মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি
২০১৬ সালের লুণ্ঠনকারী সিন্ডিকেট এবারও সক্রিয়: বায়রা
মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে সিন্ডিকেট ও বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধের দাবি জানিয়েছে জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বায়রা। ২০১৬ সালের লুণ্ঠনকারী সিন্ডিকেটটি এবারও তৎপর বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বায়রার সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুখ এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে বায়রার সভাপতি বলেন, ‘প্রায় তিন বছর শ্রমিক রপ্তানি বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সঙ্গে অভিবাসী কর্মী রপ্তানি নিয়ে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি চুক্তি হয়েছ । ২০১৬ সালে লুণ্ঠনকারী সিন্ডিকেটটি এবারও দুই দেশের নীতি নির্ধারকদের ভুল তথ্য দিয়েছে এবং শক্তি ও অর্থ দিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী রফতানির জন্য চুক্তিতে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে ‘।
ড. মোহাম্মদ ফারুখ বলেন, ‘শর্তটি হলো বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিকারকদের নির্বাচন করার ক্ষমতা মালয়েশিয়া সরকারের হাতে রাখা। এ শর্তের কারণে আবারও সিন্ডিকেট হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং সিন্ডিকেটকে উৎসাহিত করা হয়েছে।’
সব বৈধ লাইসেন্সকে মালয়েশিয়াতে শ্রমিক রপ্তানির সুযোগ দিতে হবে দাবি করে বায়রা সভাপতি বলেন, ‘কোন প্রকার সিন্ডিকেট, মনোপলি ও শ্রেণি বিভাজন ছাড়া বৈধ এজেন্সির জন্য সব শ্রমবাজার উন্মুক্ত রাখা সরকারের কর্তব্য।’
বায়রার মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘২০১৯ সালের আইন অনুযায়ী আমাদের সরকার শ্রমিকদের লাইসেন্স দেবে। কিন্তু কারা ব্যবসা করবে সেটা ঠিক করবে মালোয়েশিয়ার সরকার।
এটাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করে মোস্তফা মাহমুদ বলেন, ‘আমার দেশ থেকে কারা কাজ করবে, সেটা নির্ধারণ করব আমরা, মালয়েশিয়ান সরকার বা অন্য কোনো সরকার নয়।
বিমানের টিকিট দাম বৃদ্ধি বন্ধের পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সিন্ডিকেট ও বিমান ভাড়া বৃদ্ধি দুটিই জাতির জন্য এবং এ ট্রেডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সমান সুযোগ দিতে হবে এবং সিন্ডিকেটের তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
আরইউ/এমএমএ/