মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী শতভাগ উপস্থিত!
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়সহ সরকারি-বেসরকারি ও আধা-সরকারি অফিসসমূহে অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা জারি করা হলেও সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ের প্রত্যেক দপ্তরেই ছিল পুরো কর্মব্যস্ততা।
অমিক্রন পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপের দিকে যাওয়ায় অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ করার বিষয়ে রবিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, সোমবার থেকেই এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
এর আগে রবিবার (২৩ জনুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক নির্দেশনায় সোমবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে সচিবালয় দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
সোমবার সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ঘুরে দেখা গেছে যে প্রায় সকল মন্ত্রণালয় শতভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি রয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি, আইন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘুরে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রবিবার রাতে নির্দেশনা জারি করায় অধিকাংশ দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অফিসে চলে এসেছেন।
তা ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নির্দেশনা জারি করেছে সেগুলো আজ মন্ত্রণালয়গুলোতে পৌঁছেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় যুগ্মসচিব রেহানা ইয়াছমিন জানান, মন্ত্রণালয় থেকে আজই (সোমবার) জানিয়ে দেওয়া হবে কারা কোন কোন দিন অফিস করবেন। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে তাদের মন্ত্রণালয় অর্ধেক জননল নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা কার্যকর হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা বলেন, ‘আমাদরে মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ে অনেক কাজ। এখানে জনবল অর্ধেক করে কাজ করা খুব কঠিন। তারপরও সেটা করতে হবে। মঙ্গলবার থেকে হয়ত সেটি কার্যকর হবে।’
আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি ইস্যু করা হবে। রোস্টার করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের দিন ঠিক করে দেওয়া হবে।
একই কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার থেকে আমাদের মন্ত্রণালয়ে অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় সোমবার নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের সময়সূচি ভাগ করে দিচ্ছে।
ফলে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে সচিবালয়ের সকল মন্ত্রণালয়ের সকল দপ্তরে জনবল কমে আসবে। অর্ধেক জনবল সরাসরি অফিস করবে এবং জনবল ভার্চ্যুয়ালি নিজেদের কাজ করবে।
এনএইচবি/এমএমএ/