বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য নিচ্ছে ঢাকা জেলা প্রশাসন
রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য তথ্য নিচ্ছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই বঙ্গবাজারের এনেক্সকো টাওয়ারের সামনে নিজ নিজ দোকানের তথ্য দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন বহু সংখ্যক ব্যবসায়ী। সময়ের সঙ্গে সেখানে জড়ো আরও ব্যবসায়ী, লাইনও ক্রমান্বয়ে বড় হচ্ছে। যা এখনো চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, চারদিন আগেও যারা দিনে লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন, তারা আজ নিঃস্ব। সরকারি সহায়তার জন্য তথ্য দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা। এতে নিজেদের ছোট মনে হচ্ছে, লজ্জাও লাগছে। তবুও নিরুপায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন লাইনে।
গুলিস্তান মার্কেটের একটি দোকানের মালিক মো. ফাহাদ হোসেন বলেন, আমার তিনটি দোকান ছিল, গোডাউন ছিল। দোকানগুলো মাঝের দিকে হওয়ায় কোনো মালামাল বের করতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, তিন দোকানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাল (টি-শার্ট) পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানের চিহ্নটুকুও নাই। আজ আমি নিঃস্ব।
ফ্যাশন গার্মেন্টসের মালিক মো. মাহবুব বলেন, আমার তিনটি দোকান এবং বড় একটি গোডাউন ছিল। ৫০ লাখ টাকার বেশি জ্যাকেট, ট্রাউজার আর রেইনকোট ছিল। আমি একটি মালও আনতে পারিনি।
জান্নাত গার্মেন্টসের মালিক কবির হোসেন বলেন, এক কোটি টাকার মাল ঢুকেছে আগের রাতে, সকাল হতে না হতেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল। আমার এক্সপোর্ট কোয়ালিটি জ্যাকেট ছিল সব। সব মিলিয়ে আমার ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। জানি এত পরিমাণ সহায়তা কেউ দিতে পারবে না। তবে সরকারের কাছে অনুরোধ করব, ব্যবসা করার সুযোগটা আবার দিন। আমরা ব্যবসা করে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে চাই।
এদিন ব্যবসায়ীরা নিজ দোকানের নাম, জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স এবং দোকানের নাম বা দোকানের ভিজিটিং কার্ড এনেছেন অনেকেই। কারও কারও ট্রেড লাইসেন্স দোকানেই পুড়ে গেছে। তারা শুধু দোকানের ভিজিটিং কার্ড নিয়ে এসেছেন।
শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটোর দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসেন। সুশৃঙ্খল লাইনের ব্যবস্থা করতে সহযোগিতা করছেন পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সাভির্সের ৫১ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
কেএম/এএজেড