বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ | ১২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

আজ মহান বিজয় দিবস

আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির শৌর্য-বীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিজয়ের ৫১ বছর পূর্ণ হলো আজ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আজ শুক্রবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বীরশ্রেষ্ঠের পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতি দেখা পায় এক নতুন সূর্যোদয়। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয় বাংলা’ বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। যুগ যুগ ধরে শোষিত, বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে।

আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্য-বীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ’৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুনের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলিদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই। পাকিস্তানিদের সঙ্গে হিসেব-নিকেশের হালখাতার শুরুতেই রক্তের আঁচড় দিয়ে বাঙালি শুরু করে তার অস্তিত্বের লড়াই। ’৫২ সালে যে আগুন জ্বলেছিল রাজধানী ঢাকা শহরে সে আগুন যেন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে সবখানে। বাঙালির বুকের ভেতর জ্বলে উঠা আগুন যেন তাদের মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকে।

১৯৭১ এর ৭ মার্চ বিশাল জনসমুদ্র থেকে যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরও দেব, তবুও এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।’ এই একটি মাত্র উচ্চারণে বাঙালি সত্যিকার দিকনির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। পাকিস্তানিরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধন যজ্ঞ। বাতাসে লাশের গন্ধ, বারুদে বারুদে আর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। এ যেন এক প্রেতপুরী। আকাশে শকুনের উদ্যত থাবা, নিচে বিপন্ন মানুষের বিলাপ। হায় বাংলাদেশ। একি বাংলাদেশ। এ যেন এক জ্বলন্ত শ্মশান। কিন্তু ঠিকই হাড়ের আর খুলির স্তুপ একদিন পাললিক হয়।

মুক্তিপাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নেয়। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার সবাই শরিক হয়ে থাকে এ লড়াইয়ে। যতই দিন অতিবাহিত হতে থাকে আরও শাণিত হয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র। লক্ষ্য স্থির রেখে শত্রু হননে দৃঢ়তায় এগিয়ে যায় বীর বাঙালি। ইতোমধ্যেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভারতও জড়িয়ে পড়ে বাঙালির ভাগ্য যুদ্ধে। ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে এসে চূড়ান্ত রূপ নেয় এই যুদ্ধের।

অবশেষে নয় মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হলো মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad
Header Ad

ভারতে ভয়ংকর মাদক ফেন্টানিলের উৎস! দাবি তুলসী গ্যাবার্ডের দপ্তরের

মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক (DNI) তুলসী গ্যাবার্ড। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া ভয়ংকর মাদক ফেন্টানিলের কাঁচামাল সরবরাহে ভারত ও চীন রাষ্ট্রীয়ভাবে জড়িত বলে দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বার্ষিক হুমকি মূল্যায়ন (ATA) প্রতিবেদন। মঙ্গলবার মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক (DNI) তুলসী গ্যাবার্ডের দপ্তর থেকে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ও চীন অপরাধী চক্রগুলোর কাছে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ফেন্টানিল তৈরির রাসায়নিক কাঁচামাল সরবরাহ করছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চীন ও ভারতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধী সংগঠনগুলো মাদক উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও সরঞ্জাম পেয়ে থাকে। এর মধ্যে অবৈধ ফেন্টানিল তৈরির প্রধান উৎস চীন, এরপর রয়েছে ভারত। এটি প্রথমবারের মতো, যখন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে চীনের সমতুল্য হিসেবে ফেন্টানিল উৎপাদনের কাঁচামাল সরবরাহকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করল। গত বছরের প্রতিবেদনে চীনকে প্রধান সরবরাহকারী বলা হলেও ভারত থেকে সীমিত পরিমাণে রাসায়নিক সংগ্রহ করা হয় বলে উল্লেখ ছিল।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময়টিও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেন্টানিল সমস্যাকে তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসেবে নিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ‘আমেরিকায় ফেন্টানিলের মহামারি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাঁর প্রশাসন বিশ্রাম নেবে না।’ এরই অংশ হিসেবে গত ১ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প ফেন্টানিল পাচারে ব্যর্থতার অভিযোগে চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। পাশাপাশি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।

এছাড়া, গত ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ‘লিবারেশন ডে’ শুল্কের আওতায় ট্রাম্প আরও কিছু দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। তবে ভারত এই শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা দ্রুততর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ফেন্টানিলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে প্রাণঘাতী মাদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে এ মাদকের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ৫২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ভারত ও চীনের ভূমিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তাদের ‘রাষ্ট্রীয় অভিনেতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যারা মাদক চক্রকে রাসায়নিক সরবরাহ করছে।

