ডিসি সম্মেলন
প্রকল্পের অর্থ অপব্যবহার না করতে নির্দেশ শ ম রেজাউল করিমের
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যাতে যথাযথ বাস্তবায়ন হয়, কোনো প্রকল্পের অর্থ অপব্যবহার না হয় সেজন্য ডিসিদের অনুরোধ করেছি। একই সঙ্গে কারেন্ট জাল বা অন্যান্য জাল দিয়ে মাছ ধরা, পশুখাদ্যে ভেজাল যাতে কেউ দিতে না পারে, মৎস্য উৎপাদন ও পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারের যেসব পরিকল্পনা আছে সেগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন যাতে সহায়তা করে সে বিষয়গুলোর প্রতি ডিসিদের নির্দেশনা দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের (ডিসি) শেষ দিনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নৌপরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য অধিবেশন শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশের প্রান্তিক সীমা থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত আমাদের মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন, বিপণন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যতো কর্মকাণ্ড আছে সেই কর্মকাণ্ডে তাদের দেখভাল করা, তদারকি করার আহ্বান জানিয়েছি।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ ধারাবাহিকতা যাতে অব্যাহত রাখা যায় সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সব সহযোগিতার জন্য আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। আমাদের মৌলিক জায়গা হচ্ছে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মিঠাপানির মাছে তৃতীয় স্থানে, ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বের বিস্ময় সৃষ্টি করে সর্বোচ্চ উৎপাদনে। যেসব মাছ হারিয়ে গিয়েছিলে আমরা কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে সেসব মাছ আমরা ফিরিয়ে এনেছি। এ বিস্ময়কর সাফল্যের জায়গাটা যাতে আমরা ধরে রাখতে পারি সেক্ষেত্রে প্রশাসন যাতে সহায়তা করে সে বিষয়গুলো আমরা তাদের দৃষ্টিতে এনেছি।
রেজাউল করিম বলেন, জেলা প্রশাসকদের কিছু প্রস্তাব ছিল। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় যেসব ভেসেলে লাইসেন্স জরুরি না, সেগুলোকে কীভাবে ডিমার্ক করা যায়, আমরা সেখানে বলেছি বাংলাদেশি সিম্বল দিয়ে আমরা তাদের ডিমার্ক করব। কোনো কোনো এলাকায় আধুনিক শুটকি পল্লি করা যায় কি না সে প্রস্তাব ছিল, আমরা বলেছি অবশ্যই করা যাবে। কোন কোন এলাকায় নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া যায় বা যেসব এলাকায় কোন কাজ চলছে তার ধরন পরিবর্তন করা যায় কি না, প্রশাসনকে কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায় সেসব বিষয়ে আমরা বলেছি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে। তারা যেটা আশা করেছে তার অধিকাংশগুলো আমাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা আইনে নয়, একটা প্রস্তাব ছিল সব নৌযানকে লাইসেন্স দেওয়া যায় কি না? এখন সব নৌযান বলতে কিন্তু ছোট ছোট নৌযান আছে, তাদের লাইসেন্স দেওয়ার বিধান নেই। আমাদের মৎস্য আইন রয়েছে, সমুদ্র আইন রয়েছে। আইনের বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করব না। তবে আইন না থাকলেও নীতিগতভাবে, প্রশাসনিকভাবে যেসব বিষয় প্রয়োজনীয় সেসব বিষয় তারা যাতে গ্রহণ করতে পারেন সে বিষয়ে আমরা মতামত দিয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালীন যেসব মৎস্য আহরণকারীরা অসুবিধায় পড়তে পারে, তাদের জন্য ভিজিএফের ব্যবস্থা করা হয়েছে, টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতীতে গতানুগতিক অবস্থা ছিল। আমি মন্ত্রণালয়ে আসার পর সব কার্ড আপডেট করেছি, এখন থেকে ২০ বছর আগে যিনি মৎস্যজীবী ছিলেন তারমধ্যে অনেকে গার্মেন্টসের মালিক হয়ে গেছে। আবার অনেক অসহায় মৎস্যজীবীর নামটাই তালিকাভুক্ত হয়নি। চলমান একটা প্রক্রিয়া করেছি। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের প্রধানরা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এনএইচবি/এসএন