শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিট অ্যাওয়ার্ড পেলেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস

ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিট অ্যাওয়ার্ড পেলেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

ক্রীড়াজগতে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আজীবন কৃতিত্ব ও অর্জনের জন্য ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিটের (ডাব্লিউএফএস) আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেলেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিট অসামান্য ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেয়ার উদ্দেশ্যে নিবেদিত গালা অনুষ্ঠানে গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইউনূস সেন্টার থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিট (WFS) বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম বৃহত্তম ক্রীড়া প্ল্যাটফর্ম যা খেলাধুলায় সুযোগ তৈরি করতে এবং ক্রীড়াজগতে নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে বিশ্বখ্যাত পেশাদারদের সম্মিলিত করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্ম ক্রীড়াজগতের নেতৃবৃন্দকে সংযুক্ত করে যাঁরা ব্যবসা এবং মূল্যবোধ উভয় ক্ষেত্রেই ক্রীড়াশিল্পের বিবর্তনকে এগিয়ে নেবার জন্য নিজেদের জ্ঞান ও আইডিয়াগুলি পরস্পরের সাথে শেয়ার করেন। WFS—এর নেতারা আমাদের কল্পনার ফুটবলকে মানুষের সত্যিকার প্রয়োজনের সাথে সংগতিপূর্ণ করে গড়ে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পেশাদার ফুটবলারদের এই বিশ্বব্যাপী কমিউনিটি একটি আরও টেকসই ও সর্বোচ্চ স্তরের ফুটবল জগৎ গড়ে তোলার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিট অ্যাওয়ার্ড ফুটবলের গতিপথকে প্রভাবিত করেন এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্বীকৃতি প্রদান করে। এই বছর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হলো গত ১১ ই ডিসেম্বর ২০২৩, বিশ্ব ফুটবল সামিটের সর্বশেষ সংস্করণের প্রাক্কালে যা সৌদি আরবের জেদ্দায় ১২ থেকে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ সময়কালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছরের সম্মাননাগুলি প্রদান করা হচ্ছে চারজন অসামান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে যাঁদের প্রত্যেকেই ফুটবল জগতের ভেতরে ও বাইরে দীর্ঘস্থায়ী ও প্রভাবশালী অবদান রেখে চলেছেন।

এ বছর ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিটের আজীবন সম্মাননা পুরস্কারপ্রাপ্তরা

 

প্রথম সম্মাননাটি প্রদান করা হয় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্রীড়াজগতে তাঁর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে তাঁর আজীবন কৃতিত্ব ও অর্জনের জন্য।

২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী, অলিম্পিক লরেল পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত প্রফেসর ইউনূস সামাজিক উন্নয়নের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ব্যক্তিত্ব। ওয়ার্ল্ড ফুটবল সামিট তাঁর অসাধারণ জীবনকালের বিভিন্ন কৃতিত্বকে সামনে তুলে ধরে যিনি একই সাথে নোবেল শান্তি পুরস্কার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম এবং ইউনাইটেড স্টেটস কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত বিশ্বের সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তির অন্যতম।

অসামান্য ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেয়ার উদ্দেশ্যে নিবেদিত এই গালা অনুষ্ঠানে প্রফেসর ইউনূস ও তাঁর অসামান্য সব সামাজিক অবদানের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় খেলাধুলা ও সামাজিক ব্যবসার শক্তি ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী কাজ করে যাওয়া প্রতিষ্ঠান ইউনূস স্পোর্টস হাব প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর অবদানকে এই অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে উদ্‌যাপিত করা হয়।

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউনূস স্পোর্টস হাব সামাজিক ব্যবসার নীতির ভিত্তিতে সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অনুঘটক হিসেবে খেলাধুলার শক্তিকে ব্যবহার করে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ক্ষমতায়নের জন্য অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বিশ্ব ফুটবল সম্মেলনে প্রফেসর মুহম্মদ ইউনূসকে প্রদত্ত এই সম্মাননা কেবল পৃথিবীকে আরো সুন্দর ও বসবাসযোগ্য করে তুলতে তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মনিবেদনের স্বীকৃতিই শুধু দেয়নি, বরং খেলাধুলার দিগন্তকে আরো প্রসারিত করতে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টাকেও একইভাবে সম্মানিত করেছে।

আজীবন সম্মাননা গ্রহণের পর দর্শকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

 

প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত সম্মাননায় উল্লেখ করা হয়, ”প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস একজন অসাধারণ এবং অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব যিনি সামাজিক পরিবর্তন আনয়নে এবং কমিউনিটিকে আরো সমৃদ্ধ করতে তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন।” অনুষ্ঠানে তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে শুরু করে অলিম্পিক লরেল এবং ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্যই শুধু নয়, বিশ্বমানবতার কল্যাণে তাঁর বিভিন্ন অবদানের কথাও তুলে ধরা হয়।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং জলবায়ু সংকটের অবসান ঘটাতে খেলাধুলা এবং সামাজিক ব্যবসার শক্তিকে সম্মিলিত করতে ইউনুস স্পোর্টস হাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাঁর অসাধারণ দূরদৃষ্টি। আজ রাতে আমরা তাঁর অসাধারণ কর্ম এবং দীর্ঘস্থায়ী উত্তরাধিকারের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করছি,” সম্মাননায় আরো উল্লেখ করা হয়।

সম্মাননা গ্রহণকালে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,”বিশ্ব ফুটবল সামিট থেকে প্রদত্ত এই সম্মাননায় আমি সত্যিই গর্বিত। আমরা যখন খেলাধুলা উদ্‌যাপন করি, আসুন আমরা খেলাধুলার মাধ্যমে এর ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেবার পাশাপাশি মানুষ হিসাবে আমাদের নিজস্ব সম্ভাবনাকেও আমরা যেন চিনতে পারি তা ব্যক্তিগতভাবে হোক বা সম্মিলিতভাবে হোক যাতে মানুষের জীবনে অর্থবহ পরিবর্তন সূচিত হতে পারে। খেলাধুলা ও তারুণ্য পরস্পর সমার্থক যা স্বপ্ন অর্জনের প্রতিশ্রুতি সৃষ্টি করে। খেলাধুলা তারুণ্যের অব্যবহৃত সামাজিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের জন্য নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে।”

তিনি আরো বলেন, ”আসুন আমরা খেলাধুলার সার্বজনীন ভাষা এবং সামাজিক ব্যবসার বাস্তব শক্তিকে এমন একটি ভবিষ্যৎ সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করি যেখানে খেলাধুলা শুধুমাত্র বিনোদন হিসেবেই নয়, বরং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, সম্পদ কেন্দ্রীকরণ এবং বেকারত্ব—মুক্ত একটি নতুন পৃথিবী তৈরি করতে তা নিজেকে উৎসর্গ করে। এবং যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আসুন, আমরা আনন্দের সাথে এটি করি! ”

সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্যান্যরা হলেন পেশাদার ফুটবলার এবং চিকিৎসক ডা. নাদিয়া নাদিম যাঁকে তাঁর বিভিন্ন অবদানের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া খেলাধুলার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিশুদের ক্ষমতায়নকারী দাতব্য সংস্থা PACES - কে পুরস্কার প্রদান করা হয় যা প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি হেলেন আলুজাইজি গ্রহণ করেন এবং ফুটবল ফেডারেশনের উদ্ভাবনের জন্য এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)-কে সম্মাননা দেয়া হয় যা গ্রহণ করেন এএফসি মহাসচিব দাতুক সেরি উইন্ডসর জন।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত