অমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ, এখনই লকডাউন নয়
মাস্ক না পরলে জরিমানা, নামছে মোবাইল কোর্ট
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গাড়ি, ট্রেন, মসজিদ সব জায়গায় মাস্ক পরতে হবে। দোকানপাটে গেলে মাস্ক পরতে হবে। না পরলে জরিমানা করা হবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। অমিক্রন প্রতিরোধে সর্বোচ্চ জোর দেওয়া হচ্ছে।
অমিক্রন প্রতিরোধের বিষয়ে সোমবার কিছুক্ষণ আগে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আশংকার বিষয় হচ্ছে করোনা বেড়ে যাচ্ছে। আজকে তিন দশমিক চার হয়েছে। যা এতদিন এক দশিমক পাঁচের নিচে ছিল। মৃত্যুহার এখনও কম আছে। কিন্তু সংক্রমণ বাড়লে আবারও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ১৫ দিন সময়ে দেওয়া হবে। বৈঠকে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার সবগুলো এখনই জানানো যাবে না। এটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘ল্যান্ড পোর্ট, সি পোর্ট সব জায়গায় স্ক্রিনিং করা হবে। এর ওপর জোর দেওয়া হবে।’ কোয়ারেন্টাইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঢিলেঢালা কোয়ারেন্টাইন আমরা চাচ্ছি না। কোরায়েন্টাইন শক্তভাবে পালন করানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।’
লকডাউন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ‘লকডাউনের সুপারিশ আমরা করিনি। লকডাউনে যেন যেতে না হয় সেজন্য আমরা প্রতিরোধের ওপর জোর দিচ্ছি।’
বিশেষ করে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান সীমিতভাবে করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিবহন সেক্টরে বলা হয়েছে, সিট ক্যাপাসিটির অনুপাতে যাত্রী কমিয়ে নেওয়ার জন্য। টিকা নেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। টিকা যারা নিয়েছেন তারা রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে পারবেন, অফিস করতে পারবেন। তারা যে টিকা দিয়েছেন তার প্রমাণ থাকবে। টিকা না নিলে রেস্টেুরেন্টে খাওয়া যাবে না। এসব বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।’
বিমান যাত্রীদের বিষয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানে যারা ওঠেন তারা তো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওঠেন। তাদের নানারকম টেস্ট রিপোর্ট থাকতে হয়, আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হয়। তবে তারা যেন মাস্ক পরিধান করে আসেন তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যেন টিকা গ্রহণ করেন। তার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। অনেকে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিহা দেখাচ্ছেন। এটা যেন না হয় সেদিকে আমরা জোর দিচ্ছি।’
অমিক্রন কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালগুলো প্রস্তুত আছে। অক্সিজেন আছে। বেড আছে। চিকিৎসকরা প্রশিক্ষিত। তারা জানে কিভাবে চিকিৎসা করতে হয়।’
বৈঠকে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি ও অন্য বাহিনীর সদস্যরা যুক্ত ছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারাও যুক্ত ছিলেন।
এনএইচবি/এএন