাকায় শেষ পর্যন্ত জাপাই বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনের আগেই এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ হবে।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহিদ সময়ের আলোকে বলেন, দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতি হচ্ছে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়ে থাকে। কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা গ্রুপবিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করবেন। তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার স্পিকারের। তবে এ ক্ষেত্রে সংসদ নেতার একটা মতামতও থাকে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা চাইলে বিরোধী দলের সঙ্গে থাকতে পারেন বলেও জানান তিনি।

জাপা সূত্র জানায়, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অথবা মুজিবুল হক চুন্নুবিরোধী দলীয় উপনেতা হতে পারেন। জাপা সংসদীয় দল এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত স্পিকারকে জানালে সংসদ সচিবালয় থেকে তাদের পদমর্যাদা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।

জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সময়ের আলোকে বলেন, স্বতন্ত্ররা সংখ্যায় বেশি হলেও কোনো দল নয়। তাই কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসেবে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হবে।

সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রথম সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেও ওই সংসদে কোনো বিরোধী দল বা বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন না। আর চতুর্থ সংসদে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা আ স ম আবদুর রব সংসদের অন্য দলগুলোকে নিয়ে কম্বাইন্ড অপোজিশন পার্টিস (কপ) বা সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করেন। তখন তাদের দখলে ছিল ১৯টি আসন। কপ প্রথমে সংসদীয় গ্রুপের মর্যাদা লাভ করলেও বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি। পরে আরও ১৪ জনসহ মোট ৩৩ জন সংসদ সদস্য আ স ম আবদুর রবকে নেতা মেনে নিয়ে স্পিকারের কাছে আবেদন পেশ করলে স্পিকার তাকে বিরোধী দলের নেতার স্বীকৃতি দেন।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত