অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শাবিপ্রবির অনশনরত শিক্ষার্থীরা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ৩টা থেকে ২৪ শিক্ষার্থী এই অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরেও ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আগের মতোই অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত রয়েছেন।
আন্দোলনরতরা জানান, যারা অনশনে রয়েছেন, তাদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি। বিভিন্ন হাসপাতালে যোগাযোগ করেও সাড়া মেলেনি। পরে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে বৃহস্পতিবার সকালে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসককে নিয়ে আসেন। এ সময় চিকিৎসককে অনশনরত অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে। জ্বরের কারণে এক ছাত্রীকে বমি করতেও দেখা গেছে। এর আগে গতরাতে বাংলা বিভাগের মোজাম্মেল হক ও সমাজকর্ম বিভাগের দীপান্বিতা বৃষ্টি নামের দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের অ্যাম্বুলেন্সযোগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টার পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবি থাকলেও আন্দোলনরতরা এখন উপাচার্যের পদত্যাগেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের জন্য গতকাল বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। অন্যথায় আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন। গতকাল সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগের অপেক্ষায় ছিলেন। তবে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আমরণ অনশন শুরুর সিদ্ধান্ত নেন।
বুধবার বিকাল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন শুরু করেন ১৫ ছেলে ও ৯ মেয়ে শিক্ষার্থী। অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- শাহরিয়ার আবেদিন, আবদুল্লাহ আল রাফি, রাকিব, ফয়জুর রহমান, আসিফ ইকবাল, কাজল দাশ, সাদিয়া নওরিন মিথিলা, জান্নাতুল নাইম নিশাত, জাহিদুল ইসলাম, এস এম আহাসান উল্লাহ, আসাদুজ্জামান, মরিয়ম আক্তার, আবু রাকিব হাসানসহ আরও ১৩ জন।
এদিকে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গতকাল বিকাল ৪টায় প্রায় আড়াই শ শিক্ষকের সঙ্গে জুম মিটিং করেন উপাচার্য। জুম মিটিং শেষে রাত ৮টার দিকে শতাধিক শিক্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের আন্দোলন স্থগিত করার অনুরোধ করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের বলেন, ‘আগে আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে আপনারা একাত্মতা প্রকাশ করুন।’
ডিডি/টিটি