৫০ শতক জমি কিনে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করে ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। ঢাকা, ১৩ আগস্টছবি: ডিএমপির সৌজন্যে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার টাট্রিউলি গ্রামে ৫০ শতক জমি কিনে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করে ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’। সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়ে সশস্ত্র জিহাদে অংশ নিতে কথিত হিজরতের নামে নিজ নিজ বাসা ছাড়েন ওই শিবির থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জন। সবাই ওই শিবিরে পৌঁছে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছিলেন। ইমাম মাহমুদের অনুসারী জামিল ওই জমি কিনেছিলেন।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
গত শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। ফরহাদ জিজ্ঞাসাবাদে জানান, কুলাউড়ায় একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কথিত ইমাম মাহমুদের নেতৃত্বে তাঁর বেশ কিছু অনুসারী আস্তানা স্থাপন করেছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ‘অপারেশন হিলসাইড’ পরিচালনা করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে জঙ্গি সন্দেহে চারজন পুরুষ ও ছয়জন নারীকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পরকালীন পুরস্কার পাওয়ার কথা বলে ইমাম মাহমুদ মানুষকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতেন। লোকজনকে বলতেন, জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণের প্রথম ধাপ হলো গৃহ ত্যাগ; তথা হিজরত। তাই জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণের উদ্দশ্যে ইমাম মাহমুদের নেতৃত্বে সংগঠিত হওয়ার জন্য তাঁরা সবাই ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সংগঠনটির নাম ইমাম মাহমুদের কাফেলা। এই নামেই তারা লোকজনদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে জঙ্গিদের নাশকতার পরিকল্পনা রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘কুলাউড়ার আস্তানাটি দুই মাস আগে করা হয়েছিল। আস্তানা তৈরি করার জন্য ৫০ শতক জায়গা কেনা হয়েছিল। যার নামে ওই জমির দলিল করা হয়েছিল, সেই দলিলগ্রহীতার নামও আমরা পেয়েছি। তবে কত টাকা দিয়ে জমি কেনা হয়েছিল, সেই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তাদের সদস্যদের জিহাদের জন্য যা যা করা প্রয়োজন ছিল, সবকিছুই ওই আস্তানা থেকে করা হতো।’