বিএনপি-জামায়াতের লবিস্ট নিয়োগ
অর্থের বৈধতা জানতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি
বিএনপি-জামায়াতের লবিস্ট নিয়োগে অর্থের বৈধতা জানতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদি লবিস্ট ফার্মগুলোকে দেওয়া রাজনৈতিক দল দুটির অর্থ বৈধ না হয় তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও তাগিদ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের করা ৮টি চুক্তির কপিও সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী।
যদি বৈধ পথে টাকা না যায় তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে এমন মন্তব্য করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা দুইটি চিঠিই আজ পাঠিয়েছি।’
মার্কিন আইনে লবিস্ট নিয়োগের বৈধতা আছে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হলো নৈতিকতার। তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে অব্যাহতভাবে মিথ্যাচার করছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’আমি আমেরিকার উদ্দেশেও বলব তাদের সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল যে অর্থব্যয় করেছে সেই অর্থের সোর্সটাও ক্লিন কি না তারা খতিয়ে দেখবেন আশা করি।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার করা তিনটি চুক্তিপত্র দেখিয়ে বলেন, ’এইগুলিতে তাদের খরচ হয়েছে পৌনে চার মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া আরও চারটি চুক্তি দেখিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই চারটি চুক্তি করা হয়েছে অর্গানাইজেশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে যাতে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
অর্গানাইজেশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস এর ব্যানারে করা চুক্তিগুলোর কন্টেন্ট দেখলেই বোঝা যায় এটি জামায়াতের করা। তাই জামায়াতের নিবন্ধনও বাতিল করা যায় কীনা সেটি নির্বাচন কমিশন খতিয়ে দেখতে পারে। এই চারটি চুক্তির দুটিতে অ্যামাউন্ট উল্লেখ আছে। বাকি দুটিতে অ্যামাউন্ট উল্লেখ নেই।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়ার বিধান আছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, সেখানে বিএনপি ও জামায়াতের দেওয়া হিসাবে এই ব্যয়গুলো উল্লেখ আছে কি না সেটি নির্বাচন কমিশন খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
চুক্তিগুলো পাবলিকে ডোমেইনেই আছে এবং যেকেউ চাইলেই দেখে নিতে পারে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’আমি নিশ্চিত এই বাইরেও আরও প্রচুর চুক্তি থাকবে যাতে তৃতীয় কোনো দেশের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।’
আরইউ/এপি/