৫০ দেশের পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসার আবেদন করেছেন
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পর্যবেক্ষকদের বাংলাদেশে আসার আবেদনের সময়সীমা ২৬ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে সেই সময় বাড়ানো হয়েছে। এদিকে ইতোমধ্যে ৫০ দেশের পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসার জন্য আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৮নভেম্বর) কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
আনিছুর রহমান বলেন, বিএনপি ভোটে এলে তফসিল পুনঃনির্ধারণ হতে পারে। কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু কাউকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া কিংবা নির্বাচন বানচাল করার অধিকার তাদের নেই। প্রত্যেক নাগরিকের নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। অধিকার পরিপন্থী কিছু করা সমীচীন হবে না।
নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশনকে বলুন। দেশে মোট ৪৬টি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আছে। এর মধ্যে ২৬টি দল নির্বাচনে এসেছে। বাকি ১৮টি দল আসেনি। যারা আসবে না তাদের আনার কোনো উপায় আমাদের হাতে নেই। নির্বাচন করা, না করা তাদের সিদ্ধান্ত।
আনিছুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যেই আরও ৫০টি দেশের পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসার জন্য আবেদন করেছেন। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, অতীতের সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এবারও সারাদেশে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শুরু হওয়া মতবিনিময় সভা চলে দুপুর ২টা পর্ষন্ত। এ সময় আনিছুর রহমান জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্বাচনের বিষয়ে যাবতীয় দিকনির্দেশনা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন, কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, ৩০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ ও ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ জেলার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।