বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

আজ রংপুরে গ্যাস সঞ্চালন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি:সংগৃহীত

উত্তরের জনপদ রংপুরের মানুষের পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের দাবি অনেক দিনের। ২০১১ সালে রংপুর সফরে এসে সেই দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এরপরই পাইপলাইনের মাধ্যমে রংপুরে প্রাকৃতিক গ্যাস সংযোগ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন সরকার। শুরু হয় বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে নীলফামারী পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালনের পাইপলাইন স্থাপনের কাজ।

রংপুরবাসীর দীর্ঘ অপেক্ষা-প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর সঞ্চালন পাইপ লাইন উদ্বোধন করবেন।

বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর সঞ্চালন পাইপ লাইন প্রকল্পের পরিচালক খন্দকার আরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রংপুরের পীরগঞ্জ প্রান্তে আগুন জ্বালিয়ে ‍দেখানো হবে। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। আর পীরগঞ্জ প্রান্তে থাকবেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রূখসানা নাজমা ইসহাক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

ছবি: সংগৃহীত

 

জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রীয় দুটি কোম্পানি কাজ করছে। সঞ্চালনের দায়িত্বে রয়েছে জিটিসিএল, আর বিতরণ অংশের প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল)। সঞ্চালন কোম্পানি বগুড়া থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ করেছে। তবে বিতরণ লাইনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহকরা এর সুবিধা পাচ্ছেন না।

পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সঞ্চালনের উদ্বোধনের পাশাপাশি বিতরণ লাইনের কাজ উদ্বোধন করা হবে। কোম্পানিটি বিতরণ লাইন নির্মাণের জন্য পৃথক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের আওতায় থাকছে ১০০ কিলোমিটার পাইপ লাইন। এরমধ্যে রংপুর শহরে ৪৪ কিলোমিটার, পীরগঞ্জে ১০ কিলোমিটার, নীলফামারী ও উত্তরা ইডিজেড এলাকায় ৪৬ কিলোমিটার। বিতরণ লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে।

এদিকে শুধু নির্দিষ্ট সংখ্যক বৃহৎ কোনো প্রতিষ্ঠানকে নয়, ক্ষুদ্র শিল্পকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়াসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহের দাবি শিল্পোদ্যোক্তাদের। তারা বলছেন, গ্যাস সরবরাহ না থাকায় প্রাচীন এ জেলায় ভারী শিল্প ও কলকারখানা গড়ে ওঠেনি। তবে পাইপলাইন উদ্বোধনের পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে এ অঞ্চলে শিল্প বিপ্লব ঘটবে।

জিটিসিএল জানায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এটি চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময়ের আগে মে মাসেই প্রকল্পের পুরো ১৫০ কিলোমিটার এলাকার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ করে জিটিসিএল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অধিগ্রহণ করা ৩০৫ একর জমিতে বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের উচ্চচাপ সম্পন্ন গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে পীরগঞ্জ টিবিএস-২০ এমএমএসসিএফডি (সিটি গেট স্টেশন), রংপুর টিবিএস- ৫০ এমএমএসসিএফডি, সৈয়দপুর সিজিএস-১০০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন পাইপলাইন দিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ সক্ষমতা ৫০ কোটি স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট গ্যাস।

এদিকে আপাতত ভারী শিল্প কলকারখানা, ইপিজেড এবং রিফুয়েলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের থাকলেও ক্ষুদ্র শিল্পকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়াসহ দ্রুত সময়ে গ্যাস সরবরাহের দাবি স্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের। তারা জানান, ব্যাপক সম্ভাবনা থাকার পরও শুধুমাত্র জ্বালানির অভাবে এতোদিন শিল্পের বিকাশ ঘটেনি রংপুর অঞ্চলে। যে কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে শিল্প বাণিজ্যে অনেক পিছিয়ে রংপুর। তবে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উত্তরবঙ্গবাসীর স্বপ্নের গ্যাস পাইপ লাইন উদ্বোধনের খবরে খুশি এ অঞ্চলের মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। ঘোষণা অনুযায়ী পাইপলাইনে গ্যাস এসেছে রংপুরে। আমরা রংপুরবাসী অত্যন্ত খুশি। শিল্পোদ্যোক্তাসহ ব্যবসায়ী মহলের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল এ অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের।

রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আকবর আলী বলেন, পীরগঞ্জ থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে অনেক দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তা প্লট ক্রয় করে গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে আমাদের এখানে আরও বেশি কলকারখানা গড়ে উঠবে। এতে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সংকট কমে যাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও বেশি দৃশ্যমান হবে। এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। দারিদ্র্যতার বৈষম্য দূর হবে।

রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, গ্যাস এলেই এ অঞ্চলে শিল্প বিপ্লব ঘটবে। এছাড়া প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও সব উপজেলার শিল্প কারখানার পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।

এদিকে জিটিসিএলের তথ্য মতে, দেশের উত্তর জনপদে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টিসহ বাণিজ্যিক ও অন্যান্য গ্রাহকের গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১ হাজার পিএসআইজির ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন এবং আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পটি সরকারি ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ অর্থায়নে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের জন্য ৩০৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়া হুকুম দখল করা হয়েছে ৫৭৬ দশমিক ৩৭ একর জমি। ৩০ ইঞ্চি ব্যাসার্ধে ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে। এই গ্যাস সরবরাহে পাইপলাইন পাড়ি দিয়েছে ৬টি নদী ও ২টি খাল। এসব নদী ও খালের দূরত্ব আড়াই কিলোমিটার। এ প্রকল্পে ইপিসি ভিত্তিতে সৈয়দপুরে ১০০ এমএমএসসিএফডি (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট পার ডে) ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সিজিএস (সেন্ট্রাল গ্যাস সাপ্লাই), রংপুরে ৫০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টিবিএস (টাউন বর্ডার স্টেশন) এবং পীরগঞ্জে ২০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টিবিএস স্থাপন করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২