ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে লিফলেট বিতরণ করলে ব্যবস্থা: ইসি আনিছুর
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার করে যাবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ হচ্ছে- এমনটা চোখে পড়লেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিছুর রহমান বলেন, ‘কাউকে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বড়-ছোট সবাইকে একইভাবে দেখছি। সেক্ষেত্রে আমরা নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মাঠে নিরপেক্ষ অবস্থান আছে। কোনো শঙ্কা, ভয়ভীতি বা আনুকূল্য নেই। আমরা চরম নিরপেক্ষ বলে কেউ রেহাই পাবে না।’
ভোট প্রতিহতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ ভোটে নাও আসতে পারেন, ভোট দিতে নাও পারেন। ভোট প্রতিহত করার অধিকার কারো নাই। কিন্তু অন্যকে প্রতিহত করলে আমরা এবার সংশোধনী এনেছি যে সাত বছর পর্যন্ত জেল বা অর্থদণ্ড করার জন্য। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট আমরা সবাইকে বলেছি যে আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। কোনো কার্পণ্য যাতে না হয়। কাজেই কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে ইসি আনিছুর বলেন, আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। নির্বাচন কর্মকর্তারাও এর বাইরে নন। কোনো রকম দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে ক্ষেত্র বিশেষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব, দরকার হলে বদলিও করা হবে। কাউকেই আমরা ছাড় দেব না।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে দাঁড়াতে পারছেন না। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের কেন আচরণবিধি মানাতে পারছেন না?- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, আমরা পারছি না, এই বক্তব্যে একমত হতে পারছি না। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলা ঘুরে আসছি। আচরণবিধি বাস্তবায়ন হচ্ছে। আজকেও আমরা কিছু কঠোর সিদ্ধান্তের আলোচনা করেছি। আরও কিছু তথ্য চেয়েছি। আগামীকাল (সেসব তথ্য) পেলে দেখবেন যে কিছু কঠোর সিদ্ধান্তে চলে যাবো। একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক মারা গিয়েছেন। আমরা কঠোর সিদ্ধান্তে চলে যাবো।
পুলিশ কেন অবহেলা করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেই ঘটনা শুনলাম এটা কিন্তু সকালবেলা তিনি তার বাড়ি থেকে কোনো একটা জায়গায় যাচ্ছিলেন, পথিমধ্যে তাকে আক্রমণ করা হয়েছে। তারা উভয়েই একই বংশের, তাদের মধ্যে আত্মীয়তা রয়েছে। কিছুদিন আগেও তাদের মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছিল, সে কারণেই হয়েছে, নাকি নির্বাচনের কারণে এ বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। নির্বাচনের কারণে অনেকে ব্যক্তিগত শত্রুতার বিষয়টিও সামনে আনছে। আমরা নিরপেক্ষতার সঙ্গেই দেখবো। এখানে যে কারও মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত। এভাবে মৃত্যু, একটা মৃত্যুও আমরা চাই না। এজন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। একটু সময় দেন। বাকিটা আপনারা দেখবেন।
এ নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, মাঠেও একই কথা বলেছি। কেউ ভোটে নাও আসতে পারেন, ভোট দিতে নাও পারেন। ভোট প্রতিহত করার অধিকার কারও নেই। কিন্তু অন্যকে প্রতিহত করলে আমরা এবার সংশোধনী এনেছি যে সাত বছর পর্যন্ত জেল বা অর্থদণ্ড করার জন্য। পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট সবাইকে বলেছি যে আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। কোনো কার্পণ্য যাতে না হয়। কাজেই কোনো ব্যত্যয় হবে না।