Header Ad
Header Ad

ছায়ানটে অশ্রু-গানে সন্‌জীদা খাতুনের শেষ বিদায়

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সংস্কৃতির প্রিয় মুখ, সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ আজ (২৬ মার্চ) ছায়ানট প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়েছে। চোখে অশ্রু আর হাতে ফুল, হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল সঙ্গীতপ্রেমী এবং শিল্পী, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে শ্রদ্ধা জানাতে।

শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে উপস্থিত ছিলেন শাহীন সামাদ, বুলবুল ইসলামসহ আরও অনেক শিল্পী। এ সময় তারা গাইলেন, ‘‘তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে’’ এবং ‘‘কান্না হাসির দোল দোলানো’’—এমন হৃদয়বিদারক গানে শেষ বিদায় জানানো হয় সন্‌জীদা খাতুনকে।

 

ছবি: সংগৃহীত

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ ছায়ানটে পৌঁছালে প্রথমে শ্রদ্ধা জানান তার সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও শিল্পীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

সন্‌জীদা খাতুনকে শেষবারের মতো দেখার জন্য ছায়ানটে সকাল থেকেই ভিড় করছিলেন সঙ্গীতপ্রেমীসহ বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। এ সময় ছায়ানটের শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’’ পরিবেশন করেন। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ রাখার বেদী।

সন্‌জীদা খাতুন, যিনি বাঙালি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা এবং ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি, ২৫ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষাদানে ও সঙ্গীতচর্চায় অবদান রাখা সন্‌জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপিকা ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীত ও সাহিত্য নিয়ে বিশাল কাজ করেছেন এবং ছায়ানটকে আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিত করেছেন। তিনি ছিলেন জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং নালন্দা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি।

 

ছবি: সংগৃহীত

এছাড়াও সন্‌জীদা খাতুন ভারত সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘পদ্মশ্রী’সহ একুশে পদক, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার রচিত বইগুলো বাঙালি সংস্কৃতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গীতচর্চা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধা সনদ ফেরত দিতে ১২ জনের আবেদন

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারের কাছ থেকে সনদ নিয়েছেন- এমন অন্তত ১২ ব্যক্তি তাদের সনদ ফেরত দিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।

সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়- মুক্তিযোদ্ধা নন, কিন্তু সনদ নিয়ে সরকারি চাকরি করার পর অবসরে গেছেন- এমন একজন ব্যক্তিও রয়েছেন ওই ১২ আবেদনকারীদের মধ্যে।এক ব্যক্তি তার আবেদনে সনদ নেওয়া ভুল হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে সনদ নেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন কেউ কেউ।

গত ১১ ডিসেম্বর নিজ দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যারা সনদ নিয়েছেন, তাদের তা ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) দেব, যারা অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এসেছেন, তারা যাতে স্বেচ্ছায় এখান থেকে চলে যান। যদি যান, তারা তখন সাধারণ ক্ষমা পেতে পারেন। আর যদি সেটি না হয়, আমরা যেটি বলেছি, প্রতারণার দায়ে আমরা তাদের অভিযুক্ত করব। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপদেষ্টার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্তত ১২ জন তাদের সনদ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করলেন।

তবে সনদ ফেরত দিতে আবেদন করা ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হয়নি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।কর্মকর্তাদের ভাষ্য, যেহেতু তারা মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আবেদন করেছেন, নাম প্রকাশ করলে তারা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হবেন। তাই তাদের নাম গোপন রাখা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে ভয়ংকর মাদক ফেন্টানিলের উৎস! দাবি তুলসী গ্যাবার্ডের দপ্তরের
ছায়ানটে অশ্রু-গানে সন্‌জীদা খাতুনের শেষ বিদায়
মুক্তিযোদ্ধা সনদ ফেরত দিতে ১২ জনের আবেদন
রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস থাকবে না
বেনাপোলে ৯৬ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক
মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৩০
র’কে নিষিদ্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সংস্থা  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান, আটক ৩ (ভিডিও)
শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক লিখে পোস্ট, এসিল্যান্ডকে অব্যাহতি
স্যামসাং সিইও হান জং-হি মারা গেছেন
আরও সমৃদ্ধশালী হবে নতুন বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা তামিমের
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত
ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই অতিরিক্ত ৮৩২ কোটি টাকা ভাড়া আদায়
দাখিল পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন, নতুন রুটিন প্রকাশ
সেনাবাহিনীতে ২৯ জনকে অনারারি কমিশন প্রদান
নওগাঁয় গ্যাস পাম্পের পাশ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার
এক হালি গোল খেয়ে ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিল অধিনায়ক, বরখাস্ত হচ্ছেন কোচ দোরিভাল
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  
জাতীয় জীবনে ২৬ মার্চ গৌরব ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস: সেনাপ্রধান