আরাভ খানের বিষয়টি এখনো 'আনফোল্ডিং' এবং সময়মতো জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এমন কথা বলেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হননি জানিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমি এটুকুই বলতে পারি যে, বাংলাদেশের আসামি কোনো বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে পালিয়ে থাকতে পারবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরাভ খানের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি দুবাইয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আরাকানকে নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশা মতে, আগামী ঈদের আগেই যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রেং—১৩৮৭ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. খলিলুর রহমান আরো বলেন, ‘আমি আজকেও (শুক্রবার) রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছি। তাদেরকে বলছি যে, আন্তর্জাতিক ফোরামে তারা যেন প্রত্যাবাসন বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।’
ড. খলিলুর রহমান রাখাইনদের উৎসব প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশ সকল ধর্মের, সকল নৃ—গোষ্ঠীর এবং সকল সংস্কৃতির একটি দেশ। আমাদের দেশের এই সময়টা উৎসবের সময়। তিনি বর্ষবরণের চমৎকার অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রতি অভিনন্দন জানান।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন।
এর আগে, গত রমজান মাসে জাতিসংঘের মহাসচিবকে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি, আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের জোর প্রচেষ্টায় থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলন চলাকালে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় মিয়ানমার সরকার।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) দেশব্যাপী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে অথবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা এই কর্মসূচির নামকরণ করেছেন ‘রাইজ ইন রেড’।
গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ নামক একটি ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা এই পেজের মাধ্যমেই তাদের আন্দোলনের বিভিন্ন আপডেট জানিয়ে আসছেন।
ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, আজ শনিবার তাদের কর্মসূচির নাম ‘রাইজ ইন রেড’ ঘোষণা করা হলো।
তারা জানিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সারাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হবে।
এই কর্মসূচির অধীনে কুমিল্লার ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে এবং কারিগরি শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত না হওয়ায় প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটক অনির্দিষ্টকালের জন্য লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।
পাশাপাশি, কারিগরি সেক্টরের বৈষম্য দূরীকরণ এবং তাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এড়িয়ে মহাসড়কের দুই পাশে অথবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক সভাপতি এবং লোকসভার সাবেক সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। পাত্রী তার দলের মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদার। বয়স ৪৭ বছর।
বাইপাসের নিউটনের আবাসিক এলাকায় ঘরোয়াভাবে হিন্দু রীতি মেনে মন্ত্রচ্চারণ, মালা বদল, সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন দিলীপ। বিয়েতে পরেছিলেন হলুদ পাঞ্জাবি আর সাদা পাজামা। আর কনে সাজে রিঙ্কু পরেছিলেন লাল রঙের বেনারসি। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন কিছু বন্ধু-বান্ধব আর গোটা কয়েক আত্মীয়-স্বজন।
বিয়ের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এতদিন তো অনেক কিছুর দায়িত্ব পালন করেছি, স্বামীর দায়িত্ব পালন করার সুযোগ প্রথমবার হলো। এটাই অনুশীলন করছি। দেখা যাক কী হয়! এটা তো বিয়েরই একটা অঙ্গ। এটা আমাকেই করতে হবে, অন্য কেউ করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মায়ের জন্যই তো সব। তার ৮৪ বছর বয়স। আমায় কাজে বাইরে যেতে হয়। সে সময় তাকে পানি পান করানোর লোক পাওয়া যায় না। কয়েকবার এরকম ঘটনা ঘটেছে যে, মা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন ইনিই (রিঙ্কু) মাকে এসে দেখতো। তারপরেই ইনিই (রিঙ্কু) আমায় বলেছিলেন, আমি আবার জীবনের সংসারী হতে চাই। সাথী চাই। আমি বলেছিলাম, খুব ভালো, করে ফেলো। তখন ইনি বলেছিলেন, না আপনাকেই বিয়ে করতে চাই, আপনি রাজি আছেন কিনা? তখন আমি বলেছিলাম, একটু সময় নিতে দাও। বিষয়টা আমি হজম করি আগে। তারপর ১-২ মাস সময় লেগে গেছে বুঝতে।’
ছবি: সংগৃহীত
বিয়ে উপলক্ষে দিলীপ ঘোষের নিউটাউনের বাড়িতে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সঙ্গে পাঠিয়েছেন একটি ফুলের তোড়া এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতের লেখা একটি শুভেচ্ছা বার্তার কার্ড। যাতে লেখা—‘শ্রীমতি রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে আপনার বিবাহবন্ধনের কথা জেনে আনন্দিত হলাম। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনায় রিঙ্কু দেবী ও আপনাকে আমার অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মঙ্গলময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনাদের যৌথ জীবন সুখের হোক। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।’
বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা নিয়ে মুখ খুলেছেন দিলীপের সঙ্গিনী। রিঙ্কু জানিয়েছেন, তার পাহাড় পছন্দ। নিরিবিলি কোনো পাহাড়ি এলাকায় দিলীপের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেটা দার্জিলিং হতে পারে আবার হিমাচল প্রদেশের সিমলার কথাও ভাবা হয়েছে। তবে কোথায় যাবো এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি।
দিলীপের বাগদান অনুষ্ঠানে একেবারে ঘরোয়া খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। পদের মধ্যে ছিল সাদা ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুখ ডাল, কাতলা মাছের কালিয়া, নবরত্ন তরকারি, চাটনি-পাপড়, দই-মিষ্টি।
দিলীপ ঘোষ ছোটবেলা থেকেই ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে প্রচারকের দায়িত্ব ছিলেন। ২০১৪ সালে রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয় তাকে।