রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ পরিকল্পনা পুলিশের: আইজিপি

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। একইসঙ্গে প্রয়োজনে রেলওয়েকে পুলিশ সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে পুলিশের বার্ষিক আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আইজিপি বলেন, ট্রেনের ছাদে উঠে যাত্রীদের ভ্রমণের বিষয়ে বিরত রাখতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা থাকবে। আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি তাতে করে সবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করি।

ঈদযাত্রার জন্য প্রতিবছর পুলিশ যে ব্যবস্থা করে থাকে এবারও তা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন সারা দেশে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল, যখন পদ্মা সেতু ছিল না, চন্দ্রার মোড়ে যখন একটি মাত্র রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হতো, তখন পুলিশ সদস্যরা রাত-দিন পরিশ্রম করে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতেন। বর্তমান সরকারের বহুমুখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ফলে ঈদযাত্রার যানজট থেকে স্বস্তি মিলেছে। এখন আর কাউকে কষ্ট করতে হবে না।

পুলিশপ্রধান বলেন, ঈদের আগে একদিন যে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার, এতে করে এবার ঈদযাত্রার চাপটা কিছুটা হলেও কমবে।

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমাদের রেলওয়ে পুলিশ রয়েছে। এ ছাড়া রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা যে সাপোর্ট চাইবে আমরা সেই সাপোর্ট দেব। আমাদের ফোর্স মোতায়েন থাকবে, প্রয়োজন হলে ঈদে আরও ফোর্সের ব্যবস্থা করা হবে।

কেএম/এসজি

Header Ad
Header Ad

ছাত্রনেতাদের ভুল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান পাটোয়ারীর

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী ছাত্রনেতাদের ভুলগুলোকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। রবিবার (২৩ মার্চ) এনসিপির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “আন্দোলন থেকে ছাত্রনেতারা রাজনীতিতে প্রবেশ করছেন, তাই এই সময়ের ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা উচিত।”

পাটোয়ারী আরও উল্লেখ করেন যে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাসনাত-সারজিসদের বৈঠকের বিষয়ে আগে থেকেই এনসিপি জানতো।

যাত্রাবাড়ি জোন আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যায়ে সক্রিয় রাখার চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা তৃণমূলের নির্বাচন চায় না, তারা ইনিয়ে-বিনিয়ে আওয়ামী লীগকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা সব দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের মাঝে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করবেন না। যারা নির্বাচন চান, রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।”

সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে পাটোয়ারী বলেন, “সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারকে আরও দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে নিতে হবে। নতুন মোড়কেও আমরা আওয়ামী লীগকে চাই না।”

Header Ad
Header Ad

শিলংয়ে ঝামেলায় বিরক্ত বাংলাদেশ ফুটবল দল

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের শিলংয়ে অবস্থান করা বাংলাদেশ ফুটবল দল একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কলকাতা হয়ে শিলংয়ে পৌঁছানোর পর তাদের লাগেজ পেতে অনেক সময় লেগে যায়। দুপুরে হোটেলে উঠলেও কিছু খেলোয়াড় তাদের লাগেজ পান রাতের দিকে। এছাড়া আগে থেকেই বুকিং করা হোটেলে পর্যাপ্ত রুম না থাকায় লবিতে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেককেই।

অনুশীলনের ক্ষেত্রেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ দলকে অনুশীলন করতে হয়েছে উঁচু-নিচু, অসমান মাঠে, যেটিকে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আদর্শ মনে করেননি। আজ শনিবার তারা অনুশীলন করেছেন টার্ফের মাঠে।

বাংলাদেশের মূল ভেন্যুতে অনুশীলনের অনুমতি চাইলেও অল ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশন সেটি দেয়নি। অথচ ভারতীয় দল জওয়াহেরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে টানা অনুশীলন করে যাচ্ছে। এছাড়া শনিবার অনুশীলনের সময় নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা দেয়। প্রথমে সন্ধ্যা ৬টায় অনুশীলনের সময় নির্ধারণ করা হলেও পরে তা পরিবর্তন করে সাড়ে ৭টায় নেওয়া হয়।

রাইট ব্যাক সাদ উদ্দিন এ বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, “এটা আমাদের জন্য ডিস্টার্বিং। আমাদের অনুশীলনের সময় নিয়ে পরিবর্তন হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে আমরা পেশাদার খেলোয়াড়, আমাদের এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।”

বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন বলেন, “আমরা টার্ফে অনুশীলন করতে চাইনি। ঘাসের মাঠ চেয়েছিলাম। কিন্তু হয়তো ওদের সীমাবদ্ধতা বা অন্য কোনো কারণ ছিল। এগুলো নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা অনুশীলনে মনোযোগ রাখছি, অন্য কিছুতে নয়।”

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ঘাসের মাঠে হবে, অথচ এর দুই দিন আগে টার্ফে অনুশীলন করায় ক্ষতির শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবুও দলটি সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সফলতার আশায় আছে।

Header Ad
Header Ad

আমাদের কথাবার্তায় সহনশীলতা দেখাতে হবে: রিজভী

সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার। পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তাই আলোচনা কথাবার্তায় সহনশীলতা দেখাতে হবে, যাতে রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।

রোববার (২৩ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত শক্তিশালী করার জন্য অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন, একটি ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১, ৯০’র আন্দোলনে এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। তারা জনগণের পক্ষে থাকার কারণে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই আমাদের এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে, সম্মান দেখাতে হবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সতর্ক থাকতে হবে যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে আমাদের দ্বারা সেসব প্রতিষ্ঠানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। মনে রাখতে হবে ৭১’ সালে আমাদের দেশের সেনাবাহিনী সর্বোপরি এ দেশের জনগণের সঙ্গে ছিল। সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মেজর, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সবসময় দেশের জনগণের পক্ষে কাজ করেছে। আমরা ৯০’ এর আন্দোলনেও দেখেছি আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ২০২৪ সালেও দেখেছি এই সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলন তীব্র তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে আমাদেরকে সম্মান দেখাতে হবে।

রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজগুলো আমাদের করতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ছাত্র-জনতা, শ্রমিকরা প্রত্যেকে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রের কাঠামো আরও মজবুত করতে হবে। শক্তিশালী গণতন্ত্র আমাদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রতিটি নাগরিক যেন তার প্রাপ্য স্বাধীনতা পায় এরকম একটা রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্রনেতাদের ভুল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান পাটোয়ারীর
শিলংয়ে ঝামেলায় বিরক্ত বাংলাদেশ ফুটবল দল
আমাদের কথাবার্তায় সহনশীলতা দেখাতে হবে: রিজভী
ঢাকায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান দিবস উদযাপন
সৌদিতে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ৬ জন
তালেবান নেতার মাথার বিনিময়ে কোটি ডলারের পুরস্কার বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
রাজধানীতে ঈদের দিন আনন্দ মিছিল ও দিনব্যাপী মেলার আয়োজন
দেশের নাম পরিবর্তন করা উচিত বলে আমরা মনে করি না: সালাহউদ্দিন
জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন
২৫ মার্চ সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন
১০ শতাংশ দাম কমছে ইন্টারনেটের
দীর্ঘ ৮ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর হবে মাইলফলক : চীনা রাষ্ট্রদূত
পাওনা আদায়ে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলছে ইসলামী ব্যাংক
সাগরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত
টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় যাত্রীকে মারলেন পাইলট
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত
গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা